কলাপাড়ায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভ্যাকসিনে মারা গেছে খামারির ৬শ’ হাঁস

সত্তোরোর্ধ খামারি ফিরোজ মাতুব্বর। ৩৮ বছর ধরে হাঁস-মুরগির পালন করছেন তিনি। ডান হাত বিকলাঙ্গ। ভারি কাজ করতে পারেন না। হাঁস পালন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রচণ্ড শীতে যাতে রোগে আক্রান্ত না হয় এজন্য খামারের নয় শতাধিক হাঁসকে পশু হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে ডার্ক প্লেগ রোগের ভ্যাকসিন দেন। ভ্যাকসিন পুশ করার পর থেকে একে একে মরতে শুরু করে তার খামারের হাঁস। তার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তাতে কোন কোম্পানির নাম কিংবা উৎপাদনের তারিখ ছিল না। হাসপাতাল থেকে দেয়া ভুল ভ্যাকসিনে তার এই সর্বনাশ হয়েছে। প্রতিদিন ৫০-৭০টি করে গত ছয়দিনে ছয় শতাধিক হাঁস মারা গেছে। হাঁসের মড়কের খবর তিনি পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানিয়ে পরামর্শ চেয়ে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু কোন সহায়তা পাননি। এ কারণে রাগ, ক্ষোভ ও হতাশায় হাঁস মারা যাচ্ছে আর ফসলি জমিতে ডালা ভর্তি করে মৃত হাঁস মাটি চাপা দিয়েছেন। অথচ বিভিন্ন এনজিও ও দাতব্য সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে একটু একটু করে এ হাঁসের খামার গড়ে তুলেছিলেন ফিরোজ মাতুব্বর। গত ছয়দিন ভ্যাকসিন দেয়ার পর থেকে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার হাঁস মরে যাওয়ায় এখন পাগলপ্রায় ফিরোজ মাতুব্বর ও তার স্ত্রী আলেয়া। এখন ফসলের মাঠ, বাড়ির উঠান কিংবা পুকুর পাড় থেকে হাঁসের মৃতদেহ কুড়াতে কুড়াতেই তাদের সময় কাটছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামের ফিরোজ মাতুব্বরের হাসের খামারে এ মড়ক লাগার কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন লোকজন দেখতে এসে তাদের সহানুভূতি জানালেও মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে কলাপাড়া পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার বাড়িতে যাওয়ার সময় পায়নি লোকবল নেই এই অজুহাতে।

কী কারণে এত হাঁস এক সঙ্গে মারা গেছে তার কারন অনুসন্ধানে নেয়নি কোন পদক্ষেপ। তবে বৃহস্পতিবার ( ৯ জানুয়ারি) পশু হাসপাতালে গিয়ে এ ভ্যাকসিন দেখতে চাইলে তারা না দেখিয়ে বলেন ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। ফিরোজ বলেন, লক্ষাধিক টাকা ঋণ করে এ হাঁসের ফার্ম করেছিলেন। ডাক্তারের একভুলে এখন সে পথে বসে গেছে। গত ছয়দিনে মরে গেছে তার চার লক্ষাধিক টাকার হাঁস। এখন সে কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবে, কীভাবে সংসার চালাবে এ চিন্তা করছে। তিনি বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে হাঁস-মুরগি পালন করি। কিন্তু কোনদিনও তার খামারে এভাবে হাঁস মারা যায়নি। তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্তত এক শ’ ডিম বিক্রি করতাম। প্রতিমাসে সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার টাকা আয় হতো। এক ভ্যাকসিনেই আমার সব শেষ।

প্রতিবেশী মো. জুয়েল জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার পরই হাঁসগুলো মরতে শুরু করে। ভ্যাকসিন দেয়ার আগে হাঁসগুলো সুস্থ ছিল। এ পরিবারকে সহায়তা না করলে আর দাঁড়াতে পারবে না এই বৃদ্ধ দম্পতি। একই সঙ্গে হাঁসের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানান। উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, তারা ফিরোজ-আলেয়া দম্পতিকে সর্বশেষ ২০ হাজার টাকা দান করেছিলেন। তাদের সহায়তা ও বিভিন্ন এনজিওর ঋণ নিয়ে একজন সফল হান চাষির সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন দেয়ার পর থেকে তার চার লক্ষাধিক টাকার ছয় শতাধিক হাঁস মারা গেছে।

