ঠাকুরগাঁওয়ের শীতার্তরা পাচ্ছে না সরকারি শীতবস্ত্র

সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান শীতবস্ত্র চাওয়ার পরও তা না দিয়ে উল্টো নিজেই শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার। এ অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল অসহায় মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জুয়েল। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে কনকনে ঠান্ডা আর মৃদু শৈত প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। শীতের এই কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা ভেবে নিজেই শীতবস্ত্র চাইতে গিয়েছিলাম ইউএনও সাহেবের কাছে। তিনি শীতবস্ত্র না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র থাকলেও বিতরণ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। অথচ জেলা ও অন্যান্য উপজেলাগুলোতে এক সপ্তাহ ধরে দিনে ও রাতের বেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এলাকায় বিতরণের জেলা থেকে প্রায় ৪ হাজার ৬ শত শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ২’শ করে ৮ ইউনিয়নে এক হাজার ছয়শত, উপজেলা মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানকে ৪’শ এবং স্থানীয় সাংসদকে ৩’শ কম্বল প্রদান করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি’। নির্বাহী অফিসার কি কারনে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করছেন তা আমার অজানা। আমি মনে করি নির্বাহী অফিসার দায়ীত্বহীনতার কাজ করছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে আলেমা বেগম ও রমিজা বেওয়া নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই নারীর বাড়ী জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়।

আরও খবর
মাধবদীতে ফসলি জমিতে ইটভাটা
দুই জেলায় চলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
তিন জেলায় মরদেহ উদ্ধার
থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সরগরম
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই ড্রেসিং
পাথরঘাটায় নিরীহদের জমি দখল করছে প্রভাবশালীরা
সুবর্ণচরের চরবাটা ইউপি চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার
টঙ্গীতে চাকরি পেল ৬৮ প্রতিবন্ধী-দুস্থ
হিলি সীমান্তে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক
সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন রিমান্ডে
দুই জেএমবি সদস্য আটক
পিরোজপুরে ভারতীয় কাপড়সহ গ্রেফতার ৪
হালুখালী নদীতে সেতু নির্মাণের খবরে উল্লাস
‘স্কুলে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে’
চাঁপাইয়ে পুলিশ পরিচয়ে যুবককে অপহরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন সংগ্রহের লটারি
গাজীপুরে এবিটির ২ সদস্য আটক
ত্রিশালে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
সৈয়দপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের কম্বল বিতরণে অনিয়ম
রাজিবপুর-রৌমারী সীমান্তে বন্যহাতির তাণ্ডব
খুলনার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৩ পৌষ ১৪২৬, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪১

ঠাকুরগাঁওয়ের শীতার্তরা পাচ্ছে না সরকারি শীতবস্ত্র

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, ঠাকুরগাঁও

সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান শীতবস্ত্র চাওয়ার পরও তা না দিয়ে উল্টো নিজেই শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্বাহী অফিসার। এ অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল অসহায় মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জুয়েল। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে কনকনে ঠান্ডা আর মৃদু শৈত প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। শীতের এই কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা ভেবে নিজেই শীতবস্ত্র চাইতে গিয়েছিলাম ইউএনও সাহেবের কাছে। তিনি শীতবস্ত্র না দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র থাকলেও বিতরণ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। অথচ জেলা ও অন্যান্য উপজেলাগুলোতে এক সপ্তাহ ধরে দিনে ও রাতের বেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এলাকায় বিতরণের জেলা থেকে প্রায় ৪ হাজার ৬ শত শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের ২’শ করে ৮ ইউনিয়নে এক হাজার ছয়শত, উপজেলা মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানকে ৪’শ এবং স্থানীয় সাংসদকে ৩’শ কম্বল প্রদান করা হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি’। নির্বাহী অফিসার কি কারনে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করছেন তা আমার অজানা। আমি মনে করি নির্বাহী অফিসার দায়ীত্বহীনতার কাজ করছেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমনের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে আলেমা বেগম ও রমিজা বেওয়া নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত দুই নারীর বাড়ী জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায়।