তিন মাসের শিশুর জন্য দুধ কিনতে বলায় মাদারীপুরের শিবচরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে শরীরের একাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন বাঁশকান্দি গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে একই উপজেলার দ্বিতীয়াখন্ড ইউনিয়নের সেকান ফকিরের ছেলে নাসির ফকিরের সাথে বিয়ে হয়। নাসির রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। গত প্রায় ৩ মাস আগে তাদের একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহন করে। মেয়ের নাম রাখা হয় হাবিবা। গত প্রায় এক মাস আগে মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে নাসির ও খাদিজা শেখপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। শেখপুর বাসা নেয়ার পর থেকে নাসির ঠিকমত কাজকর্ম করছিল না। এতে সংসারে অভাব অনটন লেগে ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হতো। গত সোমবার সন্ধায় মেয়ে হাবিবার জন্য দুধ কিনতে বলায় আবারো নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হয়। এতে নাসির রেগে খাদিজাকে মারধর করে বাইরে চলে যায়। খাদিজা মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০ টার দিক নাসির ঘরে ঢুকে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঘুমন্ত খাদিজার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে খাদিজার শরীরের বুক, পিঠসহ একাংশ পুড়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আগুনে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
অগ্নিদগ্ধ খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী কাজকর্ম ঠিকমত করতো না। এতে সংসারে অভাব লেগে থাকতো। বাচ্চার দুধ শেষ হওয়ায় সেদিন দুধ কিনতে বললে সে আমাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন ঘরে এসে আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে এখানে আনা হলে আমরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। তার শরীরের একাংশের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।
বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ , ১৬ শ্রাবন ১৪২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪০
প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
তিন মাসের শিশুর জন্য দুধ কিনতে বলায় মাদারীপুরের শিবচরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে শরীরের একাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিন বাঁশকান্দি গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে একই উপজেলার দ্বিতীয়াখন্ড ইউনিয়নের সেকান ফকিরের ছেলে নাসির ফকিরের সাথে বিয়ে হয়। নাসির রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। গত প্রায় ৩ মাস আগে তাদের একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহন করে। মেয়ের নাম রাখা হয় হাবিবা। গত প্রায় এক মাস আগে মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে নাসির ও খাদিজা শেখপুর বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। শেখপুর বাসা নেয়ার পর থেকে নাসির ঠিকমত কাজকর্ম করছিল না। এতে সংসারে অভাব অনটন লেগে ছিল। এ নিয়ে প্রায়ই নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হতো। গত সোমবার সন্ধায় মেয়ে হাবিবার জন্য দুধ কিনতে বলায় আবারো নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হয়। এতে নাসির রেগে খাদিজাকে মারধর করে বাইরে চলে যায়। খাদিজা মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০ টার দিক নাসির ঘরে ঢুকে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঘুমন্ত খাদিজার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে খাদিজার শরীরের বুক, পিঠসহ একাংশ পুড়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আগুনে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
অগ্নিদগ্ধ খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী কাজকর্ম ঠিকমত করতো না। এতে সংসারে অভাব লেগে থাকতো। বাচ্চার দুধ শেষ হওয়ায় সেদিন দুধ কিনতে বললে সে আমাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন ঘরে এসে আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধুকে এখানে আনা হলে আমরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। তার শরীরের একাংশের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
শিবচর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।