ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিসে দুদকের ঝটিকা অভিযান ঘুষের ২ লাখ জব্দ

ঝালকাঠি পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে নানা দুর্নীতির অভিযোগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় পাসপোর্ট গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া নগদ দুই লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালে ঠাঁসা থাকে। নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা ও দালাল ছাড়া অধিকাংশ পাসপোর্ট হয় না। অনেক সময় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পাসপোর্ট প্রতি অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা করে নিয়ে পাসপোর্ট প্রদান করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তল্লাশি চালায় দুদক কর্মকর্তারা। এ সময় একটি লকারের মধ্য থেকে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া দুই লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী পরিচালক রনজিত কুমার কর্মকার ও আলম আমীন।

একটি সূত্র জানায়, একটি সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩৪৫০ টাকা ও জরুরী ৬ হাজার ৯০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গেলে কর্মকর্তারা ফরমে কোন ভুল না থাকলেও, নানা ভুল আছে বলে ফিরিয়ে দেন। তারা দালাল দেখিয়ে দেন। আবার নিজেরাও টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করে দেন। প্রতিটি পাসপোর্টে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় পাসপোর্ট গ্রহিতাদের। ঘুষের টাকা না দিলে কোনভাবেই পাসপোর্ট পাওয়া যায় না অফিস থেকে।

বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল বলেন, এ অফিসে টাকা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ পাসপোর্টের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক ফাতেমা বেগম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। আমার অফিসে ঘুষ দুর্নীতি নেই। এরপরেও দুদক অভিযান করেছে, তারা তদন্ত করে দেখুক। অভিযোগ সত্য হলে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২ পৌষ ১৪২৬, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪১

ঝালকাঠি পাসপোর্ট অফিসে দুদকের ঝটিকা অভিযান ঘুষের ২ লাখ জব্দ

প্রতিনিধি, ঝালকাঠি

ঝালকাঠি পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে নানা দুর্নীতির অভিযোগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় পাসপোর্ট গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া নগদ দুই লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, ঝালকাঠি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালে ঠাঁসা থাকে। নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা ও দালাল ছাড়া অধিকাংশ পাসপোর্ট হয় না। অনেক সময় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পাসপোর্ট প্রতি অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা করে নিয়ে পাসপোর্ট প্রদান করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায়। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তল্লাশি চালায় দুদক কর্মকর্তারা। এ সময় একটি লকারের মধ্য থেকে পাসপোর্ট গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া দুই লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপ-সহকারী পরিচালক রনজিত কুমার কর্মকার ও আলম আমীন।

একটি সূত্র জানায়, একটি সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ৩৪৫০ টাকা ও জরুরী ৬ হাজার ৯০০ টাকা ফি সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হয়। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গেলে কর্মকর্তারা ফরমে কোন ভুল না থাকলেও, নানা ভুল আছে বলে ফিরিয়ে দেন। তারা দালাল দেখিয়ে দেন। আবার নিজেরাও টাকা নিয়ে পাসপোর্ট করে দেন। প্রতিটি পাসপোর্টে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় পাসপোর্ট গ্রহিতাদের। ঘুষের টাকা না দিলে কোনভাবেই পাসপোর্ট পাওয়া যায় না অফিস থেকে।

বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল বলেন, এ অফিসে টাকা রাখার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ পাসপোর্টের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক ফাতেমা বেগম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। আমার অফিসে ঘুষ দুর্নীতি নেই। এরপরেও দুদক অভিযান করেছে, তারা তদন্ত করে দেখুক। অভিযোগ সত্য হলে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।