উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারণায় মেয়র প্রার্থীরা

কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনও মাঠে নামেননি

উন্নয়ন আর সমস্যা সমাধানের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। শীতের মধ্যেও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনও প্রচারণা শুরু করেননি। লিফলেট ও পোস্টার ছাপানোর কাজ শেষে দু’একদিনের মধ্যেই নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরু করবেন তারা। এরপরই মাইকিং ও প্রার্থীদের প্রচারণায় নির্বাচনী উৎসবের পরিপূর্ণতা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)’র বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নেই। পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণাও চালাচ্ছেন না। শুধুমাত্র মেয়র প্রার্থীরা গেলে তাদের সঙ্গে সময় দিচ্ছেন তারা। ওয়ার্ডগুলোতে এখনও মাইকিং, পথসভা কিংবা নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়নি।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমরা একদিন আগে প্রতীক পেয়েছি। পোস্টার ও লিফলেট ছাপাতে দেয়া হয়েছে। এগুলো ছাড়া তো প্রচার চালানো যায় না। তবে এখন ওয়ার্ডের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। সোমবার থেকে তারা জোরেশোরে প্রচারণায় নামবেন বলেই জানিয়েছেন তারা। কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণা শুরু না করলেও জোরেশোরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। আলোচনায় থাকা নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা শীতের মধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। গতকাল প্রচারণার সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীরাও প্রচারণা চালিয়েছেন। জয়ী হলে নগরবাসীকে সুন্দর ঢাকা উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এ সময় দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে।

তাপস : গতকাল ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর গোপীবাগে আরকে মিশন রোডে ইশরাকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভোট চান তাপস। এ সময় তাপস বলেন, এখন থেকে ঢাকায় সম্প্রীতির রাজনীতি চলবে। সম্প্রীতির রাজনীতির মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব।

এরপর কেএম দাস লেন রোড, সেকেন্ড লেন (খোকা সাহেবের গলি), ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলিসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান নৌকার প্রার্থী। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসের মতো অপরাধ দমনে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’তে থাকব আমি। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের মা-বোন ও মুরুব্বিদের জন্য পর্যাপ্ত হাঁটার ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের ঢাকার রাস্তাঘাট পুনর্বিন্যাস করে জনগণের ভোগান্তি কমানো হবে। বর্তমানে ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাই আমাদের এই অচল ঢাকাতে সচল করব।

ইশরাক : কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রচারণা শুরু করেন দক্ষিণের বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এরপর খিলগাঁওসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়ও প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণার সময় ভোট ও দোয়া চান ধানের শীষের প্রার্থী। এ সময় তিনি বলেন, যেকোন সমস্যায় আমি নিজে আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা জানেন যে, এখন একটি পরিবর্তন আনতে হবে। এই সরকারের অধীনে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের তো আপনারা দেখেছেন। তারা এই শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য শহর বানিয়েছে। বায়ু দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকা এক নম্বরে রয়েছে। নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের মধ্যে এ শহর এক নম্বরে এসেছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য আপনারা আমাদের ভোট দেবেন। একমাত্র আমরাই পারি এ শহরের পরিবর্তন আনতে।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মিরপুর শাহ আলীর মাজার থেকে শুরু করেন তার প্রচারণা। এ সময় তিনি বলেন, গত ৯ মাসে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, আপনারা যদি আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেন, তাহলে ঢাকা শহরকে একটি পরিকল্পিত সুন্দর, আধুনিক, সুস্থ, সচল এবং একটি মানবিক ঢাকা গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানজট এবং জলজট। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। নির্বাচিত হলে আশা করি যানজট ও জলজটমুক্ত একটি সুন্দর ঢাকা উপহার দিতে পারব নগরবাসীকে। নারীরা যাতে অবাধে চলতে পারে, এজন্য পুরো শহরে আমরা প্রায় ৪৮ হাজার এলইডি লাইট লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা স্মার্ট সিটি করতে চাই। মেয়র থেকে কাউন্সিলর সবারই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। গতকাল আরও কয়েকটি এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। আজ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া ছাড়াও কসাইবাড়ি রেলগেট, কাচপুরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, ময়নারটেক, ফায়দাবাদ, আবদুল্লাহপুর, কামারপাড়া, নয়ানগর মাদ্রাসা এলাকায় প্রচারণা চালাবেন নৌকার প্রার্থী আতিকুল।

তাবিথ : গতকাল উত্তরার আজমপুর বাজার থেকে প্রচারণা শুরু করেন উত্তরের বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই ভোটের উত্তপ্ত পরিবেশ দেখেছি। প্রশ্নও পাচ্ছি, জনগণ থেকে যে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না। তবে তারা বলেছেন, সময় আসলে তারা ভোট অবশ্যই দেবেন। জনগণ চাচ্ছে বিএনপিকেই তাদের ভোট দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে, শর্ট টাইম ইস্যুতে পরিকল্পনা করতে হবে। জলাবদ্ধতা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, মশা নিবারণ ইস্যুতে অনেক কাজ করার রয়েছে। আগামী দিনে নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই চার প্রার্থী ছাড়াও ৯ জন প্রচারণা চালিয়েছেন। উত্তরে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহীন খান বাঘ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান আম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক কাস্তে প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছেন। দক্ষিণে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ডাব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বাহারানে সুলতান বাহার আম, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন লাঙ্গল ও গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছেন।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচারণায় মেয়র প্রার্থীরা

কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনও মাঠে নামেননি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

