লক্ষ্মীপুর জেলায় গত এক বছরে ৪১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল গণধর্ষণের ঘটনা। সবচেয়ে বেশি নয়টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অক্টোবর মাসে। এসব ধর্ষণের শিকার অধিকাংশই শিশু ও কিশোরী। ২০১৮ সালে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০টি।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা আরও বেশি হবে। কারণ সব ঘটনায় মামলা হয় না। গত বছর বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়। এখানে মামলার সংখ্যা আটটি। আর চন্দ্রগঞ্জ থানায় পাঁচটি, রায়পুর, কমলনগর, রামগঞ্জ ও রামগতি উপজেলায় সাতটি করে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এসব ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভানেত্রী মমতাজ বেগম জানান, প্রতিদিন নির্যাতিত নারীরা সহযোগিতার জন্য তাদের সমিতিতে আসেন। তাদের পর্যবেক্ষণ, লক্ষ্মীপুরে শিশু ও কিশোরীরা বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কারণ তারা অরক্ষিত।
৪১টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল পাঁচটি গণধর্ষণ। ২৯ অক্টোবর রামগতিতে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন। উপজেলার চর নেয়ামত এলাকার স্লুইসগেটের পাশে গণধর্ষণ করা হয় তাকে। ওই গৃহবধূ চট্টগ্রাম থেকে স্বামীর খোঁজে রামগতিতে এলে বখাটেরা তাকে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রামগতি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ২১ অক্টোবর রাতে রামগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বখাটেরা। উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২২ অক্টোবর রায়পুর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে দক্ষিণ চরবংশীর চরকাছিয়া গ্রামে মাসুদ গোলদার (২৬) নামে এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পরদিন মাসুদ গোলদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ধর্ষণের শিকার দুজন নারী এ প্রতিবেদককে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে তাঁরা মামলা করেন। কিন্তু সমাজ তাদের ভালো চোখে দেখছে না। আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির বলেন, ধর্ষণের সব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
মাসুদুর রহমান খান, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর জেলায় গত এক বছরে ৪১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল গণধর্ষণের ঘটনা। সবচেয়ে বেশি নয়টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অক্টোবর মাসে। এসব ধর্ষণের শিকার অধিকাংশই শিশু ও কিশোরী। ২০১৮ সালে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০টি।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনা আরও বেশি হবে। কারণ সব ঘটনায় মামলা হয় না। গত বছর বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায়। এখানে মামলার সংখ্যা আটটি। আর চন্দ্রগঞ্জ থানায় পাঁচটি, রায়পুর, কমলনগর, রামগঞ্জ ও রামগতি উপজেলায় সাতটি করে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এসব ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভানেত্রী মমতাজ বেগম জানান, প্রতিদিন নির্যাতিত নারীরা সহযোগিতার জন্য তাদের সমিতিতে আসেন। তাদের পর্যবেক্ষণ, লক্ষ্মীপুরে শিশু ও কিশোরীরা বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কারণ তারা অরক্ষিত।
৪১টি ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল পাঁচটি গণধর্ষণ। ২৯ অক্টোবর রামগতিতে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন। উপজেলার চর নেয়ামত এলাকার স্লুইসগেটের পাশে গণধর্ষণ করা হয় তাকে। ওই গৃহবধূ চট্টগ্রাম থেকে স্বামীর খোঁজে রামগতিতে এলে বখাটেরা তাকে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রামগতি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ২১ অক্টোবর রাতে রামগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বখাটেরা। উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২২ অক্টোবর রায়পুর উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে দক্ষিণ চরবংশীর চরকাছিয়া গ্রামে মাসুদ গোলদার (২৬) নামে এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার পরদিন মাসুদ গোলদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ধর্ষণের শিকার দুজন নারী এ প্রতিবেদককে জানান, ধর্ষণের শিকার হয়ে তাঁরা মামলা করেন। কিন্তু সমাজ তাদের ভালো চোখে দেখছে না। আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির বলেন, ধর্ষণের সব ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।