বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশে প্রকাশিত হবে বাংলায়

‘বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ’ বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রণীত আইনের একটি বাংলা খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শুধু বাংলা অনুবাদ না করে একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে আরও যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। এসব কার্যক্রম শেষে খুব দ্রুততম সময়ে খসড়া পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে। সেখান থেকে পরবর্তী সব ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠন, পর্ষদের ক্ষমতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধাসহ সব কিছু এ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আইন প্রণয়নের ৪৮ বছর পার হলেও আজ অবধি কোন সংশোধনী আনা হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সংশোধনসহ আইনটি বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে আইনটি শুধু বাংলায় অনুবাদ করার কথা ভাবা হয়েছিল। এ জন্য বাংলায় আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া অনুমোদনের জন্য সম্প্রতি একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ইংরেজি ভাষায় লিখিত আইনগুলো শুধু বাংলা অনুবাদ করলে হবে না, এসব আইন সংযোজন ও পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করতে হবে। আর এ জন্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপকতা, ব্যবসা, সম্পদ, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ ইত্যাদি বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য আইনি কাঠামো যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক-আদেশ ১৯৭২ সংশোধন করা প্রয়োজন। সংশোধনী বিষয়ে কোন মতামত থাকলে জানাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

প্রয়োজনীয় সংশোধনী আসছে

বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশে প্রকাশিত হবে বাংলায়

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

‘বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ’ বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রণীত আইনের একটি বাংলা খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শুধু বাংলা অনুবাদ না করে একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে আরও যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। এসব কার্যক্রম শেষে খুব দ্রুততম সময়ে খসড়া পাঠানো হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে। সেখান থেকে পরবর্তী সব ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ, ১৯৭২-এর মাধ্যমে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠন, পর্ষদের ক্ষমতা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যক্রম, সুযোগ-সুবিধাসহ সব কিছু এ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আইন প্রণয়নের ৪৮ বছর পার হলেও আজ অবধি কোন সংশোধনী আনা হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সংশোধনসহ আইনটি বাংলায় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে আইনটি শুধু বাংলায় অনুবাদ করার কথা ভাবা হয়েছিল। এ জন্য বাংলায় আইনের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়া অনুমোদনের জন্য সম্প্রতি একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই বৈঠকে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার আলোকে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ইংরেজি ভাষায় লিখিত আইনগুলো শুধু বাংলা অনুবাদ করলে হবে না, এসব আইন সংযোজন ও পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করতে হবে। আর এ জন্য বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগে সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাপকতা, ব্যবসা, সম্পদ, ঋণ, লিজ, বিনিয়োগ ইত্যাদি বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার জন্য আইনি কাঠামো যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক-আদেশ ১৯৭২ সংশোধন করা প্রয়োজন। সংশোধনী বিষয়ে কোন মতামত থাকলে জানাতে বলা হয়েছে।