প্রচারযুদ্ধে মাঠে প্রার্থীরা

বিধিভঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা : ইসি আ’লীগ সমর্থিত চার কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। গতকাল প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণায় নামেন তারা। এরমাধ্যমে মাঠে ভোটের লড়াই শুরু হলো। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে দক্ষিণে চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে, প্রচারণা শুরু হতে না হতেই আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করা হবে।

উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, আজ থেকে ভোটের যুদ্ধ চলে যাচ্ছে মাঠে। এই মাঠকে কোন ক্রমেই আমরা ঘোলাটে করতে দেব না। আমার জীবনে সবসময় অনুরোধ করে আসছি, কখনও নির্দেশ কথাটা বলি না। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে বলতেই হচ্ছে। নির্বাচন যেন উৎসব হতে পারে, সেই চেষ্টা থাকবে। এটাকে কোন ক্রমেই সংঘর্ষের রূপ নিতে দেব না। মলিন হতে দেব না।

উত্তরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আতিকুল ইসলাম নৌকা, বিএনপি মনোনীত তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ, কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত ডা. সাজেদুল হক রুবেল কাস্তে, প্রতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহিন খান বাঘ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুল হক দুলাল আম প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিবেন।

আতিকুল-তাবিথ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়াল দু’জনেই উত্তরা এলাকা থেকে ভোটের প্রচারণা শুরু করেন। নৌকার প্রার্থী আতিকুল উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের কাছে দোয়া ও ভোট চান। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ শহর দরকার। আমি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে চাই। এই শহরকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলব। আমি কাজ পাগল, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই শহরকে গড়ে তুলব।

ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়ক থেকে প্রচার শুরু করেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান, তাদের মাঝে লিফলেট বিলি করেন। পরে তাবিথ বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন এবং জনগণ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তারা তাদের ভোট দিতে পারবেন। এ সময় সঙ্গে থাকা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বিএনপি গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন হিসেবে নিয়েছে। এটি আন্দোলনের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।

দক্ষিণের রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা এখন আইন মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করা যাবে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। সেখানে শুধু নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। কোন ধরনের মিছিল, শো-ডাউন, বড় ধরনের জনসভা ও তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তবে ঘরোয়া বৈঠকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। অনেক প্রার্থীর পক্ষে আগেই পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদারকি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ‘নৌকা’, বিএনপির ইশরাক হোসেন ‘ধানের শীষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন ‘লাঙ্গল’, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান ‘হাতপাখা’, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ‘ডাব’ এবং গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন ‘মাছ’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

ইশরাক-তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমআর নামাজ আদায়ের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে ভোটের প্রচার শুরু করেন ইশরাক। এ সময় তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমরা যে আন্দোলন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মায়ের মুক্তির জন্য আমরা যে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছি, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যে আন্দোলনের আমরা অবতীর্ণ হয়েছি। ধানের শীষে ভোট দেবেন। ইনশাল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে এবং আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করে ছাড়বই।

পরে মহাসচিবসহ নেতারা ইশরাকের লিফলেট বিতরণ মানুষের কাছে বিতরণ করেন। মসজিদ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিছিল করে ইশরাককে নিয়ে বের হয় এবং পথচারীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে।

ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের ই হক স্কুলের সামনে পথসভার মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন ব্যারিস্টার তাপস। পথসভার পর এলাকার অলিতে-গলিতে ঘরে ঘরে ঢুকে, দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন তাপস। বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া ও নৌকার জন্য ভোট চান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি বিজয়কে সুনিশ্চিত করে প্রাণপ্রিয় ঢাকাকে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ব। সেই উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আজ থেকে যাত্রা শুরু।

ডিএসসিসিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন

ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চারপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে মধ্যে দু’জন সাধারণ ওয়ার্ড এবং দু’জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রার্থী। নির্বাচিতরা হলেন, তারা হলেন- ২৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল, ৪৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন (বর্তমান কাউন্সিলর)। ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (১৬, ১৭ ও ১৮ সাধারণ ওয়ার্ড) নারগীস মাহতাব (বর্তমান কাউন্সিলর), ৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (২২, ২৩, ২৬) নিলুফার রহমান।

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

প্রচারযুদ্ধে মাঠে প্রার্থীরা

বিধিভঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা : ইসি আ’লীগ সমর্থিত চার কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। গতকাল প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারণায় নামেন তারা। এরমাধ্যমে মাঠে ভোটের লড়াই শুরু হলো। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে দক্ষিণে চারজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে, প্রচারণা শুরু হতে না হতেই আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, আচরণ বিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করা হবে।

উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, আজ থেকে ভোটের যুদ্ধ চলে যাচ্ছে মাঠে। এই মাঠকে কোন ক্রমেই আমরা ঘোলাটে করতে দেব না। আমার জীবনে সবসময় অনুরোধ করে আসছি, কখনও নির্দেশ কথাটা বলি না। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে বলতেই হচ্ছে। নির্বাচন যেন উৎসব হতে পারে, সেই চেষ্টা থাকবে। এটাকে কোন ক্রমেই সংঘর্ষের রূপ নিতে দেব না। মলিন হতে দেব না।

উত্তরে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আতিকুল ইসলাম নৌকা, বিএনপি মনোনীত তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ, কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত ডা. সাজেদুল হক রুবেল কাস্তে, প্রতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহিন খান বাঘ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদ হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিসুল হক দুলাল আম প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিবেন।

আতিকুল-তাবিথ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির তাবিথ আউয়াল দু’জনেই উত্তরা এলাকা থেকে ভোটের প্রচারণা শুরু করেন। নৌকার প্রার্থী আতিকুল উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়েন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের কাছে দোয়া ও ভোট চান। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ শহর দরকার। আমি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে চাই। এই শহরকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলব। আমি কাজ পাগল, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই শহরকে গড়ে তুলব।

ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়ক থেকে প্রচার শুরু করেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান, তাদের মাঝে লিফলেট বিলি করেন। পরে তাবিথ বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন এবং জনগণ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তারা তাদের ভোট দিতে পারবেন। এ সময় সঙ্গে থাকা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বিএনপি গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন হিসেবে নিয়েছে। এটি আন্দোলনের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।

দক্ষিণের রির্টানিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীরা এখন আইন মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিং করা যাবে। প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। সেখানে শুধু নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। কোন ধরনের মিছিল, শো-ডাউন, বড় ধরনের জনসভা ও তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। তবে ঘরোয়া বৈঠকে প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। অনেক প্রার্থীর পক্ষে আগেই পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদারকি করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস ‘নৌকা’, বিএনপির ইশরাক হোসেন ‘ধানের শীষ’, জাতীয় পার্টির হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মিলন ‘লাঙ্গল’, ইসলামী আন্দোলনের আবদুর রহমান ‘হাতপাখা’, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (এনপিপি) বাহরানে সুলতান বাহার ‘আম’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতার-উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ‘ডাব’ এবং গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন ‘মাছ’ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেবেন।

ইশরাক-তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বাবার কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমআর নামাজ আদায়ের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে ভোটের প্রচার শুরু করেন ইশরাক। এ সময় তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমরা যে আন্দোলন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মায়ের মুক্তির জন্য আমরা যে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছি, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যে আন্দোলনের আমরা অবতীর্ণ হয়েছি। ধানের শীষে ভোট দেবেন। ইনশাল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে এবং আমাদের দেশনেত্রীকে মুক্ত করে ছাড়বই।

পরে মহাসচিবসহ নেতারা ইশরাকের লিফলেট বিতরণ মানুষের কাছে বিতরণ করেন। মসজিদ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী মিছিল করে ইশরাককে নিয়ে বের হয় এবং পথচারীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে।

ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউনের ই হক স্কুলের সামনে পথসভার মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন ব্যারিস্টার তাপস। পথসভার পর এলাকার অলিতে-গলিতে ঘরে ঘরে ঢুকে, দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন তাপস। বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া ও নৌকার জন্য ভোট চান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি বিজয়কে সুনিশ্চিত করে প্রাণপ্রিয় ঢাকাকে ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ব। সেই উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে আজ থেকে যাত্রা শুরু।

ডিএসসিসিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন

ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চারপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে মধ্যে দু’জন সাধারণ ওয়ার্ড এবং দু’জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রার্থী। নির্বাচিতরা হলেন, তারা হলেন- ২৫ নং সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার ইকবাল, ৪৩ নং সাধারণ ওয়ার্ডের মো. আরিফ হোসেন (বর্তমান কাউন্সিলর)। ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (১৬, ১৭ ও ১৮ সাধারণ ওয়ার্ড) নারগীস মাহতাব (বর্তমান কাউন্সিলর), ৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (২২, ২৩, ২৬) নিলুফার রহমান।