অস্ত্র ও পর্নোগ্রাফিসহ তিনটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ তিনজনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রেজওয়ানুজ্জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতক্ষীরা সদর থানায় দুইজন জনপ্রতিনিধির দায়েরকৃত পর্নোগ্রাফি আইনের দুটি মামলা ও ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুল ইসলামের দায়েককৃত একটি অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শুনানির শেষে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পর্নোগ্রাফি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই হাফিজ ও অস্ত্রআইনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র রায় পৃথক পৃথকভাবে রিমান্ডের আবেদন জানান। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিকের দুই সহযোগী সাইফুল ও দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ ঘটনায় সাদিকসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগে সাদিক, কথিত সাংবাদিক আকাশ ইসলাম, সাংবাদিক মনিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা হয়। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে সাদিক ও তার ব্লাকমেইল কাজে ব্যবহৃত নারী সুমাইয়া শিমুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে একে একে তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৩ পৌষ ১৪২৬, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
অস্ত্র ও পর্নোগ্রাফিসহ তিনটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ তিনজনের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক রেজওয়ানুজ্জামান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতক্ষীরা সদর থানায় দুইজন জনপ্রতিনিধির দায়েরকৃত পর্নোগ্রাফি আইনের দুটি মামলা ও ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুল ইসলামের দায়েককৃত একটি অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শুনানির শেষে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পর্নোগ্রাফি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই হাফিজ ও অস্ত্রআইনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হারান চন্দ্র রায় পৃথক পৃথকভাবে রিমান্ডের আবেদন জানান। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদিকের দুই সহযোগী সাইফুল ও দ্বীপ গত ৩০ নভেম্বর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এ ঘটনায় সাদিকসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর দুই জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন নারীর সঙ্গে অশালীন অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে চাঁদা আদায়েরও অভিযোগে সাদিক, কথিত সাংবাদিক আকাশ ইসলাম, সাংবাদিক মনিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা হয়। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে সাদিক ও তার ব্লাকমেইল কাজে ব্যবহৃত নারী সুমাইয়া শিমুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে একে একে তার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ তথ্য।