যেগুলো জীবিত তাও মারা যাওয়ার উপক্রম। এ পরিবারের এখন সহায়তা দরকার বলে তিনি জানান। এদিকে পশু হাসপাতালের ডাক্তারের সহায়তা না পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে ফিরোজ মাতুব্বর ও তার মেয়ে। তাৎক্ষণিক কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুঠো ফোনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বললেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পশু হাসপাতাল থেকে কেউ খোঁ নেয়নি এ সর্বস্ব হারানো খামারির। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলাপাড়া পশু হাসপাতালে টাকা ছাড়া কোন ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ পাওয়া যায়নি। যে কোন পরামর্শ নিতে ডাক্তার ও মাঠ কর্মীরা নির্দিষ্ট দোকানে বসে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে ওই দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া কোন অসুস্থ প্রাণিকে দেখতে বাড়ি গেলেও তাদের দিতে হয় পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা।

এ বিভাগে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। পশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,কলাপাড়া উপজেলায় ৩৬টি হাঁসের খামারে তিন লাথ ৭৮ হাজার সাতশ হাঁস ও ৭০টি মুরগির খামারে ১১ লাখ ২৮ হাজার ২২৬টি হাঁস রয়েছে। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এ হাঁস মারা যাওয়ার খবরটি দিয়েছেন।

হয়ত ডার্ক প্লেগরোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকায় ভ্যাকসিন দেয়ার পরপরই হাঁসগুলো মারা গেছে। তবে ভ্যাকসিন সঠিক ছিল। ভ্যাকসিনের বোতলের গায়ে কোন কোম্পানির নাম ও মেয়াদ না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের এভাবেই ওষুধ সরবরাহ করা হয়। হয়ত পানিতে ভিজে বোতলের গায়ের কোম্পানির নামের কাগজ উঠে গেছে। তবে এ ভ্যাকসিন রাখার জায়গা ও ভ্যাকসিন দেখতে চাইলে বলেন তিন আগে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে।

image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : মারা যাওয়া হাঁসের পাশে খামারি ফিরোজ মাতুব্বর -সংবাদ

আরও খবর
অর্থাভাবে বন্ধ হতে পারে বিলের পানি নিষ্কাশন
ইউপি চেয়ারম্যানের মামলায় আরেক চেয়ারম্যান জেলে
নোয়াখালীতে কারেন্ট জাল ধ্বংস অর্থদণ্ড
কসবায় নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
চট্টগ্রামে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১
পাবনায় হোসিয়ারী শ্রমিককে হত্যা
মির্জাপুরে ১১ জুয়ারি গ্রেফতার
নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক
প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সর. জলাশয় থেকে মাছ লুট
মিছিল মিটিংয়ে সরগরম দুপচাঁচিয়ার জনপদ
শেরপুরে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার স্ত্রী আটক
দোহার সড়কে স্কুল ছাত্র হত
মরদেহের খোঁজে পুকুরে পানি সেচ দিচ্ছে পুলিশ
লক্ষ্মীপুরে এক বছরে ৪১ ধর্ষণ!
কাজের চেয়ে প্রকল্প বাড়ানোর দিকে ঝোঁক কর্মকর্তাদের!

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কলাপাড়ায় প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভ্যাকসিনে মারা গেছে খামারির ৬শ’ হাঁস

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : মারা যাওয়া হাঁসের পাশে খামারি ফিরোজ মাতুব্বর -সংবাদ

সত্তোরোর্ধ খামারি ফিরোজ মাতুব্বর। ৩৮ বছর ধরে হাঁস-মুরগির পালন করছেন তিনি। ডান হাত বিকলাঙ্গ। ভারি কাজ করতে পারেন না। হাঁস পালন করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রচণ্ড শীতে যাতে রোগে আক্রান্ত না হয় এজন্য খামারের নয় শতাধিক হাঁসকে পশু হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে ডার্ক প্লেগ রোগের ভ্যাকসিন দেন। ভ্যাকসিন পুশ করার পর থেকে একে একে মরতে শুরু করে তার খামারের হাঁস। তার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তাতে কোন কোম্পানির নাম কিংবা উৎপাদনের তারিখ ছিল না। হাসপাতাল থেকে দেয়া ভুল ভ্যাকসিনে তার এই সর্বনাশ হয়েছে। প্রতিদিন ৫০-৭০টি করে গত ছয়দিনে ছয় শতাধিক হাঁস মারা গেছে। হাঁসের মড়কের খবর তিনি পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের জানিয়ে পরামর্শ চেয়ে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু কোন সহায়তা পাননি। এ কারণে রাগ, ক্ষোভ ও হতাশায় হাঁস মারা যাচ্ছে আর ফসলি জমিতে ডালা ভর্তি করে মৃত হাঁস মাটি চাপা দিয়েছেন। অথচ বিভিন্ন এনজিও ও দাতব্য সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে একটু একটু করে এ হাঁসের খামার গড়ে তুলেছিলেন ফিরোজ মাতুব্বর। গত ছয়দিন ভ্যাকসিন দেয়ার পর থেকে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার হাঁস মরে যাওয়ায় এখন পাগলপ্রায় ফিরোজ মাতুব্বর ও তার স্ত্রী আলেয়া। এখন ফসলের মাঠ, বাড়ির উঠান কিংবা পুকুর পাড় থেকে হাঁসের মৃতদেহ কুড়াতে কুড়াতেই তাদের সময় কাটছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের হাড়িপাড়া গ্রামের ফিরোজ মাতুব্বরের হাসের খামারে এ মড়ক লাগার কথা শুনে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন লোকজন দেখতে এসে তাদের সহানুভূতি জানালেও মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে কলাপাড়া পশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার বাড়িতে যাওয়ার সময় পায়নি লোকবল নেই এই অজুহাতে।

