তজুমদ্দিনে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ৪ দিনে উদ্ধার

ভোলার তজুমদ্দিনে নানা বাড়ি বেড়াতে আসা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে। ৩ দিন পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গত রোববার রাতে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। হাসপাতালে আনার সময়ও ধর্ষক বখাটে রাকিব বাহিনী বাধা দেয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও ইয়াছিনগঞ্জ নতুন বাজারের ইজাদারের সফিউল্লাহ’র ছেলে মো. রাকিবসহ তার সঙ্গীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। রাকিব খাসেরহাট শাহেআলম কলেজের (গেল বছর এইচএসসি ফেলকরা) বখাটে ছাত্র। থানায় নতুন যোগদানকারী ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। পুলিশ টিম অভিযানে রয়েছে। এদিকে এমন ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে রাকিবের পিতাসহ প্রভাবশালীরা। এরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ভোলা হাসপাতালে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলায় সম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ইয়াছিনগঞ্জ নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। ২ জানুয়ারি এশার নামাজের সময় একই বাড়ির শফিউল্লাহ পুত্র বখাটে যুবক মো. রাকিব (২২)সহ ৩ জন যুবক ভিকটিমকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে সুপারি বাগানে পরে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম (ছাত্রীটি) অজ্ঞান হয়ে গেলে একটি কক্ষে হাতপা বেধে তালাবন্দী করে রাখে। ভিকটিমের স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির ৩ দিন পর বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিতে গেলে বাধা দেয় রাকিবের পিতা বাজার ইজারাদার সফিউল্লাহসহ কয়েকজন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা চালায়। পরে রাতে গোপানে ভোলা হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয় ওই ছাত্রীকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে একই সঙ্গে ঘাতক ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করে। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, ওই রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ বা আদালত থেকে চাওয়া হলে ওই রির্পোট দেয়া হবে। তবে ভিকটিম মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি তজুমদ্দিন থানায় রাকিবসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। খাসেরহাট শাহেআলম কলেজের অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন জানান, মো. রাকিব গত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় এবার পুনরায় ফরম ফিলাপ করেছে। স্থানীয়রা জানান, রাখিব বখাটে ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিও সেবনের অভিযোগও রয়েছে। ইয়াছিনগঞ্জ বাজার ইজারাদারের একমাত্র ছেলে হওয়ায়, ওই বাজাছে রয়েছে তার উশৃঙ্খল বিচরণ। ভয়ে অনেকেই এসবের বাধা দিতে সাহস পায় না।

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২০ , ২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

তজুমদ্দিনে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ৪ দিনে উদ্ধার

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলার তজুমদ্দিনে নানা বাড়ি বেড়াতে আসা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে। ৩ দিন পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গত রোববার রাতে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। হাসপাতালে আনার সময়ও ধর্ষক বখাটে রাকিব বাহিনী বাধা দেয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও ইয়াছিনগঞ্জ নতুন বাজারের ইজাদারের সফিউল্লাহ’র ছেলে মো. রাকিবসহ তার সঙ্গীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। রাকিব খাসেরহাট শাহেআলম কলেজের (গেল বছর এইচএসসি ফেলকরা) বখাটে ছাত্র। থানায় নতুন যোগদানকারী ওসি এসএম জিয়াউল হক জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। পুলিশ টিম অভিযানে রয়েছে। এদিকে এমন ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে রাকিবের পিতাসহ প্রভাবশালীরা। এরা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ভোলা হাসপাতালে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলায় সম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ইয়াছিনগঞ্জ নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। ২ জানুয়ারি এশার নামাজের সময় একই বাড়ির শফিউল্লাহ পুত্র বখাটে যুবক মো. রাকিব (২২)সহ ৩ জন যুবক ভিকটিমকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে সুপারি বাগানে পরে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম (ছাত্রীটি) অজ্ঞান হয়ে গেলে একটি কক্ষে হাতপা বেধে তালাবন্দী করে রাখে। ভিকটিমের স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির ৩ দিন পর বিকেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিতে গেলে বাধা দেয় রাকিবের পিতা বাজার ইজারাদার সফিউল্লাহসহ কয়েকজন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা চালায়। পরে রাতে গোপানে ভোলা হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয় ওই ছাত্রীকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে একই সঙ্গে ঘাতক ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করে। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. তৈয়বুর রহমান জানান, ওই রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ বা আদালত থেকে চাওয়া হলে ওই রির্পোট দেয়া হবে। তবে ভিকটিম মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি তজুমদ্দিন থানায় রাকিবসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। খাসেরহাট শাহেআলম কলেজের অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন জানান, মো. রাকিব গত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় এবার পুনরায় ফরম ফিলাপ করেছে। স্থানীয়রা জানান, রাখিব বখাটে ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিও সেবনের অভিযোগও রয়েছে। ইয়াছিনগঞ্জ বাজার ইজারাদারের একমাত্র ছেলে হওয়ায়, ওই বাজাছে রয়েছে তার উশৃঙ্খল বিচরণ। ভয়ে অনেকেই এসবের বাধা দিতে সাহস পায় না।