জন্ম : ২১ পৌষ ১২৮৯ বঙ্গাব্দ, বরিশাল
মৃত্যু : রাসবিহারী এভিনিউ, কেলকাতা
কুসুমকুমারী দাশ বাঙালি কবি। তিনি কবি জীবনানন্দ দাশের মা। তার রচিত কবিতা আদর্শ ছেলে, যার প্রথম চরণ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’, পাঠক মহলে সর্বাধিক পরিচিত।
কবি কুসুমকুমারী দাশ এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা চন্দ্রনাথ দাস এবং মা ধনমণি। চন্দ্রনাথ ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করায় গ্রামবাসীদের বিরোধিতায় ‘গৈলা’ গ্রামের পৈতৃক ভিটা ছেড়ে বরিশালে চলে আসেন। কুসুমকুমারী বরিশাল ব্রাহ্মসমাজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের হাইস্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। এরপর নানা কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি কলকাতা বেথুন স্কুলে ভর্তি হন।
প্রবেশিকা শ্রেণীতে পড়ার সময়েই ১৮৯৪ সালে তার বিয়ে হয় বরিশালের ব্রজমোহন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সত্যানন্দ দাসের সঙ্গে। তারই অনুপ্রেরণায় কুসুমকুমারী সাহিত্য চর্চ্চা চালিয়ে যান। বরিশালের ব্রাহ্মসমাজের সভা-উৎসব-অনুষ্ঠানে কুসুমকুমারী যোগদান করতেন। তিনি ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই, বরিশাল ছাত্র সংঘের সপ্তাহকালব্যাপী মাঘোৎসবের মহিলা দিবসের উপাসনায় আচার্যের কাজ করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন কুসুমকুমারী। তার অল্প কিছু কবিতা প্রবাসী ও মুকুল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার কবিতায় বার বার এসেছে ধর্ম, নীতিবোধ, দেশাত্মবোধ। কাব্য মুকুল (১৮৯৬) তার কাব্যগ্রন্থ। পৌরানিক আখ্যায়িকা নামের একটি গদ্যগ্রন্থও তিনি রচনা করেন।
ইন্টারনেট
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২০ , ২১ পৌষ ১৪২৬, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
জন্ম : ২১ পৌষ ১২৮৯ বঙ্গাব্দ, বরিশাল
মৃত্যু : রাসবিহারী এভিনিউ, কেলকাতা
কুসুমকুমারী দাশ বাঙালি কবি। তিনি কবি জীবনানন্দ দাশের মা। তার রচিত কবিতা আদর্শ ছেলে, যার প্রথম চরণ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’, পাঠক মহলে সর্বাধিক পরিচিত।
কবি কুসুমকুমারী দাশ এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা চন্দ্রনাথ দাস এবং মা ধনমণি। চন্দ্রনাথ ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করায় গ্রামবাসীদের বিরোধিতায় ‘গৈলা’ গ্রামের পৈতৃক ভিটা ছেড়ে বরিশালে চলে আসেন। কুসুমকুমারী বরিশাল ব্রাহ্মসমাজ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের হাইস্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। এরপর নানা কারণে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি কলকাতা বেথুন স্কুলে ভর্তি হন।
প্রবেশিকা শ্রেণীতে পড়ার সময়েই ১৮৯৪ সালে তার বিয়ে হয় বরিশালের ব্রজমোহন ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সত্যানন্দ দাসের সঙ্গে। তারই অনুপ্রেরণায় কুসুমকুমারী সাহিত্য চর্চ্চা চালিয়ে যান। বরিশালের ব্রাহ্মসমাজের সভা-উৎসব-অনুষ্ঠানে কুসুমকুমারী যোগদান করতেন। তিনি ১৩১৯ থেকে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বছরই, বরিশাল ছাত্র সংঘের সপ্তাহকালব্যাপী মাঘোৎসবের মহিলা দিবসের উপাসনায় আচার্যের কাজ করেছেন।
ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন কুসুমকুমারী। তার অল্প কিছু কবিতা প্রবাসী ও মুকুল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার কবিতায় বার বার এসেছে ধর্ম, নীতিবোধ, দেশাত্মবোধ। কাব্য মুকুল (১৮৯৬) তার কাব্যগ্রন্থ। পৌরানিক আখ্যায়িকা নামের একটি গদ্যগ্রন্থও তিনি রচনা করেন।
ইন্টারনেট