কালীগঞ্জে নির্মাণাধীন ছালাভরা সেতুর দুই পাশে তীব্র যানজট

সন্ধ্যা হলেই গাড়ি চালক আর বাসের যাত্রীদের বাড়তি চিন্তা কখন তারা পার হবেন ব্রিজটি। কেননা একটু রাত হলেই দক্ষিণবঙ্গের মালবাহী হাজার হাজার ট্রাকের চাপে অন্ধকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে ভয়াবহ যানজট। তখন আর রক্ষা নেই। অপেক্ষা করতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখান থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথও নেই। ফলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে দুর্বিসহ সময় কাটাতে হবে গাড়ির লোকজন আর দূরপাল্লার যাত্রীদের। চিত্রটি যেন নিত্যদিনের। এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে খুলনা-কুষ্টিয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নির্মাণাধীন ছালাভরা ব্রিজটি ঘিরে।

হাইওয়ে প্রশাসন, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের ভাষ্য, দীর্ঘদিনের ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটি নির্মাণের কাজ চলছে। যানজটমুক্ত মহাসড়কের জন্য এ ব্রিজটির পাশেই বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা দরকার ছিল। কিন্তু তা না করে সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে যানজট নিত্যসঙ্গী হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্মাণাধীন ব্রিজটির দুই পাশেই খাল। যে খালের গভীরতা ২৮-৩০ ফুটেরও অধিক। ফলে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে নির্মাণাধীন ব্রিজের ওপরই সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রিজের ওপর দিয়েই চলছে সব যানবাহন। যদিও ব্রিজটির একপাশের গাড়ি ছাড়লে অন্যপাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে। এটাতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন যানবাহনের কিছু চালক আছে তারা নিয়ম ভঙ্গ করে বিশৃঙ্খলভাবে লাইন ছেড়ে আগে ওঠার চেষ্টা করছে। যে কারণে তাদের সৃষ্টির জন্য তারাও দায় এড়াতে পারেন না।

সরেজমিনে গত শুক্রবার রাতে এ মহাসড়কে গিলে দেখা যায়, কালীগঞ্জের ছালাভরা নির্মাণাধীন ব্রিজের দুইধারে সারিবদ্ধ যানবাহনের প্রায় ১৫ কিলোমিটারের লম্বা লাইন। যে লাইনে সন্ধ্যার পর থেকে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ মালবাহী ট্রাক ছোট বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। তারা ব্রিজের দু’ধারে অপেক্ষায় আছে বেইলি ব্রিজ পার হওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু যানবাহন নিয়ম ও লাইন ভেঙ্গে বিশৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে আগে উঠার চেষ্টা করার কারণে যানজটে আটকে রয়েছে। আর ঢাকা চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার গাড়িগুলোর যাত্রীরা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। গড়াই পরিবহনের আবুল কালাম নামের এক বাস চালক জানান, তারা সকালে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনায় গিয়েছিলেন। এরপর বিকেলে খুলনা থেকে ফিরতি টিপে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মহাসড়কের কালীগঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের জন্য ভয়াবহ যানজটের শিকার হয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন। তিনি বলেন, এমন অবস্থা প্রায় দিনই ঘটছে। কোন কোন দিন যাত্রী বোঝাই গাড়ি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কিছু কিছুদিন রাতের শেষ ভাগে কুষ্টিয়ায় পৌঁছে বাসায় ফেরেন। আবার সকাল হলেই গাড়ি নিয়ে রওনা দিতে হয়। শ্রমজীবী মানুষ তারা ফলে ঠিকমতো না ঘুমিয়েও তাদের পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে ছুটতে হয়। জেলার মহেশপুরের সাইদুর রহমান নামের ঢাকা পরিবহনের যাত্রী জানান, বিকেলের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছেন। সকালে ঢাকায় গিয়ে অফিস ধরবেন। কিন্তু কালীঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের আগে গাড়ির লম্বা লাইনের যানজটে আটকে গেছেন। শীতের ঠাণ্ডা রাত এখন হয়ত ব্রিজ পার হতেই রাত কেটে যাবে। আলমগীর হোসেন নামের গড়াই পরিবহনের এক যাত্রী বলেন, দুপুরের পরই তিনি গড়াই পরিবহনে উঠে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু কালীগঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের আগেই যানজটে আটকে আছেন। বেশ রাত হয়ে গেছে। শুনছি এখান থেকে ব্রিজের দুই ধারে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কখনও বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন জানিনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়লেও সমস্যা নেই। কিন্তু কোন কোন গাড়ির চালক খামখেয়ালী করে অযথা আগে উঠার চেষ্টা করে যানজটটা আরও দীর্ঘস্থায়ী করছে।

