ফুলবাড়ীতে পিয়াজের দাম বেড়েছে

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তিন দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০টাকা। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) ও গতকাল বুধবার স্থানীয় হাটবাজারে ওই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। অথচ গত শনিবারই (৪ জানুয়ারি) একই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

ফুলবাড়ী পৌর শহরের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম বলেন, ৩-৪ দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি করেছিলেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এরপর ক্রমান্বয়ে দাম বেড়ে গত মঙ্গলবার ওই পিয়াজ পাইকাড়ি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। ওই পিয়াজে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) পিয়াজ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। ওই পিয়াজের খুচরা বাজার ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু এক রাতেই পিয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে পরদিন রবিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯৫ টাকায়। ওইদিন রাতেই আবার ২০ টাকা বেড়ে পরদিন সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২৫ টাকায়। আবার সোমবার রাতেই কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পরদিন গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৩৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে একই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজার মূল্যের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে।

পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ব্যাপারে নিয়মিত বাজার তদারকি করা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, পিয়াজসহ সবকিছুরই বাজার নিয়মিতভাবে তদারকি করা হচ্ছে। তবে নিজের লাভের জন্য কেই সিন্ডিকেট করে পিয়াজের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২০ , ২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ফুলবাড়ীতে পিয়াজের দাম বেড়েছে

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে তিন দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৪০টাকা। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) ও গতকাল বুধবার স্থানীয় হাটবাজারে ওই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। অথচ গত শনিবারই (৪ জানুয়ারি) একই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

ফুলবাড়ী পৌর শহরের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সামসুল ইসলাম বলেন, ৩-৪ দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি করেছিলেন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এরপর ক্রমান্বয়ে দাম বেড়ে গত মঙ্গলবার ওই পিয়াজ পাইকাড়ি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। ওই পিয়াজে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) পিয়াজ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। ওই পিয়াজের খুচরা বাজার ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। কিন্তু এক রাতেই পিয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে পরদিন রবিবার (৫ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৯৫ টাকায়। ওইদিন রাতেই আবার ২০ টাকা বেড়ে পরদিন সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১২৫ টাকায়। আবার সোমবার রাতেই কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পরদিন গতকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৩৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে একই পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজার মূল্যের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে।

পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ব্যাপারে নিয়মিত বাজার তদারকি করা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, পিয়াজসহ সবকিছুরই বাজার নিয়মিতভাবে তদারকি করা হচ্ছে। তবে নিজের লাভের জন্য কেই সিন্ডিকেট করে পিয়াজের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।