উত্তরবঙ্গে মানুষ শীতের কষ্টে ঢাকায় ফখরুল নালিশে ব্যস্ত কাদের

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে টিভির সামনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। তারা ইভিএমে বিশ্বাসী নয়, তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি হেরে গেছে। তিনি গতকাল সৈয়দপুরে রংপুর বিভাগের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়া বিশ্বস্বীকৃত আধুনিক পদ্ধতি। বিএনপি ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইছে না, তারা চায় এনালগ বাংলাদেশ। দেশকে সামনের দিকে নয় পিছনে ঠেলে দিতেই তারা রাজনীতি করছে। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে না, সে কারণে তারা শীতার্ত মানুষের পাশে নেই। তারা জনগণের সঙ্গে অতীতেও ছিল না আজও নেই। শেখ হাসিনার আমলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা পকেট ভরার রাজনীতি করে না। বিএনপি কোটিপতি লুটেরাদের সঙ্গে থাকেন, তাদের রাজনীতি ক্ষমতার রাজনীতি।

রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রোকেয়া সুলতানা, আনিসুর রহমান, অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীমসহ রংপুর মহানগরসহ আট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, রংপুর বিভাগের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও শীতবস্ত্র দেয়া হবে। একজন মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থায় শেখ হাসিনা করেছেন। তিনি আরও বলেন সৈয়দপুরে আটকেপড়া বিহারীদের পুনর্বাসনে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, যেসব আটকেপড়া পাকিস্তানি ভোটাধিকার পেয়েছে, তারা এ দেশের নাগরিক। উর্দুভাষী বিহারিরা এদেশের নাগরিক হিসেবেই বসবাস করবে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী রংপুর মহানগরসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সাধারণ সম্পাদকের হাতে ৫০ হাজার কম্বল তুলে দেন। পরে স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডাকবাংলায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

উত্তরবঙ্গে মানুষ শীতের কষ্টে ঢাকায় ফখরুল নালিশে ব্যস্ত কাদের

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে টিভির সামনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। তারা ইভিএমে বিশ্বাসী নয়, তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি হেরে গেছে। তিনি গতকাল সৈয়দপুরে রংপুর বিভাগের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ইভিএমে ভোট দেয়া বিশ্বস্বীকৃত আধুনিক পদ্ধতি। বিএনপি ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইছে না, তারা চায় এনালগ বাংলাদেশ। দেশকে সামনের দিকে নয় পিছনে ঠেলে দিতেই তারা রাজনীতি করছে। বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে না, সে কারণে তারা শীতার্ত মানুষের পাশে নেই। তারা জনগণের সঙ্গে অতীতেও ছিল না আজও নেই। শেখ হাসিনার আমলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা পকেট ভরার রাজনীতি করে না। বিএনপি কোটিপতি লুটেরাদের সঙ্গে থাকেন, তাদের রাজনীতি ক্ষমতার রাজনীতি।

রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রোকেয়া সুলতানা, আনিসুর রহমান, অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীমসহ রংপুর মহানগরসহ আট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, রংপুর বিভাগের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও শীতবস্ত্র দেয়া হবে। একজন মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থায় শেখ হাসিনা করেছেন। তিনি আরও বলেন সৈয়দপুরে আটকেপড়া বিহারীদের পুনর্বাসনে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, যেসব আটকেপড়া পাকিস্তানি ভোটাধিকার পেয়েছে, তারা এ দেশের নাগরিক। উর্দুভাষী বিহারিরা এদেশের নাগরিক হিসেবেই বসবাস করবে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী রংপুর মহানগরসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সাধারণ সম্পাদকের হাতে ৫০ হাজার কম্বল তুলে দেন। পরে স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডাকবাংলায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।