কালীগঞ্জের তোতা মিয়া নামের ঢাকাগামী বাসের এক টিকিট কাউন্টার মালিকসহ একাধিক পরিবহনের চালক জানান, কালীগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী রাতের অনেক পরিবহন ছালাভরা ব্রিজের যানজটের ঝামেলা এড়াতে কালীগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে গ্রামের সড়ক ধরে আড়পাড়া হয়ে মাগুরায় উঠছেন। আবার কোন কোন ঢাকার পরিবহন শহরের মধ্যদিয়ে নারিকেলবাড়িয়া বাজার হয়ে সরু সড়কে গোপালপুর বাজারে উঠছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তারা আরও জানান,দিনের বেলায় শহরের মধ্যদিয়ে গেলে শহরের মধ্যে আবার যানজটে আটকে যাচ্ছেন। ফলে ঝামেলা তাদের পিছু ছাড়ছে না।

হাইওয়ে পুলিশের এস আই কালীপদ বিশ্বাস যানজটের কথাটি স্বীকার করে জানান, নির্মাণাধীন ব্রিজটি ঘিরেই মূলত যানজট। প্রায় প্রতি রাতেই দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন ব্রিজটি নির্মাণের আগে নির্মাণাধীন ব্রিজটির দু’ধারে অবশ্যই বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা না করে ব্রিজটির এক পাশে সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যে ব্রিজটি দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চালের ব্যস্ততম মহাসড়কটিতে যানজট লেগে থাকছে। তিনি বলেন, মংলা সমুদ্র বন্দর, ভোমরা বন্দর ও বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ছাড় হওয়া মালামালের মালবাহী ট্রাকসহ দক্ষিণাঞ্চালের সমস্ত মালামালের ট্রাক এ মহাসড়ক দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। আর মালবাহী ট্রাকের চাপটা বেশি থাকে রাতে। এরপরেও রয়েছে দূরপাল্লাসহ স্থানীয় রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস। ফলে পরিবহন আধিক্য ও সরু ব্রিজের কারণে যানজট লেগে থাকে। যা কোন কোন রাতে অসহনীয় যানজটে রুপ নিয়ে ১৫-২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।

image

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ছালাভরা এলাকায় সরু লোহার সেতু -সংবাদ

আরও খবর
দশমিনায় ২ গ্রামের মানুষের ভরসা ভাঙা বাঁশের সাঁকো
সাতক্ষীরায় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত
চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় হকার নেতা নিহত
ফটিকছড়িতে সর্তার ভাঙনে গৃহহীন ১৩০ পরিবার বর্ষার আগে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি
জগন্নাথপুরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণে পিআইসির অপারগতা
ফটিকছড়িতে চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাধায় সরকারি বাগান সৃজন কাজ বন্ধ
রাজিবপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে দিনের বেলা চালু হলো এ্যাডভেঞ্চার-৫
কাহালুতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার
সৈয়দপুরে রেলের জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
সরাইলে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ

শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২০ , ২১ পৌষ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কালীগঞ্জে নির্মাণাধীন ছালাভরা সেতুর দুই পাশে তীব্র যানজট

সাবজাল হোসেন, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

image

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ছালাভরা এলাকায় সরু লোহার সেতু -সংবাদ

সন্ধ্যা হলেই গাড়ি চালক আর বাসের যাত্রীদের বাড়তি চিন্তা কখন তারা পার হবেন ব্রিজটি। কেননা একটু রাত হলেই দক্ষিণবঙ্গের মালবাহী হাজার হাজার ট্রাকের চাপে অন্ধকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে ভয়াবহ যানজট। তখন আর রক্ষা নেই। অপেক্ষা করতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এখান থেকে বের হওয়ার বিকল্প পথও নেই। ফলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে দুর্বিসহ সময় কাটাতে হবে গাড়ির লোকজন আর দূরপাল্লার যাত্রীদের। চিত্রটি যেন নিত্যদিনের। এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে খুলনা-কুষ্টিয়া ব্যস্ততম মহাসড়কের ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নির্মাণাধীন ছালাভরা ব্রিজটি ঘিরে।

হাইওয়ে প্রশাসন, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের ভাষ্য, দীর্ঘদিনের ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটি নির্মাণের কাজ চলছে। যানজটমুক্ত মহাসড়কের জন্য এ ব্রিজটির পাশেই বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা দরকার ছিল। কিন্তু তা না করে সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে যানজট নিত্যসঙ্গী হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্মাণাধীন ব্রিজটির দুই পাশেই খাল। যে খালের গভীরতা ২৮-৩০ ফুটেরও অধিক। ফলে বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে নির্মাণাধীন ব্রিজের ওপরই সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রিজের ওপর দিয়েই চলছে সব যানবাহন। যদিও ব্রিজটির একপাশের গাড়ি ছাড়লে অন্যপাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে। এটাতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন যানবাহনের কিছু চালক আছে তারা নিয়ম ভঙ্গ করে বিশৃঙ্খলভাবে লাইন ছেড়ে আগে ওঠার চেষ্টা করছে। যে কারণে তাদের সৃষ্টির জন্য তারাও দায় এড়াতে পারেন না।

