কেরানীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে দুই শতাধিক ইটভাটা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রায় ২শত ইটভাটা। রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জর ইটভাটা বন্ধের জন্য ইটভাটা মালিকদের চিঠি দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ও কোন্ডা ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হওয়ার ঘোষণায় মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ কেরানীগঞ্জ উপজেলার ৮-১০টি ইটভাটা মালিকদের জরিমানা করেছেন। সরকারি নিয়ম নীতিমালা অনুযায়ী রাজধানীর আশপাশে আধুনিক ঝিকঝাক ইটভাটা না হলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। যারা ঝিকঝাক ছাড়া ইটভাটা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন পরিবেশ অধিদফতর। অনেক ইটভাটার মালিকগণ পরিবেশের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকবছর ধরে ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়াচ্ছেন না পরিবেশ অধিদপ্তর। এর ফলে আরও বিপাকে পরেছেন ইটভাটার মালিকরা। এমনটি অভিযোগ ইটভাটার মালিকদের। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বার বার ইটভাটায় অভিযান চালানো হলে অনেক মালিক উচ্চ আদালতে রিট করেছেন।

এদিকে শ্রমিক আব্দুল আলী, রমজান হোসেন ও নারী শ্রমিক রওশন আরা বেগম বলেন, ইটভাটা বন্ধের কথা শুনে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। যে কাজ শিখছি তাই করে জীবন চালাতে হবে।

ইটভাটার মালিক নাজিম উদ্দিন ও রিয়াজ আহমেদ বলেন, একটি ইটভাটা তৈরি করতে কমপক্ষে ৭-৮ কোটি টাকা লাগে। ব্যাংক থেকে ২-৩ কোটি টাকা লোন নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। ইটভাটায় যে টাকা ব্যয় হয় তা উঠাতে কমপক্ষে ৫-৭ বছর সময় লাগে। প্রতিবছর শ্রমিকদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিতে হচ্ছে। হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে মালিকরা।

কেরানীগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা ইটভাটা নিয়ে প্রতিবছর বিপাকে পড়ছি। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয়াতে আবারও মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইটভাটা সরাতে হলে আরও তাদের সময় দিতে হবে। অল্পসময়ে ইটভাটার মালিকরা কিছুই করতে পারবেন না। আমাদের আরও ৫-৭ বছর সময় দিতে হবে। এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজধানীর আশপাশে ইটভাটা বন্ধের জন্য আমরা কাজ করছি। এই বছর ৮-১০টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। প্রতিটি ইটভাটা বন্ধের জন্য মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১৪ পৌষ ১৪২৬, ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ভাটা মালিকদের পরিবেশ দফতরের চিঠি

কেরানীগঞ্জে বন্ধ হচ্ছে দুই শতাধিক ইটভাটা

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রায় ২শত ইটভাটা। রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জর ইটভাটা বন্ধের জন্য ইটভাটা মালিকদের চিঠি দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ও কোন্ডা ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হওয়ার ঘোষণায় মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ কেরানীগঞ্জ উপজেলার ৮-১০টি ইটভাটা মালিকদের জরিমানা করেছেন। সরকারি নিয়ম নীতিমালা অনুযায়ী রাজধানীর আশপাশে আধুনিক ঝিকঝাক ইটভাটা না হলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। যারা ঝিকঝাক ছাড়া ইটভাটা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন পরিবেশ অধিদফতর। অনেক ইটভাটার মালিকগণ পরিবেশের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকবছর ধরে ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়াচ্ছেন না পরিবেশ অধিদপ্তর। এর ফলে আরও বিপাকে পরেছেন ইটভাটার মালিকরা। এমনটি অভিযোগ ইটভাটার মালিকদের। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বার বার ইটভাটায় অভিযান চালানো হলে অনেক মালিক উচ্চ আদালতে রিট করেছেন।

এদিকে শ্রমিক আব্দুল আলী, রমজান হোসেন ও নারী শ্রমিক রওশন আরা বেগম বলেন, ইটভাটা বন্ধের কথা শুনে আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। যে কাজ শিখছি তাই করে জীবন চালাতে হবে।

ইটভাটার মালিক নাজিম উদ্দিন ও রিয়াজ আহমেদ বলেন, একটি ইটভাটা তৈরি করতে কমপক্ষে ৭-৮ কোটি টাকা লাগে। ব্যাংক থেকে ২-৩ কোটি টাকা লোন নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। ইটভাটায় যে টাকা ব্যয় হয় তা উঠাতে কমপক্ষে ৫-৭ বছর সময় লাগে। প্রতিবছর শ্রমিকদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিতে হচ্ছে। হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ হলে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে মালিকরা।

কেরানীগঞ্জ ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা ইটভাটা নিয়ে প্রতিবছর বিপাকে পড়ছি। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয়াতে আবারও মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইটভাটা সরাতে হলে আরও তাদের সময় দিতে হবে। অল্পসময়ে ইটভাটার মালিকরা কিছুই করতে পারবেন না। আমাদের আরও ৫-৭ বছর সময় দিতে হবে। এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজধানীর আশপাশে ইটভাটা বন্ধের জন্য আমরা কাজ করছি। এই বছর ৮-১০টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। প্রতিটি ইটভাটা বন্ধের জন্য মালিকদের চিঠি দেয়া হয়েছে।