বেকারি শিল্পের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রংপুর বিভাগীয় বেকারি শিল্প মালিকরা। সহসাই যদি এ শিল্পের কাঁচামালের মূল্য না কমে তাহলে অনেক বেকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তাই এ ক্ষুদ্র শিল্পকে বাঁচাতে কাঁচামালের বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। গত শুক্রবার বিকেলে সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির রংপুর বিভাগীয় সভায় ওই উদ্বেগ ব্যক্ত করেন বেকারি মালিকরা।
শহরের ইকু হেরিটেজ অ্যান্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বেকারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি ও ডায়মন্ড কনফেকশনারির মালিক মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন উত্তরবঙ্গ পরিষদের ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলার রাজিব বেকারির মালিক মো. মাকসুদুল আলম পাটোয়ারী। আলোচক ছিলেন রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ ১ ও ২ এর সভাপতি যথাক্রমে রিয়াজ শাহিদ শোভন ও মো. সাইফুল্লাহ।
সভায় বেকারি মালিকরা দফায় দফায় বেকারি পণ্য তৈরির কাঁচামালের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এসবের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করায় এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ক্ষুদ্র বেকারি শিল্পে। কিন্তু উৎপাদিত বেকারি পণ্য আগের মতোই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে বেকারি মালিকদের। বক্তারা এ অবস্থা নিরসনে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ ও লোকসান থেকে বাঁচতে বেকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে বেকারি ও কনফেকশনারিতে অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। আলোচনা শেষে সভায় বেকারি শিল্পকে বাঁচাতে উৎপাদিত বেকারি পণ্যের গুণগতমাণ বৃদ্ধি ও মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রংপুর বিভাগের সকল জেলার সংগঠনকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
বেকারি শিল্পের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রংপুর বিভাগীয় বেকারি শিল্প মালিকরা। সহসাই যদি এ শিল্পের কাঁচামালের মূল্য না কমে তাহলে অনেক বেকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এর সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তাই এ ক্ষুদ্র শিল্পকে বাঁচাতে কাঁচামালের বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। গত শুক্রবার বিকেলে সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির রংপুর বিভাগীয় সভায় ওই উদ্বেগ ব্যক্ত করেন বেকারি মালিকরা।
শহরের ইকু হেরিটেজ অ্যান্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বেকারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি ও ডায়মন্ড কনফেকশনারির মালিক মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু। সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন উত্তরবঙ্গ পরিষদের ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলার রাজিব বেকারির মালিক মো. মাকসুদুল আলম পাটোয়ারী। আলোচক ছিলেন রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ ১ ও ২ এর সভাপতি যথাক্রমে রিয়াজ শাহিদ শোভন ও মো. সাইফুল্লাহ।
সভায় বেকারি মালিকরা দফায় দফায় বেকারি পণ্য তৈরির কাঁচামালের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এসবের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করায় এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় ক্ষুদ্র বেকারি শিল্পে। কিন্তু উৎপাদিত বেকারি পণ্য আগের মতোই স্বল্প মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুণতে হচ্ছে বেকারি মালিকদের। বক্তারা এ অবস্থা নিরসনে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ ও লোকসান থেকে বাঁচতে বেকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে বেকারি ও কনফেকশনারিতে অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়। আলোচনা শেষে সভায় বেকারি শিল্পকে বাঁচাতে উৎপাদিত বেকারি পণ্যের গুণগতমাণ বৃদ্ধি ও মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রংপুর বিভাগের সকল জেলার সংগঠনকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।