শ্বাসকষ্ট ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৮ হাজার

প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার রোগী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ রোগীরা ঠাণ্ডায় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় নেই। আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বয়স্ক। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে পঞ্চগড় ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে। শীতে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও অনেকেই কাজের সন্ধানে রাস্তায় নেমে পড়েন। তখনই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শ্বাসকষ্টে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৯৪ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ২০ জন। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১১ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৪ জন। শীতজণিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫২৩ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৩০ জন। গতকাল পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের (রেসপেরেটরি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। ফুঁসফুঁস, এ্যাজমা, হার্টে সমস্যা, নিউমোনিয়াসহ নানাভাবে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি এ ঠাণ্ডার মধ্যে বিনা কারণে ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে সব বয়স্ক মানুষ ফুসফুস সমস্যা, ডায়বেটিক আক্রান্তরা কাজ না থাকলে বাসার বাইরে না যাওয়া ভালো। আর বেশি সমস্যা হলে নিকটতম চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়ার তিনি গুরুত্ব দেন।

অভিযোগ রয়েছে, বস্তিসহ দরিদ্র কবলিত এলাকা গুলোতে শীতজনিত রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রাজধানীর আশপাশের জেলা উপজেলায় শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ রোটা ভাইরাস ও মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ্ ইমাজেন্সির অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে শীতজনিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। এ বছর ঢাকায় বেশি শীত পড়ছে। বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ও শ্বাসনালীর সমস্যা, হাঁপানি, শ্বাকষ্টজনিত সমস্যা হয়। শিশুরা ময়লা হাত মুখে লাগায়। এতে হাতের ভাইরাস পেটে দিয়ে রোটা ভাইরাস (ডায়রিয়া) আক্রান্ত হয়। মারাত্মক সমস্যা হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০ , ২৮ পৌষ ১৪২৬, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

শ্বাসকষ্ট ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৮ হাজার

বাকিবিল্লাহ |

প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার রোগী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ রোগীরা ঠাণ্ডায় আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় নেই। আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগই দরিদ্র পরিবারের শিশু ও বয়স্ক। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে পঞ্চগড় ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে। শীতে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও অনেকেই কাজের সন্ধানে রাস্তায় নেমে পড়েন। তখনই প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শ্বাসকষ্টে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ৪৯৪ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ২০ জন। আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১১ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৪ জন। শীতজণিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫২৩ জন। তার মধ্যে মারা গেছে ৩০ জন। গতকাল পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের (রেসপেরেটরি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, শীতজনিত রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। ফুঁসফুঁস, এ্যাজমা, হার্টে সমস্যা, নিউমোনিয়াসহ নানাভাবে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তিনি এ ঠাণ্ডার মধ্যে বিনা কারণে ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে সব বয়স্ক মানুষ ফুসফুস সমস্যা, ডায়বেটিক আক্রান্তরা কাজ না থাকলে বাসার বাইরে না যাওয়া ভালো। আর বেশি সমস্যা হলে নিকটতম চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়ার তিনি গুরুত্ব দেন।

অভিযোগ রয়েছে, বস্তিসহ দরিদ্র কবলিত এলাকা গুলোতে শীতজনিত রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রাজধানীর আশপাশের জেলা উপজেলায় শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ রোটা ভাইরাস ও মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ্ ইমাজেন্সির অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে শীতজনিত রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। এ বছর ঢাকায় বেশি শীত পড়ছে। বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ও শ্বাসনালীর সমস্যা, হাঁপানি, শ্বাকষ্টজনিত সমস্যা হয়। শিশুরা ময়লা হাত মুখে লাগায়। এতে হাতের ভাইরাস পেটে দিয়ে রোটা ভাইরাস (ডায়রিয়া) আক্রান্ত হয়। মারাত্মক সমস্যা হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।