ছাগলনাইয়ায় রাজাকারের নামে সড়কে তোরণ নির্মাণে বিক্ষোভ

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌর শহরের উত্তর পানুয়া সড়কে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত প্রায় মাসখানেক আগে পৌরসভার অর্থায়নে পানুয়া সড়কে ওবায়দুল হক খোন্দকার ও তার স্ত্রীর নামে তোরণ নির্মাণ করা হয়। এটি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখিত সড়কে তোরণের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত চিঠি দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থাপনা অপসারণের দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফার বক্তব্য জানতে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির পরবর্তী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী আক্তার বলেন, এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের কোন স্থাপনা বা নামকরণ থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৮ পৌষ ১৪২৬, ৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ছাগলনাইয়ায় রাজাকারের নামে সড়কে তোরণ নির্মাণে বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, ফেনী

ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌর শহরের উত্তর পানুয়া সড়কে স্বাধীনতাবিরোধীর নামে সড়কে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত প্রায় মাসখানেক আগে পৌরসভার অর্থায়নে পানুয়া সড়কে ওবায়দুল হক খোন্দকার ও তার স্ত্রীর নামে তোরণ নির্মাণ করা হয়। এটি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখিত সড়কে তোরণের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত চিঠি দেয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থাপনা অপসারণের দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফার বক্তব্য জানতে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির পরবর্তী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী আক্তার বলেন, এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। এ ধরনের কোন স্থাপনা বা নামকরণ থাকলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।