শিক্ষক সমিতিকে ম্যানেজ করে নোট-গাইড ব্যবসা

নওগাঁর সাপাহারে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মোটা অঙ্কের টাকাতে গ্রামার বই, সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ গাইড বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালাতে সাপাহার শিক্ষক ও কর্মচারী সমিতির কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে একটি প্রকাশনী।

জানা গেছে, উপজেলার শিক্ষক সমিতিকে কন্টাক্ট করার জন্য বেশ কয়েকদিন থেকে দেশের লেকচার, পুঁথিনিলয়, পাঞ্জেরী, নবপুথিঘর ও অনুপম প্রকাশনীসহ আরও কিছু প্রকাশনীর লোকজন সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থান করে সমিতিগুলোর সঙ্গে দর কাষাকষি করে চলছিল। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর একটি প্রকাশনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, অর্থসম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক, একটি প্রকাশনীর সঙ্গে সাড়ে ১১ লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট প্রকাশনীর নোট- গাইড বই ক্রয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রামার বইয়ের মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা হলেও বিক্রি করা হচ্ছে ৬শ’ টাকা।

সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে চুক্তি অথবা টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে সমিতির যারা চুক্তির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান প্রতিবছর বিদ্যালয়ের নির্ধারিত উল্লেখ করা বই কিনতে হিমশিম খেতে হয় কারণ দ্বিগুণ দামে বইটি ক্রয় করতে হয়।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

শিক্ষক সমিতিকে ম্যানেজ করে নোট-গাইড ব্যবসা

প্রতিনিধি, সাপাহার (নওগাঁ)

নওগাঁর সাপাহারে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মোটা অঙ্কের টাকাতে গ্রামার বই, সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ গাইড বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালাতে সাপাহার শিক্ষক ও কর্মচারী সমিতির কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে একটি প্রকাশনী।

জানা গেছে, উপজেলার শিক্ষক সমিতিকে কন্টাক্ট করার জন্য বেশ কয়েকদিন থেকে দেশের লেকচার, পুঁথিনিলয়, পাঞ্জেরী, নবপুথিঘর ও অনুপম প্রকাশনীসহ আরও কিছু প্রকাশনীর লোকজন সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থান করে সমিতিগুলোর সঙ্গে দর কাষাকষি করে চলছিল। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর একটি প্রকাশনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, অর্থসম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক, একটি প্রকাশনীর সঙ্গে সাড়ে ১১ লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট প্রকাশনীর নোট- গাইড বই ক্রয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রামার বইয়ের মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা হলেও বিক্রি করা হচ্ছে ৬শ’ টাকা।

সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে চুক্তি অথবা টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবির এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে তাহলে সমিতির যারা চুক্তির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান প্রতিবছর বিদ্যালয়ের নির্ধারিত উল্লেখ করা বই কিনতে হিমশিম খেতে হয় কারণ দ্বিগুণ দামে বইটি ক্রয় করতে হয়।