বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আদুল মোমেন। গতকাল (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর আবুধাবি সফর সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নীতি হলো সীমান্তে একজনও যেন মারা না যায়। ভারত এ বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে তার পরও সীমান্তে হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘রাইসিনা সংলাপে অংশ নিতে নয়াদিল্লি সফর প্রতিমন্ত্রী বাতিল করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া একটু বেশি করে। কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভিসা না দেয়ার যে খবর ভারতীয় মিডিয়ায় ছেপেছে তা মিথ্যা বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারি সফরে গতকাল বিকেল ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় তিনি সেখানে পৌঁছাবেন। দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে ‘আবুধাবি সাসটেইনেবল উইক’, ‘জায়েদ সাসটেইনেবল অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি’ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নেবেন। আরব আমিরাত সফর শেষে ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে আমিরাতে যাওয়াটা নির্ধারিত বলে ওই সময়ে ভারতে একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের যোগ দেয়া হচ্ছে না। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে প্রতিমন্ত্রীর আমিরাতে যাওয়ার বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত। ফলে রাইসিনা সংলাপের আমন্ত্রণ পেলেও তার যোগ দেয়ার প্রশ্নেই ওঠে না। তাছাড়া এই রাইসিনা সংলাপটি দ্বিপক্ষীয় কোন অনুষ্ঠান নয় বলেও তিনি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য, জনশক্তি বাড়াতে চাই। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রাজস্ব সবচেয়ে বেশি আসছে। এ রাজস্ব ১৮ বিলিয়ন ডলার পার হবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে ছয় বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত জনশক্তি বাজার খুলে গেছে।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আদুল মোমেন। গতকাল (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর আবুধাবি সফর সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নীতি হলো সীমান্তে একজনও যেন মারা না যায়। ভারত এ বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে তার পরও সীমান্তে হত্যার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘রাইসিনা সংলাপে অংশ নিতে নয়াদিল্লি সফর প্রতিমন্ত্রী বাতিল করেছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া একটু বেশি করে। কাশ্মীরের শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভিসা না দেয়ার যে খবর ভারতীয় মিডিয়ায় ছেপেছে তা মিথ্যা বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা তিন দিনের সরকারি সফরে গতকাল বিকেল ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় তিনি সেখানে পৌঁছাবেন। দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে ‘আবুধাবি সাসটেইনেবল উইক’, ‘জায়েদ সাসটেইনেবল অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি’ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত সম্মেলনে অংশ নেবেন। আরব আমিরাত সফর শেষে ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসবেন বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে আমিরাতে যাওয়াটা নির্ধারিত বলে ওই সময়ে ভারতে একটি অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের যোগ দেয়া হচ্ছে না। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে প্রতিমন্ত্রীর আমিরাতে যাওয়ার বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত। ফলে রাইসিনা সংলাপের আমন্ত্রণ পেলেও তার যোগ দেয়ার প্রশ্নেই ওঠে না। তাছাড়া এই রাইসিনা সংলাপটি দ্বিপক্ষীয় কোন অনুষ্ঠান নয় বলেও তিনি জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য, জনশক্তি বাড়াতে চাই। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রাজস্ব সবচেয়ে বেশি আসছে। এ রাজস্ব ১৮ বিলিয়ন ডলার পার হবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে ছয় বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাত জনশক্তি বাজার খুলে গেছে।