টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পাঁচ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রের কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দুটি কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। এতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানান, ইট, খোয়া, বালু, চুন, সুরকি ক্ষয়ে পড়ায় গত পাঁচ বছর আগে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ত্রিশ হাজার জনসংখ্যার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্চার একমাত্র এই কেন্দ্রটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ওই কেন্দ্রের কার্যক্রম বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দুটি কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে ওই ইউনিয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্জা বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ভিজিটর ও একজন আয়া কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত চার বছর আগে কেন্দ্রটি পুনর্নির্মাণের জন্য সরকার ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্ত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বেশি হওয়ায় ওই সময়ে কোন ঠিকাদার তা বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি।
ফলে কেন্দ্রটি পুনর্নির্মাণ আর হয়নি। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংসদের ডিও লেটারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত পুনর্বরাদ্দ মেলেনি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরিচর্জার এই কেন্দ্রটি আর পুনর্নির্মিত হয়নি।
একই কথা বলেন, বাঁশতৈল এম মুনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস রাজ্জাক বিএসসি। ফলে এই ইউনিয়নের মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচচর্জা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২০ , ২৪ পৌষ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
শামসুল ইসলাম শহীদ, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পাঁচ বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রের কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দুটি কক্ষে পরিচালিত হচ্ছে। এতে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানান, ইট, খোয়া, বালু, চুন, সুরকি ক্ষয়ে পড়ায় গত পাঁচ বছর আগে উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ত্রিশ হাজার জনসংখ্যার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্চার একমাত্র এই কেন্দ্রটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই ওই কেন্দ্রের কার্যক্রম বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দুটি কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে ওই ইউনিয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্জা বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ভিজিটর ও একজন আয়া কর্মরত রয়েছেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গত চার বছর আগে কেন্দ্রটি পুনর্নির্মাণের জন্য সরকার ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্ত নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বেশি হওয়ায় ওই সময়ে কোন ঠিকাদার তা বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি।
ফলে কেন্দ্রটি পুনর্নির্মাণ আর হয়নি। পরবর্তীতে স্থানীয় সাংসদের ডিও লেটারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত পুনর্বরাদ্দ মেলেনি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য পরিচর্জার এই কেন্দ্রটি আর পুনর্নির্মিত হয়নি।
একই কথা বলেন, বাঁশতৈল এম মুনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস রাজ্জাক বিএসসি। ফলে এই ইউনিয়নের মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচচর্জা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।