চরফ্যাশনে ডাকাতি গ্রেফতার দুই

চরফ্যাশনে দু’টি বাড়িতে ডাকাতির পর রাস্তার পাশের দোকানে হামলা করে ডাকাতরা। দোকানের মালামাল ও টাকা লুটের পর দোকান মালিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আক্রান্ত দোকান মালিকের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী ছুঁটে এলে ৯-১০ জনের ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আধা কি.মি. দূরের একটি বাড়ির বাগানে পালাতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হন দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার নজির আহমেদ ওরফে নজির ডাকাত। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরতের পর চরফ্যাশন থানার আব্দুল্লাহ পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতদল তা-ব চালায়। আহত দোকান মালিক আবদুল হামিদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নাজির ডাকাত এবং ডাকাতদলের আশ্রয়দাতা প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাসেল মাতাব্বরের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। গোয়াল থেকে গরু চোরে নিচ্ছে ভেবে ঘরমালিক দরজা খুললে ডাকাতরা ঘওে ঢুকে পড়ে। ঘরের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি এবং মারধর করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এখান থেকে ডাকাতদল পাশের গ্রামে আবু হাওলাদার বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের দরজা ভেঙ্গে লোকজনকে বেঁধে একইভাবে লুট করে। এই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার উপরে আবদুল হামিদের দোকানে হানা দেয়। দোকান মালিক আবদুল হামিদকে কুপিয়ে জখম করে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় দোকান মালিককে জবাই করতে শুরু করেন। এ সময়ে দোকান মালিকের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুঁটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আধা কিমি দূরে মোতাহার মিস্ত্রির বাড়ির বাগানে পালিয়ে থাকা ডাকাত সর্দার নজিরকে আটক করে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশ জনতার গণধোলাই থেকে নজির ডাকাতকে উদ্ধার করে। গত বুধবার সকালে নজির ডাকাতের দেয়া তথ্যানুযায়ী আশ্রয়দাতা এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রবাসী নুরুল ইসলাম চৌকিদারের স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করে। দলের অপরাপর ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গুরুতর জখম দোকানিকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

চরফ্যাশনে ডাকাতি গ্রেফতার দুই

প্রতিনিধি, চরফ্যাশন (ভোলা)

চরফ্যাশনে দু’টি বাড়িতে ডাকাতির পর রাস্তার পাশের দোকানে হামলা করে ডাকাতরা। দোকানের মালামাল ও টাকা লুটের পর দোকান মালিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। আক্রান্ত দোকান মালিকের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী ছুঁটে এলে ৯-১০ জনের ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আধা কি.মি. দূরের একটি বাড়ির বাগানে পালাতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হন দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার নজির আহমেদ ওরফে নজির ডাকাত। গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরতের পর চরফ্যাশন থানার আব্দুল্লাহ পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতদল তা-ব চালায়। আহত দোকান মালিক আবদুল হামিদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নাজির ডাকাত এবং ডাকাতদলের আশ্রয়দাতা প্রবাসীর স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রাসেল মাতাব্বরের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। গোয়াল থেকে গরু চোরে নিচ্ছে ভেবে ঘরমালিক দরজা খুললে ডাকাতরা ঘওে ঢুকে পড়ে। ঘরের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি এবং মারধর করে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। এখান থেকে ডাকাতদল পাশের গ্রামে আবু হাওলাদার বাড়িতে হানা দেয়। ঘরের দরজা ভেঙ্গে লোকজনকে বেঁধে একইভাবে লুট করে। এই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার উপরে আবদুল হামিদের দোকানে হানা দেয়। দোকান মালিক আবদুল হামিদকে কুপিয়ে জখম করে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় দোকান মালিককে জবাই করতে শুরু করেন। এ সময়ে দোকান মালিকের ডাক চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুঁটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আধা কিমি দূরে মোতাহার মিস্ত্রির বাড়ির বাগানে পালিয়ে থাকা ডাকাত সর্দার নজিরকে আটক করে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে চরফ্যাশন থানা পুলিশ জনতার গণধোলাই থেকে নজির ডাকাতকে উদ্ধার করে। গত বুধবার সকালে নজির ডাকাতের দেয়া তথ্যানুযায়ী আশ্রয়দাতা এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের প্রবাসী নুরুল ইসলাম চৌকিদারের স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করে। দলের অপরাপর ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

চরফ্যাসন থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গুরুতর জখম দোকানিকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।