অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজু’র

কুমিল্লার মুরাদনগরের দারোরা গ্রামের এক সময়ের রাজ পথ কাঁপানো আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়া (৭০) হাঁটুর তীব্র ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তিনি বাড়িতে প্রায় শয্যাশায়ী। তাঁর জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজারের উত্তর পাশে।

মুক্তিযোদ্ধা রেজু মিয়ার বাল্যবন্ধু দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে শিলিগুড়িতে ট্রেনিং নেয়ার সময় আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়া হাঁটুতে প্রচ- চোট পান। মাঝেমধ্যে হাঁটুর ব্যথায় ভুগতেন তিনি। ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়ে ওঠেনি সে সময়ে। এখন তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ব্যথার কারণে তিনি নড়াচড়া করতে পারেন না। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসি শীঘ্রই অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অস্ত্রোপচার করা না হলে তিনি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ভাতার টাকায় কোনরকমে তাদের সংসার চলছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ও কমান্ডের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়াকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। এখন তার চিকিৎসায় মোটা অঙ্কের টাকা দরকার। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা রেজু মিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২০ , ২২ পৌষ ১৪২৬, ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজু’র

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

image

হুইল চেয়ারে মুক্তিযোদ্ধা রেজু মিয়া -সংবাদ

কুমিল্লার মুরাদনগরের দারোরা গ্রামের এক সময়ের রাজ পথ কাঁপানো আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়া (৭০) হাঁটুর তীব্র ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তিনি বাড়িতে প্রায় শয্যাশায়ী। তাঁর জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজারের উত্তর পাশে।

মুক্তিযোদ্ধা রেজু মিয়ার বাল্যবন্ধু দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে শিলিগুড়িতে ট্রেনিং নেয়ার সময় আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়া হাঁটুতে প্রচ- চোট পান। মাঝেমধ্যে হাঁটুর ব্যথায় ভুগতেন তিনি। ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়ে ওঠেনি সে সময়ে। এখন তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ব্যথার কারণে তিনি নড়াচড়া করতে পারেন না। সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসি শীঘ্রই অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অস্ত্রোপচার করা না হলে তিনি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু ভাতার টাকায় কোনরকমে তাদের সংসার চলছে। তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ও কমান্ডের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক রেজু মিয়াকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন। এখন তার চিকিৎসায় মোটা অঙ্কের টাকা দরকার। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা রেজু মিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।