দুই যুগেও পাকা সেতু হয়নি দুর্ভোগে দু’ইউপির মানুষ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ও কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী জারির দোনাখালের ওপর দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। বছরের পর বছর স্থানীয়দের ব্যয়ে নির্মিত সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় দুই উপজেলার হাজারও বাসিন্দা। দু’-চার মাস পর পর মেরামতও করেন এলাকাবাসী।

এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। প্রতিদিন ওই দুই ইউনিয়নের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পারাপার হয় সাঁকো দিয়ে। ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও পার হতে হয় নড়বড়ে সাঁকো। এভাবেই বছরের পর বছর জোড়াতালি দেয়া সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসলেও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। পরে আলেকজান্ডার ওপাটোয়ারিরহাট ইউনিয়নের সচেতন লোকজন উদ্যোগ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামের লোকজনের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে ফের নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা বলেছেন, বারবার ক্ষমতা ও জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন হলেও তাদের ভাগ্যে পরির্বতন হয়নি। তাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখার যেনো কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার বান করে থাকেন। সাঁকো মেরামতে রাজনৈতিক নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি কেউই এগিয়ে আসেনি। মেলেনি সরকারি কোন বরাদ্দ।

স্থানীয় পাটারিরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাস্টার বলেন, সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়লেই দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সাঁকো মেরামত করা হয়, কেউ এগিয়ে আসে না। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, ওই খালের ওপর দিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২৩ পৌষ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দুই যুগেও পাকা সেতু হয়নি দুর্ভোগে দু’ইউপির মানুষ

সানাউল্লাহ সানু, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)॥

image

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) : জারিরদোনা খালের উপর নড়বড়ে কাঠের সেতু -সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ও কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী জারির দোনাখালের ওপর দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। বছরের পর বছর স্থানীয়দের ব্যয়ে নির্মিত সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় দুই উপজেলার হাজারও বাসিন্দা। দু’-চার মাস পর পর মেরামতও করেন এলাকাবাসী।

এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। প্রতিদিন ওই দুই ইউনিয়নের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ পারাপার হয় সাঁকো দিয়ে। ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও পার হতে হয় নড়বড়ে সাঁকো। এভাবেই বছরের পর বছর জোড়াতালি দেয়া সাঁকো দিয়ে চলাচল করে আসলেও সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। পরে আলেকজান্ডার ওপাটোয়ারিরহাট ইউনিয়নের সচেতন লোকজন উদ্যোগ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামের লোকজনের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে ফের নির্মাণ করেন। স্থানীয়রা বলেছেন, বারবার ক্ষমতা ও জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন হলেও তাদের ভাগ্যে পরির্বতন হয়নি। তাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখার যেনো কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার বান করে থাকেন। সাঁকো মেরামতে রাজনৈতিক নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি কেউই এগিয়ে আসেনি। মেলেনি সরকারি কোন বরাদ্দ।

স্থানীয় পাটারিরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাস্টার বলেন, সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়লেই দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সাঁকো মেরামত করা হয়, কেউ এগিয়ে আসে না। কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, ওই খালের ওপর দিয়ে সেতু নির্মাণের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।