কিশোরগঞ্জে কনকনে ঠাণ্ডা : বাড়ছে দুর্ভোগ

কিশোরগঞ্জে এখন প্রচণ্ড শীত। ঠাণ্ডার পাশাপাশি বইছে কনকনে হাওয়া। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। গরম কাপড়ের দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দিনের বেলায়ও কুয়াশা পড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষের নানাবিধ রোগবালাইয়ের পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মর্তা ড. মো. মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা সর্বনিম্ন- তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের তেমন ক্ষতির খবর না আসলেও আরও অন্তত চারদিন এ রকম শীত অব্যাহত থাকলে বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজ্যুরিতে আক্রান্ত হবে। এছাড়া আলু এবং টমেটো গাছে ‘ব্লাইট’ রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন যেন বীজতলায় সেচ দেন এবং বীজতলা পলিথিনে ঢেকে দেন। তাহলে মাটির তাপমাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, এখন নানা বয়সের মানুষের ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়া, বড়দের কাশি ও শ্বাসকষ্ট এবং সর্দি লাগার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এই ঠাণ্ডায় শিশুদের সবসময় গরম কাপড়ে সুরক্ষা দিতে হবে এবং বিশেষ করে মায়েদেরও ঠাণ্ডা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

কিশোরগঞ্জে কনকনে ঠাণ্ডা : বাড়ছে দুর্ভোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে এখন প্রচণ্ড শীত। ঠাণ্ডার পাশাপাশি বইছে কনকনে হাওয়া। কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। রাস্তায় মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। গরম কাপড়ের দোকানে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দিনের বেলায়ও কুয়াশা পড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষের নানাবিধ রোগবালাইয়ের পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মর্তা ড. মো. মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা সর্বনিম্ন- তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের তেমন ক্ষতির খবর না আসলেও আরও অন্তত চারদিন এ রকম শীত অব্যাহত থাকলে বোরো ধানের বীজতলা কোল্ড ইনজ্যুরিতে আক্রান্ত হবে। এছাড়া আলু এবং টমেটো গাছে ‘ব্লাইট’ রোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তিনি কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন যেন বীজতলায় সেচ দেন এবং বীজতলা পলিথিনে ঢেকে দেন। তাহলে মাটির তাপমাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, এখন নানা বয়সের মানুষের ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়া, বড়দের কাশি ও শ্বাসকষ্ট এবং সর্দি লাগার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এই ঠাণ্ডায় শিশুদের সবসময় গরম কাপড়ে সুরক্ষা দিতে হবে এবং বিশেষ করে মায়েদেরও ঠাণ্ডা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।