পুনর্বাসনে প্রয়োজন সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা : সংসদে সমাজকল্যাণমন্ত্রী

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন জেলার প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের চাহিদাপত্র অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৫০ হাজার ভিক্ষুক রয়েছে। শতকরা হিসাবে শূন্য দশমিক ১৭ ভাগ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহ করে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ২য় কার্যদিবসে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

পুনর্বাসনে প্রয়োজন ৪৫০ কোটি টাকা দুই অর্থবছরে বরাদ্দ ৭ কোটি টাকা : সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণে সমন্বিতভাবে কোন জরিপ পরিচালিত হয়নি। তারপরও জেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যণ কার্যালয় থেকে পাঠানো চাহিদা পত্রের ভিত্তিতে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য মোট ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এর বিপরীতে গত অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ৩ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত : বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে গতকাল জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বৈঠকের শুরুতে রেওয়াজ অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন এলাকায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আদর্শের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সেবামূলক কাজও করেছেন। তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদে সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন অমায়িক, মার্জিত ও ভদ্র মানুষ ছিলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে আশ্রয় নেয়া অসহায় শরনার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। দক্ষতার সঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। তার মতো একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদকে হারিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বেগম মতিয়া চৌধুরী : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন হাসিখুশি ও মনখোলা মানুষ ছিলেন। সিডর আক্রান্ত এলাকায় তিনি আমাদের নিয়ে দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে মানুষকে সেবা করা যায় সিডরের সময় আওয়ামী লীগ মানুষকে সেদিন দেখিয়ে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদা জীবন-যাপন করতেন। তার যে রাজনৈতিক আদর্শ তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য।

মোহাম্মদ নাসিম : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণ, দলীয় কর্মী ও এলাকার মানুষের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি অত্যন্ত হাস্যরসাত্মক মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তিনি একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, পরোপকারী, সমাজসেবক ছিলেন। তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক-বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে ভাতা চালু করেছেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি চালু করেছেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের জন্য অনেক কষ্টের বিষয় হলে মো. মোজাম্মেল হোসেনের মতো একজন নেতাকে হারিয়েছি। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তার প্রতি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগাদ আস্থা ছিল।

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন বহুমাত্রিক রাজনীতিবিদ ও সৎ, নির্মূহ মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।

আলোচনা শেষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী। এরপর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক মুলতবি করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের বৈঠক আজ বিকেল সোয়া ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, সাবেক সংসদের সদস্য মরহুম মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে মোট ৫ বার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ওই সময় সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন এলাকায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আদর্শের রাজনীতি করেছেন। অনেক নির্যাতন সহ্য করেও তিনি দল ছেড়ে যাননি।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা আড়াই লাখ

পুনর্বাসনে প্রয়োজন সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা : সংসদে সমাজকল্যাণমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন জেলার প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের চাহিদাপত্র অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৫০ হাজার ভিক্ষুক রয়েছে। শতকরা হিসাবে শূন্য দশমিক ১৭ ভাগ মানুষ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবীকা নির্বাহ করে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ২য় কার্যদিবসে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

পুনর্বাসনে প্রয়োজন ৪৫০ কোটি টাকা দুই অর্থবছরে বরাদ্দ ৭ কোটি টাকা : সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ভিক্ষুকের সংখ্যা নির্ধারণে সমন্বিতভাবে কোন জরিপ পরিচালিত হয়নি। তারপরও জেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যণ কার্যালয় থেকে পাঠানো চাহিদা পত্রের ভিত্তিতে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য মোট ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এর বিপরীতে গত অর্থবছরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচিতে ৩ কোটি টাকা এবং চলতি অর্থবছরে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত : বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে গতকাল জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বৈঠকের শুরুতে রেওয়াজ অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন এলাকায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আদর্শের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সেবামূলক কাজও করেছেন। তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সংসদে সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন অমায়িক, মার্জিত ও ভদ্র মানুষ ছিলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতে আশ্রয় নেয়া অসহায় শরনার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। দক্ষতার সঙ্গে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন তিনি। তার মতো একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদকে হারিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বেগম মতিয়া চৌধুরী : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন হাসিখুশি ও মনখোলা মানুষ ছিলেন। সিডর আক্রান্ত এলাকায় তিনি আমাদের নিয়ে দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে মানুষকে সেবা করা যায় সিডরের সময় আওয়ামী লীগ মানুষকে সেদিন দেখিয়ে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদা জীবন-যাপন করতেন। তার যে রাজনৈতিক আদর্শ তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য।

মোহাম্মদ নাসিম : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণ, দলীয় কর্মী ও এলাকার মানুষের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি অত্যন্ত হাস্যরসাত্মক মানসিকতার মানুষ ছিলেন। তিনি একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

মাহবুব-উল আলম হানিফ : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, পরোপকারী, সমাজসেবক ছিলেন। তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক-বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে ভাতা চালু করেছেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন তার কর্মের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি চালু করেছেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের জন্য অনেক কষ্টের বিষয় হলে মো. মোজাম্মেল হোসেনের মতো একজন নেতাকে হারিয়েছি। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তার প্রতি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগাদ আস্থা ছিল।

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস : সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন মো. মোজাম্মেল হোসেন একজন বহুমাত্রিক রাজনীতিবিদ ও সৎ, নির্মূহ মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন।

আলোচনা শেষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী। এরপর সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক মুলতবি করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের বৈঠক আজ বিকেল সোয়া ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, সাবেক সংসদের সদস্য মরহুম মোজাম্মেল হোসেন গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে মোট ৫ বার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ওই সময় সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন এলাকায় অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ছাত্র জীবন থেকে তিনি আদর্শের রাজনীতি করেছেন। অনেক নির্যাতন সহ্য করেও তিনি দল ছেড়ে যাননি।