কী কারণে এত হাঁস এক সঙ্গে মারা গেছে তার কারন অনুসন্ধানে নেয়নি কোন পদক্ষেপ। তবে বৃহস্পতিবার ( ৯ জানুয়ারি) পশু হাসপাতালে গিয়ে এ ভ্যাকসিন দেখতে চাইলে তারা না দেখিয়ে বলেন ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। ফিরোজ বলেন, লক্ষাধিক টাকা ঋণ করে এ হাঁসের ফার্ম করেছিলেন। ডাক্তারের একভুলে এখন সে পথে বসে গেছে। গত ছয়দিনে মরে গেছে তার চার লক্ষাধিক টাকার হাঁস। এখন সে কীভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবে, কীভাবে সংসার চালাবে এ চিন্তা করছে। তিনি বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে হাঁস-মুরগি পালন করি। কিন্তু কোনদিনও তার খামারে এভাবে হাঁস মারা যায়নি। তিনি বলেন, প্রতিদিন অন্তত এক শ’ ডিম বিক্রি করতাম। প্রতিমাসে সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার টাকা আয় হতো। এক ভ্যাকসিনেই আমার সব শেষ।

প্রতিবেশী মো. জুয়েল জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার পরই হাঁসগুলো মরতে শুরু করে। ভ্যাকসিন দেয়ার আগে হাঁসগুলো সুস্থ ছিল। এ পরিবারকে সহায়তা না করলে আর দাঁড়াতে পারবে না এই বৃদ্ধ দম্পতি। একই সঙ্গে হাঁসের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানান। উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমান জানান, তারা ফিরোজ-আলেয়া দম্পতিকে সর্বশেষ ২০ হাজার টাকা দান করেছিলেন। তাদের সহায়তা ও বিভিন্ন এনজিওর ঋণ নিয়ে একজন সফল হান চাষির সুনাম কুড়িয়েছিলেন। কিন্তু ভ্যাকসিন দেয়ার পর থেকে তার চার লক্ষাধিক টাকার ছয় শতাধিক হাঁস মারা গেছে।

যেগুলো জীবিত তাও মারা যাওয়ার উপক্রম। এ পরিবারের এখন সহায়তা দরকার বলে তিনি জানান। এদিকে পশু হাসপাতালের ডাক্তারের সহায়তা না পেয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে ফিরোজ মাতুব্বর ও তার মেয়ে। তাৎক্ষণিক কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুঠো ফোনে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য বললেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পশু হাসপাতাল থেকে কেউ খোঁ নেয়নি এ সর্বস্ব হারানো খামারির। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলাপাড়া পশু হাসপাতালে টাকা ছাড়া কোন ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ পাওয়া যায়নি। যে কোন পরামর্শ নিতে ডাক্তার ও মাঠ কর্মীরা নির্দিষ্ট দোকানে বসে প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে ওই দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া কোন অসুস্থ প্রাণিকে দেখতে বাড়ি গেলেও তাদের দিতে হয় পাঁচশ থেকে দেড় হাজার টাকা।

এ বিভাগে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছে। পশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়,কলাপাড়া উপজেলায় ৩৬টি হাঁসের খামারে তিন লাথ ৭৮ হাজার সাতশ হাঁস ও ৭০টি মুরগির খামারে ১১ লাখ ২৮ হাজার ২২৬টি হাঁস রয়েছে। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এ হাঁস মারা যাওয়ার খবরটি দিয়েছেন।

হয়ত ডার্ক প্লেগরোগে আগে থেকেই আক্রান্ত থাকায় ভ্যাকসিন দেয়ার পরপরই হাঁসগুলো মারা গেছে। তবে ভ্যাকসিন সঠিক ছিল। ভ্যাকসিনের বোতলের গায়ে কোন কোম্পানির নাম ও মেয়াদ না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের এভাবেই ওষুধ সরবরাহ করা হয়। হয়ত পানিতে ভিজে বোতলের গায়ের কোম্পানির নামের কাগজ উঠে গেছে। তবে এ ভ্যাকসিন রাখার জায়গা ও ভ্যাকসিন দেখতে চাইলে বলেন তিন আগে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে।