শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ, কর্ণগোপ এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আফজাল ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান। আবু সুফিয়ান সোহান তারাবো পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তার মেয়ে গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিব তার মেয়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে তার মেয়ের ধারের টাকা ফেরত আনতে যায়। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন তার মেয়েকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়িতে ও কর্ণগোপ এলাকার একটি বাড়িতে তারা দু’দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও গন্ধর্বপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর হোসেন আহমেদ রাজীব, গন্ধর্বপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা,তারাব পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রাসেল, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের ফারুক প্রধান, তারাব পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, শিক্ষক শিহাবুর রহমান, আবদুস সোবহান, মাহমুদ সোমা প্রমুখ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন তারা কেউ পার পাবে না। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব। রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন রফিকুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ
প্রতিনিধি, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ, কর্ণগোপ এলাকার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আফজাল ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান। আবু সুফিয়ান সোহান তারাবো পৌরসভা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তার মেয়ে গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিব তার মেয়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে তার মেয়ের ধারের টাকা ফেরত আনতে যায়। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন তার মেয়েকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়িতে ও কর্ণগোপ এলাকার একটি বাড়িতে তারা দু’দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় তারাব পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও গন্ধর্বপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর হোসেন আহমেদ রাজীব, গন্ধর্বপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র সাহা,তারাব পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রাসেল, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের ফারুক প্রধান, তারাব পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাদল, শিক্ষক শিহাবুর রহমান, আবদুস সোবহান, মাহমুদ সোমা প্রমুখ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন তারা কেউ পার পাবে না। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব। রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন রফিকুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।