ঘুষ লেনদেন মামলা

মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়ার আশ্বাসে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির এবং পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। গতকাল এ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির (সাময়িক বরখাস্ত) ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে (সাময়িক বরখাস্ত) অবৈধভাবে সুযোগ দিয়ে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুদকের মহাপরিচালক খন্দকার এনামুর বাছিরকে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পদ থেকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি জানতে পারে ডিআইজি মিজান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে এ ঘুষ দিয়েছেন এবং দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিভিন্নভাবে ঘুষ নিয়েছেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক দদন্তে ঘুষ নেয়ার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ঘুষ দেয়ার অপরাধে পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানকেও আসামি করা হয়। গত বছরের ১৬ জুলাই দ-বিধির ১৬১/১৬৫(ক)/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে উভয়ের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করেছেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এবং তদন্ত তদারকির দায়িত্বে ছিলেন দুদক মহাপরিচালখক সাঈদ মাহবুব খান।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনের দায়িত্ব হতে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় অর্জিত অপরাধলব্ধ ৪০ লাখ টাকা উৎকোচ বা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে উক্ত টাকার অবস্থান গোপন করেন। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান সম্পর্কে বলা হয়, ‘তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার উদ্দেশ্যে খন্দকার এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে অবৈধ পন্থায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করেন।’ এসব অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৮৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশেষজ্ঞ মতামত, প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের বক্তব্য, অডিও রেকর্ডে উভয়ের কথোপকথন ও পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে প্রমাণিত হয় যে, নিজে অভিযোগের দায় থেকে বাঁচার জন্য ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে উৎকোচ- ঘুষ প্রদান করে খন্দকার এনামুল বাছিরকে প্রভাবিত করেন। ঘুষ লেনদেনের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি মিজান গত ১৫ জানুয়ারি একটি বাজারের ব্যাগে করে কিছু বইসহ ২৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরকে দেয়ার জন্য রমনা পার্কে উভয় আলাপ আলোচনা করেন। এরপর তারা রমনা পার্ক থেকে একত্রে বের হয়ে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় খন্দকার এনামুল বাছিরের কাছে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগসহ হস্তান্তর করেন। এরপর ব্যাগটি নিয়ে এনামুল বাছির তার বাসায় চলে যান। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি একইভাবে মিজান একটি শপিং ব্যাগে করে ১৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরকে দেয়ার জন্য রমনা পার্কে আসেন। ‘তারা রমনা পার্কে আলোচনা শেষ করে উভয়ে পার্ক থেকে একত্রে বের হয়ে শান্তিনগর এলাকায় মিজানুর ১৫ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি এনামুল বাছিরের কাছে হস্তান্তর করলে বাছির ব্যাগটি নিয়ে চলে যান। অনুসন্ধান পর্যায়ে ডিআইজি মিজান, তার দেহরক্ষী হৃদয় হাসান, গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে ৭ জুলাই এবং তার অফিস আর্ডালি সুমনকে ২৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো। এরপর ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুদকের তিন সদস্যের একটি টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ঘুষ লেনদেদেনর অডিও কণ্ঠ মিজান আর বাছিরেই বলে প্রমাণ হয়। এছাড়া তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন মামলা করে দুদক। ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছির বর্তমানে কারাগারে আছেন।

image
আরও খবর
শীতাচ্ছন্ন নগরীতে নির্বাচনী উত্তাপ
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হত্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগ প্রকাশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্টি র‌্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশ
মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা
চট্টগ্রাম-৮ আসনে আজ উপনির্বাচন
সাঈদ খোকন আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেলেন
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
প্রচারে মন্ত্রী-এমপিদের প্রয়োজন নেই দুই প্রার্থীই যথেষ্ট কাদের
মেট্রোরেল দিয়াবাড়ি থেকে কমলাপুর
মেয়রদের ক্ষমতা ও কাজের পরিধি বাড়াতে হবে
তুইতো মুচি, তোর লেখাপড়া শিখে কি লাভ
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ
ক্ষণগণনা