সরেজমিনে গত শুক্রবার রাতে এ মহাসড়কে গিলে দেখা যায়, কালীগঞ্জের ছালাভরা নির্মাণাধীন ব্রিজের দুইধারে সারিবদ্ধ যানবাহনের প্রায় ১৫ কিলোমিটারের লম্বা লাইন। যে লাইনে সন্ধ্যার পর থেকে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ মালবাহী ট্রাক ছোট বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। তারা ব্রিজের দু’ধারে অপেক্ষায় আছে বেইলি ব্রিজ পার হওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু যানবাহন নিয়ম ও লাইন ভেঙ্গে বিশৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে আগে উঠার চেষ্টা করার কারণে যানজটে আটকে রয়েছে। আর ঢাকা চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার গাড়িগুলোর যাত্রীরা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। গড়াই পরিবহনের আবুল কালাম নামের এক বাস চালক জানান, তারা সকালে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনায় গিয়েছিলেন। এরপর বিকেলে খুলনা থেকে ফিরতি টিপে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু মহাসড়কের কালীগঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের জন্য ভয়াবহ যানজটের শিকার হয়ে রাস্তায় পড়ে আছেন। তিনি বলেন, এমন অবস্থা প্রায় দিনই ঘটছে। কোন কোন দিন যাত্রী বোঝাই গাড়ি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কিছু কিছুদিন রাতের শেষ ভাগে কুষ্টিয়ায় পৌঁছে বাসায় ফেরেন। আবার সকাল হলেই গাড়ি নিয়ে রওনা দিতে হয়। শ্রমজীবী মানুষ তারা ফলে ঠিকমতো না ঘুমিয়েও তাদের পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে ছুটতে হয়। জেলার মহেশপুরের সাইদুর রহমান নামের ঢাকা পরিবহনের যাত্রী জানান, বিকেলের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছেন। সকালে ঢাকায় গিয়ে অফিস ধরবেন। কিন্তু কালীঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের আগে গাড়ির লম্বা লাইনের যানজটে আটকে গেছেন। শীতের ঠাণ্ডা রাত এখন হয়ত ব্রিজ পার হতেই রাত কেটে যাবে। আলমগীর হোসেন নামের গড়াই পরিবহনের এক যাত্রী বলেন, দুপুরের পরই তিনি গড়াই পরিবহনে উঠে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু কালীগঞ্জের ছালাভরা ব্রিজের আগেই যানজটে আটকে আছেন। বেশ রাত হয়ে গেছে। শুনছি এখান থেকে ব্রিজের দুই ধারে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কখনও বাড়ি পৌঁছাতে পারবেন জানিনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়লেও সমস্যা নেই। কিন্তু কোন কোন গাড়ির চালক খামখেয়ালী করে অযথা আগে উঠার চেষ্টা করে যানজটটা আরও দীর্ঘস্থায়ী করছে।

কালীগঞ্জের তোতা মিয়া নামের ঢাকাগামী বাসের এক টিকিট কাউন্টার মালিকসহ একাধিক পরিবহনের চালক জানান, কালীগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী রাতের অনেক পরিবহন ছালাভরা ব্রিজের যানজটের ঝামেলা এড়াতে কালীগঞ্জ শহরের মধ্যদিয়ে গ্রামের সড়ক ধরে আড়পাড়া হয়ে মাগুরায় উঠছেন। আবার কোন কোন ঢাকার পরিবহন শহরের মধ্যদিয়ে নারিকেলবাড়িয়া বাজার হয়ে সরু সড়কে গোপালপুর বাজারে উঠছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তারা আরও জানান,দিনের বেলায় শহরের মধ্যদিয়ে গেলে শহরের মধ্যে আবার যানজটে আটকে যাচ্ছেন। ফলে ঝামেলা তাদের পিছু ছাড়ছে না।

হাইওয়ে পুলিশের এস আই কালীপদ বিশ্বাস যানজটের কথাটি স্বীকার করে জানান, নির্মাণাধীন ব্রিজটি ঘিরেই মূলত যানজট। প্রায় প্রতি রাতেই দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন ব্রিজটি নির্মাণের আগে নির্মাণাধীন ব্রিজটির দু’ধারে অবশ্যই বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেটা না করে ব্রিজটির এক পাশে সরু বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। যে ব্রিজটি দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চালের ব্যস্ততম মহাসড়কটিতে যানজট লেগে থাকছে। তিনি বলেন, মংলা সমুদ্র বন্দর, ভোমরা বন্দর ও বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ছাড় হওয়া মালামালের মালবাহী ট্রাকসহ দক্ষিণাঞ্চালের সমস্ত মালামালের ট্রাক এ মহাসড়ক দিয়েই যাতায়াত করে থাকে। আর মালবাহী ট্রাকের চাপটা বেশি থাকে রাতে। এরপরেও রয়েছে দূরপাল্লাসহ স্থানীয় রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস। ফলে পরিবহন আধিক্য ও সরু ব্রিজের কারণে যানজট লেগে থাকে। যা কোন কোন রাতে অসহনীয় যানজটে রুপ নিয়ে ১৫-২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।