মেহেরপুরে সরস্বতী খাল খনন শুরু

ক্ষতিপূরণ দাবি পাড়ের বাসিন্দাদের

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সরস্বতী খাল পুনর্খণন চলছে। খাল প্রশস্ত করায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ২ একর জমি হারানোর আশঙ্কা করছেন কয়েকটি পরিবার। তাই অধিগ্রহণ অথবা ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে খাল পুনর্খননের দাবি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, ভবরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী, উসমান আলী, নাজিম উদ্দীন, কাশেম আলী, শহিদুল ইসলাম ও ফরজ আলী পৈত্রিক সূত্রে সোনাপুর মৌজার ২ একর জমি ভোগ দখল করে আসছেন। এক সময় এ জমির মালিক ছিলেন বিধুভুষন নামের এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে এ ছয় জনের পূর্বসুরীরা জমির মালিক হন। সিএস, এসএ এবং আরএস রেকর্ড রয়েছে তাদের নামে। সরস্বতী খালের এ স্থানটির বেশিরভাগ জুড়ে ছয় পরিবারের জমি। খালের সঙ্গে একাকার হয়ে থাকায় এক সময় কোনটি খাল আর কোনটি ব্যক্তি মালিকানা জমি তা সহজে পৃথক করা যেত না। তাই খালের এ স্থানটির দুই দিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছেন জমির মালিকরা। ফলে তাদের মালিকানার দখলী অংশ অনেক আগেই দৃশ্যমান। প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন ওই জমির মালিকানা বিষয়ে অবগত। তাই কেউ কখনও বিরোধিতাও করেননি। ওই পুকুরপাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার গাছগাছালী। সারাবছর এখানে পানি থাকায় মাছ চাষ করা হয়। এ মাছ চাষের অর্থ ছয়টি পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। ভুক্তভোগী জমির মালিক আব্বাস আলী বলেন, খাল প্রথম খননের সময় পশ্চিম দিকে সরকারি জমিতে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘর রক্ষা করা হয়। এতে আমাদের এই জমির মধ্যে খালের কিছু অংশ ঢুকে যায়। পরবর্তী পাড় ভেঙ্গে আরও প্রশস্ত হয়। বর্তমানে খাল যেভাবে প্রশস্ত করা হচ্ছে তাতে আমাদের পুকুর খালের মধ্যে চলে যাবে বলে খনন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কিভাবে আমাদের জমি সরকার নেবে তা বুঝতে পারছি না। তাই প্রতিকার চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে লিখিত আবেদন করেছি। অভিযোগের বিষয়টি গোচরে আনলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গানি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

মেহেরপুরে সরস্বতী খাল খনন শুরু

ক্ষতিপূরণ দাবি পাড়ের বাসিন্দাদের

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সরস্বতী খাল পুনর্খণন চলছে। খাল প্রশস্ত করায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ২ একর জমি হারানোর আশঙ্কা করছেন কয়েকটি পরিবার। তাই অধিগ্রহণ অথবা ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে খাল পুনর্খননের দাবি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, ভবরপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী, উসমান আলী, নাজিম উদ্দীন, কাশেম আলী, শহিদুল ইসলাম ও ফরজ আলী পৈত্রিক সূত্রে সোনাপুর মৌজার ২ একর জমি ভোগ দখল করে আসছেন। এক সময় এ জমির মালিক ছিলেন বিধুভুষন নামের এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে এ ছয় জনের পূর্বসুরীরা জমির মালিক হন। সিএস, এসএ এবং আরএস রেকর্ড রয়েছে তাদের নামে। সরস্বতী খালের এ স্থানটির বেশিরভাগ জুড়ে ছয় পরিবারের জমি। খালের সঙ্গে একাকার হয়ে থাকায় এক সময় কোনটি খাল আর কোনটি ব্যক্তি মালিকানা জমি তা সহজে পৃথক করা যেত না। তাই খালের এ স্থানটির দুই দিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছেন জমির মালিকরা। ফলে তাদের মালিকানার দখলী অংশ অনেক আগেই দৃশ্যমান। প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন ওই জমির মালিকানা বিষয়ে অবগত। তাই কেউ কখনও বিরোধিতাও করেননি। ওই পুকুরপাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার গাছগাছালী। সারাবছর এখানে পানি থাকায় মাছ চাষ করা হয়। এ মাছ চাষের অর্থ ছয়টি পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। ভুক্তভোগী জমির মালিক আব্বাস আলী বলেন, খাল প্রথম খননের সময় পশ্চিম দিকে সরকারি জমিতে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘর রক্ষা করা হয়। এতে আমাদের এই জমির মধ্যে খালের কিছু অংশ ঢুকে যায়। পরবর্তী পাড় ভেঙ্গে আরও প্রশস্ত হয়। বর্তমানে খাল যেভাবে প্রশস্ত করা হচ্ছে তাতে আমাদের পুকুর খালের মধ্যে চলে যাবে বলে খনন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কিভাবে আমাদের জমি সরকার নেবে তা বুঝতে পারছি না। তাই প্রতিকার চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে লিখিত আবেদন করেছি। অভিযোগের বিষয়টি গোচরে আনলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গানি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।