কিশোরগঞ্জ শহরে সম্প্রতি যানজট তীব্র আকার নিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি যানবাহনকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও রাস্তার ওপর নির্বিচারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কেউ বাসা করবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবে, মালামাল রাখার উপযুক্ত জায়গা যেন রাস্তা! রাস্তার ওপর ইট, বালু, রড, বাঁশ আর কাঠসহ যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী দিনের পর দিন ফেলে রেখে নির্মাণকাজ চালাবে। মাঝে মাঝে অনিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কিছু আর্থদ- দিলেও এই অনিয়ম যেন কিছুতেই দূর হচ্ছে না। এর জন্য যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। বিভিন্ন দিবসে যখন প্রশাসন বা কোন সংগঠনের শোভাযাত্রা বের হয়, তখন শোভাযাত্রাকেও রাস্তা অতিক্রমে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া যত্রতত্র প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং এবং রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান বসাকেও ভোগান্তির জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি মাসিক সভায় দুর্বিসহ যানজট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, করণীয় সম্পর্কেও প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। গত রোববারও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় যানজটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছুদিন আগে পৌরসভার মাধ্যমে পৌর এলাকায় চলাচলের জন্য সাড়ে ৬শ’ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে হলুদ রং করে তাতে একটি ক্রমিক নম্বর ও স্টিকার দিয়ে দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর বাইরে অন্য অটোগুলো চলাচল করতো পৌর এলাকার বাইরে। অর্থাৎ, জেলা সদর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলায় এসব যানবাহন চলাচল করত। কিছুদিন শহরে এই নিয়ম কঠোরভাবে প্রতিপালন করার ফলে যানজট কমে আসলেও এখন আবার যানজট শুরু হয়েছে। এর একটি কারণ হিসেবে অনুমোদনের বাইরে প্রচুর মিশুক চলাচলকেও দায়ী করা হচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং পৌরসভার ভাষ্য হচ্ছে, তারা অটোরিক্সা বা মিশুক চলাচল নিষিদ্ধ করতে চান না। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে এসব হালকা বাহনের চলাচলের ক্ষেত্রে এক ধরনের শৃঙ্খলা বিধানের কথা বলছেন। নতুন করে যেন কেউ বেকার না হন, আবার তীব্র যানজটের ফলে যেন মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই যানবাহন চলচেলের ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কথা বলা হচ্ছে। কারণ যানজটের কারণে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের হলে যেতে বিলম্ব হয়, ট্রেন যাত্রীদের ট্রেন ফেল করতেও দেখা যায়। অফিসযাত্রীদেরও বিলম্ব হয়। আর সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে মতবিনিময় করেই যানজট নিরসনের একটি পদ্ধতি হিসেবে নির্ধারিত সংখ্যক যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তটি কার্যকর রাখার জন্য সাধারণ মানুষের মাঝেও আকুতি রয়েছে। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যেন বাড়তি যানবাহনের চালকদেরও কর্মস্থানের অনুকূল সুযোগ রাখা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখর জন্যও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দাবি রয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ শহরে সম্প্রতি যানজট তীব্র আকার নিয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি যানবাহনকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও রাস্তার ওপর নির্বিচারে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। কেউ বাসা করবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবে, মালামাল রাখার উপযুক্ত জায়গা যেন রাস্তা! রাস্তার ওপর ইট, বালু, রড, বাঁশ আর কাঠসহ যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী দিনের পর দিন ফেলে রেখে নির্মাণকাজ চালাবে। মাঝে মাঝে অনিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কিছু আর্থদ- দিলেও এই অনিয়ম যেন কিছুতেই দূর হচ্ছে না। এর জন্য যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। বিভিন্ন দিবসে যখন প্রশাসন বা কোন সংগঠনের শোভাযাত্রা বের হয়, তখন শোভাযাত্রাকেও রাস্তা অতিক্রমে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এছাড়া যত্রতত্র প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং এবং রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকান বসাকেও ভোগান্তির জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির প্রতিটি মাসিক সভায় দুর্বিসহ যানজট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়, করণীয় সম্পর্কেও প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। গত রোববারও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় যানজটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিছুদিন আগে পৌরসভার মাধ্যমে পৌর এলাকায় চলাচলের জন্য সাড়ে ৬শ’ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে হলুদ রং করে তাতে একটি ক্রমিক নম্বর ও স্টিকার দিয়ে দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর বাইরে অন্য অটোগুলো চলাচল করতো পৌর এলাকার বাইরে। অর্থাৎ, জেলা সদর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলায় এসব যানবাহন চলাচল করত। কিছুদিন শহরে এই নিয়ম কঠোরভাবে প্রতিপালন করার ফলে যানজট কমে আসলেও এখন আবার যানজট শুরু হয়েছে। এর একটি কারণ হিসেবে অনুমোদনের বাইরে প্রচুর মিশুক চলাচলকেও দায়ী করা হচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ এবং পৌরসভার ভাষ্য হচ্ছে, তারা অটোরিক্সা বা মিশুক চলাচল নিষিদ্ধ করতে চান না। বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে এসব হালকা বাহনের চলাচলের ক্ষেত্রে এক ধরনের শৃঙ্খলা বিধানের কথা বলছেন। নতুন করে যেন কেউ বেকার না হন, আবার তীব্র যানজটের ফলে যেন মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেই যানবাহন চলচেলের ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কথা বলা হচ্ছে। কারণ যানজটের কারণে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের হলে যেতে বিলম্ব হয়, ট্রেন যাত্রীদের ট্রেন ফেল করতেও দেখা যায়। অফিসযাত্রীদেরও বিলম্ব হয়। আর সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ে মতবিনিময় করেই যানজট নিরসনের একটি পদ্ধতি হিসেবে নির্ধারিত সংখ্যক যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তটি কার্যকর রাখার জন্য সাধারণ মানুষের মাঝেও আকুতি রয়েছে। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যেন বাড়তি যানবাহনের চালকদেরও কর্মস্থানের অনুকূল সুযোগ রাখা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখর জন্যও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দাবি রয়েছে।