সাতক্ষীরার অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার দোষীদের শাস্তি দাবি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মাননবন্ধন চলাকালে আমরাই পারি’ সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে পথ সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।

বক্তারা বলেন, শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তাম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের শেখ অহিদুল ইসলামের ছেলে বখাটে রায়হানও তার সহযোগীরা। রাতেই সীমাকে দেবহাটা থেকে উদ্ধার করার পর পরদিন থানায় মামলা করা হয়। একই দিনে সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল সীমার বাবা ও তার পরিবারের সদস্যদের। মামলা তুলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৭ ডিসেম্বর দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক অংক পরীক্ষা শেষে রাস্তায় আসা মাত্রই রায়হানসহ তার সহযোগীরা তাকে আবারও অপহরণ করে। এরপর ৩১ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

আসামী শ্রেণিভুক্ত হওয়ার পরও মূল অপহরণকারী রায়হানের মা আছিয়া খাতুন প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছেন। অন্যরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে সীমাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী বুধবার বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২০ , ২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সাতক্ষীরার অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার দোষীদের শাস্তি দাবি

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অপহৃত সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মাননবন্ধন চলাকালে আমরাই পারি’ সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে পথ সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।

বক্তারা বলেন, শিমুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তাম শ্রেণীর ছাত্রী সীমা রানী মিস্ত্রীকে গত বছরের পহেলা ডিসেম্বর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের শেখ অহিদুল ইসলামের ছেলে বখাটে রায়হানও তার সহযোগীরা। রাতেই সীমাকে দেবহাটা থেকে উদ্ধার করার পর পরদিন থানায় মামলা করা হয়। একই দিনে সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এরপর থেকে অপহরণকারীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল সীমার বাবা ও তার পরিবারের সদস্যদের। মামলা তুলে নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ৭ ডিসেম্বর দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের বার্ষিক অংক পরীক্ষা শেষে রাস্তায় আসা মাত্রই রায়হানসহ তার সহযোগীরা তাকে আবারও অপহরণ করে। এরপর ৩১ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

আসামী শ্রেণিভুক্ত হওয়ার পরও মূল অপহরণকারী রায়হানের মা আছিয়া খাতুন প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছেন। অন্যরা এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করছে। আগামি তিন দিনের মধ্যে সীমাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী বুধবার বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।