গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষায় নীলফামারীরর সৈয়দপুরের ১৫টি, কুমিল্লার চান্দিায় ৯টি ও টঙ্গীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
চান্দিনা
কুমিল্লার চান্দিনায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাসের সাফল্য অর্জন করে। এ উপজেলায় ৩৫টি মাধ্যমিক ও নিম্ন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৭টি জিপিএ-৫ সহ ৯১ শতাংশ হারে পাস করেছে ৪ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। ২৭টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪টি জিপিএ-৫ সহ ৯৪.৬৫ শতাংশ হারে পাস করেছে ১ হাজার ৫০৫ জন। দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেœহাশীষ দাশ ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে ফলাফল পর্যালোচনা করে বক্তৃতা করেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী।
শতভাগ পাসের গৌরব অর্জনকারী ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হচ্ছে ২৭টি মাদ্রাসার মধ্যে ৬টি এবং ৩৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩টি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আবেদানূর উচ্চ বিদ্যালয়, আবেদানূর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দোল্লাই নবাবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাতাঘাসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বড়ইয়াকৃষ্ণপুর ফাযিল মাদ্রাসা, আবেদানূর ফাজিল মাদ্রাসা, অম্বরপুর বাইতুল জান্নাত দাখিল মাদ্রাসা, কংগাই পশ্চিমপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
সৈয়দপুর
সৈয়দপুরে জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ১১টি প্রতিষ্ঠানের ২৮৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগের তালিকায় এসেছে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে ঘোষিত ফলাফলে সৈয়দপুর উপজেলার এই সাফল্য উঠে এসেছে। এবার উপজেলার মোট ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯৯ জন করে জিপিএ-৫ পেয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এরপরে রয়েছে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬ জন শিক্ষার্থী।
তৃতীয় অবস্থানে আছে সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন শিক্ষার্থী। ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে আল-ফারুক একাডেমি ও মতিয়ার রহমান বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা। তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, হাজারীহাট স্কুল ও কলেজ এবং বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। এদিকে শতভাগ পাসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সৈয়দপুরের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট জেরোজা নিম্নœ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ।
টঙ্গী
টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় শত ভাগ পাস করেছে। এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪৬৬ জন ছাত্রছাত্রী। জিপি এ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন, পাসের হার শতভাগ। টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৩১জন ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পাস করেছে ৬২৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১২ জন, পাসের হার ৯৯.৫২। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ থেকে ৫৪০ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, পাস করেছে ৫২১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন, পাসের হার ৯৯.৪৩। টঙ্গীর আশরাফ টেক্সটাইল মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮জন ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, পাস করেছে ১৯০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, পাসের হার ৯৫.৯৬। টঙ্গীর মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৫৩জন পরীক্ষা দিয়েছে, পাস করেছে ১২৩ জন, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৪২জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে পাস করেছে ৩৩১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২০ , ১৯ পৌষ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
সংবাদ ন্যাশনাল ডেস্ক
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষায় নীলফামারীরর সৈয়দপুরের ১৫টি, কুমিল্লার চান্দিায় ৯টি ও টঙ্গীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাশ করেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
চান্দিনা
কুমিল্লার চান্দিনায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাসের সাফল্য অর্জন করে। এ উপজেলায় ৩৫টি মাধ্যমিক ও নিম্ন- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৭টি জিপিএ-৫ সহ ৯১ শতাংশ হারে পাস করেছে ৪ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। ২৭টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪টি জিপিএ-৫ সহ ৯৪.৬৫ শতাংশ হারে পাস করেছে ১ হাজার ৫০৫ জন। দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেœহাশীষ দাশ ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে ফলাফল পর্যালোচনা করে বক্তৃতা করেন প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী।
শতভাগ পাসের গৌরব অর্জনকারী ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হচ্ছে ২৭টি মাদ্রাসার মধ্যে ৬টি এবং ৩৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩টি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আবেদানূর উচ্চ বিদ্যালয়, আবেদানূর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দোল্লাই নবাবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘমারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাতাঘাসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বড়ইয়াকৃষ্ণপুর ফাযিল মাদ্রাসা, আবেদানূর ফাজিল মাদ্রাসা, অম্বরপুর বাইতুল জান্নাত দাখিল মাদ্রাসা, কংগাই পশ্চিমপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।
সৈয়দপুর
সৈয়দপুরে জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) ১১টি প্রতিষ্ঠানের ২৮৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগের তালিকায় এসেছে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে ঘোষিত ফলাফলে সৈয়দপুর উপজেলার এই সাফল্য উঠে এসেছে। এবার উপজেলার মোট ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯৯ জন করে জিপিএ-৫ পেয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এরপরে রয়েছে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬ জন শিক্ষার্থী।
তৃতীয় অবস্থানে আছে সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন শিক্ষার্থী। ৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে আল-ফারুক একাডেমি ও মতিয়ার রহমান বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা। তুলশীরাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ২ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১ জন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, হাজারীহাট স্কুল ও কলেজ এবং বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। এদিকে শতভাগ পাসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে সৈয়দপুরের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সেন্ট জেরোজা নিম্নœ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ।
টঙ্গী
টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষায় শত ভাগ পাস করেছে। এ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪৬৬ জন ছাত্রছাত্রী। জিপি এ-৫ পেয়েছে ৬৯ জন, পাসের হার শতভাগ। টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৩১জন ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। পাস করেছে ৬২৮ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১২ জন, পাসের হার ৯৯.৫২। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ থেকে ৫৪০ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, পাস করেছে ৫২১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন, পাসের হার ৯৯.৪৩। টঙ্গীর আশরাফ টেক্সটাইল মিলস্ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮জন ছাত্রছাত্রী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, পাস করেছে ১৯০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, পাসের হার ৯৫.৯৬। টঙ্গীর মুদাফা হাজী সৈয়দ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৫৩জন পরীক্ষা দিয়েছে, পাস করেছে ১২৩ জন, কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩৪২জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে পাস করেছে ৩৩১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।