উত্তম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তার (উত্তমের) বাড়ির পেছনের পুকুরের পানি সেঁচছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল হতে শ্যালোমেশিন দিয়ে পুকুরের পানি সেঁচা হচ্ছে। পুকুর পাড়ে উপস্থিত রয়েছে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান, পৌর কাউন্সিলর এমদাদুল হক, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ হাজার উৎসুক জনতা। বিশ্বাসসুত্রে জানা গেছে, নিহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তাজুল ইসলাম।
দশদিন অতিবাহিত হলেও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ইমারত নির্মাণ শ্রমিক উত্তম কুমার হত্যার আসামি আজও গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পৌর শহরসহ গোটা উপজেলায় চলছে সমালোচনা ও পর্যালোচনা। ইতোমধ্যে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসী গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল চত্বরে দুই ঘণ্টাব্যাপী।
গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়াড়ের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমারকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে অজ্ঞাতনাম ৩ জন যুবক গলাকেটে হত্যা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সঙ্গে উত্তমের বিয়ে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী জানান, ৩ জন অপরিচিত যুবক ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তার হাত, পা এবং মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই যুবক ৩ জনকে চেনেন না। তবে তাদের দেখলে চিনেবে। এ নিয়ে উত্তমের বড় ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞতানামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ৭টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে, অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)
উত্তম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তার (উত্তমের) বাড়ির পেছনের পুকুরের পানি সেঁচছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল হতে শ্যালোমেশিন দিয়ে পুকুরের পানি সেঁচা হচ্ছে। পুকুর পাড়ে উপস্থিত রয়েছে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ময়নুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান, পৌর কাউন্সিলর এমদাদুল হক, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটসহ হাজার উৎসুক জনতা। বিশ্বাসসুত্রে জানা গেছে, নিহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিত্বে পুলিশ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তাজুল ইসলাম।
দশদিন অতিবাহিত হলেও চাঞ্চল্যকর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ইমারত নির্মাণ শ্রমিক উত্তম কুমার হত্যার আসামি আজও গ্রেফতার হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পৌর শহরসহ গোটা উপজেলায় চলছে সমালোচনা ও পর্যালোচনা। ইতোমধ্যে উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও এলাকাবাসী গত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল চত্বরে দুই ঘণ্টাব্যাপী।
গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৬টার সময় পৌর সভার ৬নং ওয়াড়ের তাঁতীপাড়া মহল্লার রাজমিস্ত্রী উত্তম কুমারকে (৩০) তার নিজ শয়ন ঘরে অজ্ঞাতনাম ৩ জন যুবক গলাকেটে হত্যা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উত্তম ওই মহল্লার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। দীর্ঘ এক বছর পূর্বে প্রতিবেশি সুকুল চন্দ্রের কন্যা ললিতা রানীর সঙ্গে উত্তমের বিয়ে হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানী জানান, ৩ জন অপরিচিত যুবক ঘরে প্রবেশ করে তার স্বামীর সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে তার হাত, পা এবং মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই যুবক ৩ জনকে চেনেন না। তবে তাদের দেখলে চিনেবে। এ নিয়ে উত্তমের বড় ভাই গোপাল চন্দ্র দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞতানামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ৭টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে, অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।