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ঘুষ লেনদেন মামলা

মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়ার আশ্বাসে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির এবং পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। গতকাল এ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির (সাময়িক বরখাস্ত) ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি মামলায় অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে (সাময়িক বরখাস্ত) অবৈধভাবে সুযোগ দিয়ে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে দুদকের মহাপরিচালক খন্দকার এনামুর বাছিরকে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি পদ থেকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি জানতে পারে ডিআইজি মিজান অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে এ ঘুষ দিয়েছেন এবং দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুর বাছির অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় বিভিন্নভাবে ঘুষ নিয়েছেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক দদন্তে ঘুষ নেয়ার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ঘুষ দেয়ার অপরাধে পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানকেও আসামি করা হয়। গত বছরের ১৬ জুলাই দ-বিধির ১৬১/১৬৫(ক)/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে উভয়ের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করেছেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এবং তদন্ত তদারকির দায়িত্বে ছিলেন দুদক মহাপরিচালখক সাঈদ মাহবুব খান।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনের দায়িত্ব হতে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুযোগ প্রদানের হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় অর্জিত অপরাধলব্ধ ৪০ লাখ টাকা উৎকোচ বা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে উক্ত টাকার অবস্থান গোপন করেন। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান সম্পর্কে বলা হয়, ‘তিনি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার আশায় অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেয়ার উদ্দেশ্যে খন্দকার এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে অবৈধ পন্থায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করেন।’ এসব অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৬১/১৬৫(ক)/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৮৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং আইনের ৪(২) ও (৩) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বিশেষজ্ঞ মতামত, প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের বক্তব্য, অডিও রেকর্ডে উভয়ের কথোপকথন ও পারিপার্শ্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে প্রমাণিত হয় যে, নিজে অভিযোগের দায় থেকে বাঁচার জন্য ডিআইজি মিজানুর অসৎ উদ্দেশ্যে উৎকোচ- ঘুষ প্রদান করে খন্দকার এনামুল বাছিরকে প্রভাবিত করেন। ঘুষ লেনদেনের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআইজি মিজান গত ১৫ জানুয়ারি একটি বাজারের ব্যাগে করে কিছু বইসহ ২৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরকে দেয়ার জন্য রমনা পার্কে উভয় আলাপ আলোচনা করেন। এরপর তারা রমনা পার্ক থেকে একত্রে বের হয়ে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় খন্দকার এনামুল বাছিরের কাছে ২৫ লাখ টাকার ব্যাগসহ হস্তান্তর করেন। এরপর ব্যাগটি নিয়ে এনামুল বাছির তার বাসায় চলে যান। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি একইভাবে মিজান একটি শপিং ব্যাগে করে ১৫ লাখ টাকা এনামুল বাছিরকে দেয়ার জন্য রমনা পার্কে আসেন। ‘তারা রমনা পার্কে আলোচনা শেষ করে উভয়ে পার্ক থেকে একত্রে বের হয়ে শান্তিনগর এলাকায় মিজানুর ১৫ লাখ টাকাসহ ব্যাগটি এনামুল বাছিরের কাছে হস্তান্তর করলে বাছির ব্যাগটি নিয়ে চলে যান। অনুসন্ধান পর্যায়ে ডিআইজি মিজান, তার দেহরক্ষী হৃদয় হাসান, গাড়িচালক সাদ্দাম হোসেনকে ৭ জুলাই এবং তার অফিস আর্ডালি সুমনকে ২৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার বিষয়টি মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো। এরপর ঘুষের বিষয়টি অনুসন্ধান করার জন্য দুদকের তিন সদস্যের একটি টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে ঘুষ লেনদেদেনর অডিও কণ্ঠ মিজান আর বাছিরেই বলে প্রমাণ হয়। এছাড়া তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন মামলা করে দুদক। ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছির বর্তমানে কারাগারে আছেন।