আদমবেপারির খপ্পরে সর্বস্বান্ত যুবক

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালীয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম বিশ্বাস পাড়া প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে দুলাল বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রায় ২ বছর আগে গোয়ালগ্রামের হাওড়াপাড়া গ্রামের প্রয়াত আনারুল মিস্ত্রিরির ছেলে সাইফুলকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। সাইফুল বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি ছাড়াও বিদেশে নির্ধারিত কাজের ট্রেনিং দিতে হয়। এ বিষয়ে দুলাল আরও জানান, বিদেশ পাঠানোর জন্য সাইফুলের সঙ্গে আমার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। সাইফুলের আত্মীয় প্রয়াত কাইম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লার মাধ্যমে দিয়ে টাকা পরিশোধ করি। ২ বছর পার হলেও বিদেশ পাঠায়নি, এখন বলছে টাকাও দিতে পারব না। এ বিষয়ে আবদুল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বর্তমানে দুলাল সর্বস্বান্ত। স্থানীয় জনপ্রতিনিরা জানান, এ বিষয়ে আমরা অনেক বার বসেছি সমাধানের জন্য কিন্তু পারিনি। দুলাল অসহায় মানুষ, বিষয়টি সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এলাকাবাসী জানান, সাইফুল বিদেশে পাঠানোর নামে বহু জনকে ঠকিয়েছে। সে টাকা দিয়ে সুদি কারবার শুরু করায় সাধারণ মানুষ তার হাতে লাঞ্চিত ও সর্বস্বান্ত হচ্ছে, তারা বিষয়টি আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার ও করে শাস্তি দাবি করেছে। এ বিষয়ে সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বাড়িতে গেলে বাড়ি দোকানে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তার স্বজনরা কোন হদিস দেননি।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

আদমবেপারির খপ্পরে সর্বস্বান্ত যুবক

প্রতিনিধি, দৌলতপুর

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালীয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম বিশ্বাস পাড়া প্রয়াত আবু তাহেরের ছেলে দুলাল বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রায় ২ বছর আগে গোয়ালগ্রামের হাওড়াপাড়া গ্রামের প্রয়াত আনারুল মিস্ত্রিরির ছেলে সাইফুলকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়। সাইফুল বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি ছাড়াও বিদেশে নির্ধারিত কাজের ট্রেনিং দিতে হয়। এ বিষয়ে দুলাল আরও জানান, বিদেশ পাঠানোর জন্য সাইফুলের সঙ্গে আমার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। সাইফুলের আত্মীয় প্রয়াত কাইম উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লার মাধ্যমে দিয়ে টাকা পরিশোধ করি। ২ বছর পার হলেও বিদেশ পাঠায়নি, এখন বলছে টাকাও দিতে পারব না। এ বিষয়ে আবদুল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বর্তমানে দুলাল সর্বস্বান্ত। স্থানীয় জনপ্রতিনিরা জানান, এ বিষয়ে আমরা অনেক বার বসেছি সমাধানের জন্য কিন্তু পারিনি। দুলাল অসহায় মানুষ, বিষয়টি সমাধান হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এলাকাবাসী জানান, সাইফুল বিদেশে পাঠানোর নামে বহু জনকে ঠকিয়েছে। সে টাকা দিয়ে সুদি কারবার শুরু করায় সাধারণ মানুষ তার হাতে লাঞ্চিত ও সর্বস্বান্ত হচ্ছে, তারা বিষয়টি আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার ও করে শাস্তি দাবি করেছে। এ বিষয়ে সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বাড়িতে গেলে বাড়ি দোকানে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তার স্বজনরা কোন হদিস দেননি।