চরফ্যাশনে টাকা ছাড়া মেলেনা বিনামূল্যের বই

চরফ্যাশনে মূল্যছাড়া মিলছে না বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যপস্তক। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যের বই পেতে শিশু শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে ১শ’ থেকে দেড়শত টাকা। ভর্তির ফি, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং ছবকের মিলাদ খরচের নামে বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যপুস্তকের বিনিময়ে শিশুদের হাত থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ২১২টি বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকের বিনিময়ে টাকা আদায়ের হিড়িক চললেও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখাগেছে, উপজেলার বেশীর বিদ্যালয়ে বই এখনো বিতরণ করা হয়নি। বিদ্যায়ের শিক্ষকরা এজন্য বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের গড় অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টাকাছাড়া শিক্ষকরা বই দিচ্ছেন না। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ, ছবক ও ভর্তির ফির অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বই দেয়া হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পর্যায়ক্রমে টাকা দিয়ে বই নিচ্ছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকা জানান, সরকারিভাবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য স্কুলপ্রতি ১ হাজার টাকা এবং বই পরিবহনের জন্য ৪শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সীমিত এই অর্থে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কিংবা উপজেলা সদর থেকে স্কুল পর্যন্ত বই পরিবহন সম্ভব হয় না। পাশাপাশি ছবকের মিলাদের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। এসব খরচ জোগান দেয়ার জন্য বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের থেকে কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে নাম পরিচয় জানিয়ে কোন শিক্ষক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মায়া সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী জানান, মায়া সর. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং দক্ষিণ মায়া বিদ্যালয়ে বই দিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিভাবকরা মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কোন বিদ্যালয় থেকে এমন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, কোন যৌক্তিতে বই দিয়ে টাকা নেয়া গ্রহণযোগ্য না।

আরও খবর
শ্রীমাই খাল থেকে দৈনিক ৭শ’ ট্রাক বালু উত্তোলন : হুমকিতে বাঁধ-সেতু
শাবির তৃতীয় সমাবর্তন আজ
সিদ্ধিরগঞ্জে চালক হত্যা : গ্রেফতার ৪
বাঁশখালীর খাটখালী ঘাটে টোলের নামে চাঁদাবাজি
শিক্ষকের পাকা ঘরে খালের পানি নিষ্কাশন বন্ধ! জলাবদ্ধ বোরো জমি
মেসে আটকে মুক্তিপণ আটক ৭
কলাপাড়া হাসপাতালে নিউমোনিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের ভিড়
শেরপুরে ৬২ হাজার ইউএস ডলারসহ আটক ১
বগুড়ায় ২ কেজি গাঁজাসহ ধৃত ২
চট্টগ্রামে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার
অষ্টগ্রামে অতিরিক্ত ও ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলো
ঝিকরগাছায় আসবাবপত্র ব্যবসায়ী নিখোঁজ
ফেনীতে গাড়ি ভাঙচুর চাঁদাবাজির মামলায় ব্যবসায়ী গ্রেফতার

বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২০ , ২৫ পৌষ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

চরফ্যাশনে টাকা ছাড়া মেলেনা বিনামূল্যের বই

প্রতিনিধি, চরফ্যাশন (ভোলা)

চরফ্যাশনে মূল্যছাড়া মিলছে না বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যপস্তক। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যের বই পেতে শিশু শিক্ষার্থীদের গুনতে হচ্ছে ১শ’ থেকে দেড়শত টাকা। ভর্তির ফি, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং ছবকের মিলাদ খরচের নামে বিনামূল্যের সরকারি পাঠ্যপুস্তকের বিনিময়ে শিশুদের হাত থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ২১২টি বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকের বিনিময়ে টাকা আদায়ের হিড়িক চললেও উপজেলা শিক্ষা প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখাগেছে, উপজেলার বেশীর বিদ্যালয়ে বই এখনো বিতরণ করা হয়নি। বিদ্যায়ের শিক্ষকরা এজন্য বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের গড় অনুপস্থিতিকে দায়ী করেছেন। তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টাকাছাড়া শিক্ষকরা বই দিচ্ছেন না। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ, ছবক ও ভর্তির ফির অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বই দেয়া হচ্ছে। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পর্যায়ক্রমে টাকা দিয়ে বই নিচ্ছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকা জানান, সরকারিভাবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য স্কুলপ্রতি ১ হাজার টাকা এবং বই পরিবহনের জন্য ৪শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সীমিত এই অর্থে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা কিংবা উপজেলা সদর থেকে স্কুল পর্যন্ত বই পরিবহন সম্ভব হয় না। পাশাপাশি ছবকের মিলাদের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। এসব খরচ জোগান দেয়ার জন্য বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের থেকে কিছু টাকা নেয়া হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে নাম পরিচয় জানিয়ে কোন শিক্ষক মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মায়া সরকারি প্রাথিমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী জানান, মায়া সর. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং দক্ষিণ মায়া বিদ্যালয়ে বই দিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিভাবকরা মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কোন বিদ্যালয় থেকে এমন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র হালদার জানান, কোন যৌক্তিতে বই দিয়ে টাকা নেয়া গ্রহণযোগ্য না।