‘আমার সরকার (মাই গভ) অ্যাপ’ উদ্বোধন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার’ শীর্ষক সে

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ আয়োজনের অংশ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে উক্ত সেমিনারে সহযোগিতায় ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এবং এটুআই। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ। সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার নিয়ে স্পাইডার ডিজিটাল সিকিউরিটি-এর সিইও কাজী মনিরুল কবির শিল্পখাত প্রেক্ষাপট এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটে দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সনদ ঘোষণা করার সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখের মতো আর বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির উপরে। এই বিপুলসংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর ফলে এই প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত বিভিন্ন কনটেন্ট প্রায় সময় সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই বিভিন্ন সামাজিক বিষয় শেয়ার করা হয়। এর ফলাফল মাঝে মাঝে সমাজে ভয়ানক বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। এসব ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে শেয়ার করার বিষয়ে রাষ্ট্র, জাতি ও ব্যক্তির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান জানান সেমিনারের বক্তারা। বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা সাইবার স্পেসে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ ইন্টারনেটে আমরা প্রতিমুহূর্তে কোন না কোন নজরদারির মধ্যে থাকি। বক্তারা সাইবার নীতি এবং শুদ্ধাচার অনুসরণ করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। সেমিনারের মুক্ত আলোচনায় বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকারের লক্ষ্য অর্জনে সাইবার ক্ষেত্রে জনগণের ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারের পূর্বে একই ভেন্যুতে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ এর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার সরকার (মাই গভ) অ্যাপ’-এর উদ্বোধন করেন। সরকারি সব পরিষেবা একটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অবদান, এক ঠিকানায় সব সমাধান’ স্লোগান নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এটুআই কর্তৃক ‘আমার সরকার’ অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে অনলাইনে সরকারের মোট ১৭২টি সেবা পাওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে আরও সরকারি ও বেসরকারি সেবা অ্যাপটিতে যুক্ত করা হবে। এই অ্যাপটি যন্ত্রের সঙ্গে কথোপকথন প্রযুক্তি সংযোজিত হওয়ায় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং সাধারণ নাগরিকগণ প্রযুক্তি জ্ঞান ছাড়াও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। কেউ বিপদে পড়লে অ্যাপটি খুলে মোবাইল ফোন ঝাঁকালে সরাসরি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন চলে যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই এর ‘একসেবা’, ‘৩৩৩’, ‘একপে’সহ সরকারের বিভিন্ন জনবান্ধব উদ্যোগ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অ্যাপটির সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এটি সবার জন্য একটি সমন্বিত সেবা কাঠামো তৈরির রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

নিউজ ২৪-এর হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইউনিট প্রধান (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার) মনিরুল ইসলাম, পিপিএম (বার), বিপিএম (বার); একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু; সিআরআইয়ের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ এবং শপআপ-এর সিওও সিফাত সারোয়ার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

image
আরও খবর

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

‘আমার সরকার (মাই গভ) অ্যাপ’ উদ্বোধন এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার’ শীর্ষক সে

image

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ আয়োজনের অংশ হিসেবে গত ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে উক্ত সেমিনারে সহযোগিতায় ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি এবং এটুআই। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ। সেমিনারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক ব্যবহার নিয়ে স্পাইডার ডিজিটাল সিকিউরিটি-এর সিইও কাজী মনিরুল কবির শিল্পখাত প্রেক্ষাপট এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটে দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের সনদ ঘোষণা করার সময় বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখের মতো আর বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটির উপরে। এই বিপুলসংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীগণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর ফলে এই প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত বিভিন্ন কনটেন্ট প্রায় সময় সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই বিভিন্ন সামাজিক বিষয় শেয়ার করা হয়। এর ফলাফল মাঝে মাঝে সমাজে ভয়ানক বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। এসব ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাই করে শেয়ার করার বিষয়ে রাষ্ট্র, জাতি ও ব্যক্তির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার আহবান জানান সেমিনারের বক্তারা। বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা সাইবার স্পেসে নিজেদের নিরাপদ রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কারণ ইন্টারনেটে আমরা প্রতিমুহূর্তে কোন না কোন নজরদারির মধ্যে থাকি। বক্তারা সাইবার নীতি এবং শুদ্ধাচার অনুসরণ করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। সেমিনারের মুক্ত আলোচনায় বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকারের লক্ষ্য অর্জনে সাইবার ক্ষেত্রে জনগণের ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারের পূর্বে একই ভেন্যুতে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ এর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার সরকার (মাই গভ) অ্যাপ’-এর উদ্বোধন করেন। সরকারি সব পরিষেবা একটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অবদান, এক ঠিকানায় সব সমাধান’ স্লোগান নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এটুআই কর্তৃক ‘আমার সরকার’ অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে অনলাইনে সরকারের মোট ১৭২টি সেবা পাওয়া যাবে এবং পরবর্তীতে আরও সরকারি ও বেসরকারি সেবা অ্যাপটিতে যুক্ত করা হবে। এই অ্যাপটি যন্ত্রের সঙ্গে কথোপকথন প্রযুক্তি সংযোজিত হওয়ায় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি এবং সাধারণ নাগরিকগণ প্রযুক্তি জ্ঞান ছাড়াও সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। কেউ বিপদে পড়লে অ্যাপটি খুলে মোবাইল ফোন ঝাঁকালে সরাসরি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন চলে যাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই এর ‘একসেবা’, ‘৩৩৩’, ‘একপে’সহ সরকারের বিভিন্ন জনবান্ধব উদ্যোগ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অ্যাপটির সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এটি সবার জন্য একটি সমন্বিত সেবা কাঠামো তৈরির রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

নিউজ ২৪-এর হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ইউনিট প্রধান (অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার) মনিরুল ইসলাম, পিপিএম (বার), বিপিএম (বার); একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু; সিআরআইয়ের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ এবং শপআপ-এর সিওও সিফাত সারোয়ার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।