উন্নয়ন আর সমস্যা সমাধানের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা। ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। শীতের মধ্যেও নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনও প্রচারণা শুরু করেননি। লিফলেট ও পোস্টার ছাপানোর কাজ শেষে দু’একদিনের মধ্যেই নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরু করবেন তারা। এরপরই মাইকিং ও প্রার্থীদের প্রচারণায় নির্বাচনী উৎসবের পরিপূর্ণতা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)’র বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার ও লিফলেট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের নেই। পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণাও চালাচ্ছেন না। শুধুমাত্র মেয়র প্রার্থীরা গেলে তাদের সঙ্গে সময় দিচ্ছেন তারা। ওয়ার্ডগুলোতে এখনও মাইকিং, পথসভা কিংবা নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়নি।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমরা একদিন আগে প্রতীক পেয়েছি। পোস্টার ও লিফলেট ছাপাতে দেয়া হয়েছে। এগুলো ছাড়া তো প্রচার চালানো যায় না। তবে এখন ওয়ার্ডের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। সোমবার থেকে তারা জোরেশোরে প্রচারণায় নামবেন বলেই জানিয়েছেন তারা। কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণা শুরু না করলেও জোরেশোরেই প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। আলোচনায় থাকা নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা শীতের মধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। গতকাল প্রচারণার সময় বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীরাও প্রচারণা চালিয়েছেন। জয়ী হলে নগরবাসীকে সুন্দর ঢাকা উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এ সময় দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে।

তাপস : গতকাল ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর গোপীবাগে আরকে মিশন রোডে ইশরাকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভোট চান তাপস। এ সময় তাপস বলেন, এখন থেকে ঢাকায় সম্প্রীতির রাজনীতি চলবে। সম্প্রীতির রাজনীতির মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব।

এরপর কেএম দাস লেন রোড, সেকেন্ড লেন (খোকা সাহেবের গলি), ইত্তেফাক মোড়, টিকাটুলিসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালান নৌকার প্রার্থী। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, মাদক ও সন্ত্রাসের মতো অপরাধ দমনে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’তে থাকব আমি। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের মা-বোন ও মুরুব্বিদের জন্য পর্যাপ্ত হাঁটার ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের ঢাকার রাস্তাঘাট পুনর্বিন্যাস করে জনগণের ভোগান্তি কমানো হবে। বর্তমানে ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাই আমাদের এই অচল ঢাকাতে সচল করব।

ইশরাক : কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রচারণা শুরু করেন দক্ষিণের বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। এরপর খিলগাঁওসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়ও প্রচারণা চালান তিনি। প্রচারণার সময় ভোট ও দোয়া চান ধানের শীষের প্রার্থী। এ সময় তিনি বলেন, যেকোন সমস্যায় আমি নিজে আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা জানেন যে, এখন একটি পরিবর্তন আনতে হবে। এই সরকারের অধীনে যারা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের তো আপনারা দেখেছেন। তারা এই শহরকে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য শহর বানিয়েছে। বায়ু দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকা এক নম্বরে রয়েছে। নারী ও শিশুদের জন্য অনিরাপদ শহরের মধ্যে এ শহর এক নম্বরে এসেছে। এর থেকে উত্তরণের জন্য আপনারা আমাদের ভোট দেবেন। একমাত্র আমরাই পারি এ শহরের পরিবর্তন আনতে।

আতিকুল : উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মিরপুর শাহ আলীর মাজার থেকে শুরু করেন তার প্রচারণা। এ সময় তিনি বলেন, গত ৯ মাসে আমি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, আপনারা যদি আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেন, তাহলে ঢাকা শহরকে একটি পরিকল্পিত সুন্দর, আধুনিক, সুস্থ, সচল এবং একটি মানবিক ঢাকা গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানজট এবং জলজট। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। নির্বাচিত হলে আশা করি যানজট ও জলজটমুক্ত একটি সুন্দর ঢাকা উপহার দিতে পারব নগরবাসীকে। নারীরা যাতে অবাধে চলতে পারে, এজন্য পুরো শহরে আমরা প্রায় ৪৮ হাজার এলইডি লাইট লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা স্মার্ট সিটি করতে চাই। মেয়র থেকে কাউন্সিলর সবারই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। গতকাল আরও কয়েকটি এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। আজ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া ছাড়াও কসাইবাড়ি রেলগেট, কাচপুরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, ময়নারটেক, ফায়দাবাদ, আবদুল্লাহপুর, কামারপাড়া, নয়ানগর মাদ্রাসা এলাকায় প্রচারণা চালাবেন নৌকার প্রার্থী আতিকুল।

তাবিথ : গতকাল উত্তরার আজমপুর বাজার থেকে প্রচারণা শুরু করেন উত্তরের বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। প্রচারণার সময় তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থীরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই ভোটের উত্তপ্ত পরিবেশ দেখেছি। প্রশ্নও পাচ্ছি, জনগণ থেকে যে তারা ভোট দিতে পারবেন কি না। তবে তারা বলেছেন, সময় আসলে তারা ভোট অবশ্যই দেবেন। জনগণ চাচ্ছে বিএনপিকেই তাদের ভোট দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে, শর্ট টাইম ইস্যুতে পরিকল্পনা করতে হবে। জলাবদ্ধতা, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, মশা নিবারণ ইস্যুতে অনেক কাজ করার রয়েছে। আগামী দিনে নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই চার প্রার্থী ছাড়াও ৯ জন প্রচারণা চালিয়েছেন। উত্তরে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের শাহীন খান বাঘ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান আম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক কাস্তে প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছেন। দক্ষিণে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ ডাব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুর রহমান হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বাহারানে সুলতান বাহার আম, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন লাঙ্গল ও গণফ্রন্টের আবদুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে প্রচারণা চালিয়েছেন।