শেষ হলো সুরের ধারার দু’দিনের পৌষ উৎসব

রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী পৌষ উৎসবের শেষ দিনে। ঢাকার লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল শিশু-কিশোর আর তাদের অভিভাবকদের ভিড়।

মেলায় ছোটবেলায় দেখা বায়োস্কোপের স্মৃতি আওড়াচ্ছিলেন কেউ কেউ। আছে নাগরদোলা থেকে শুরু করে চরকি, সার্কাস। গ্রামীণ মেলার আদলে লোকজ নানা পণ্য মুড়ি, মুড়কি, পিঠা, নকশি কাপড়, বাদ্যযন্ত্র আর খেলনার পসরা সাজানো। মূল মঞ্চে দলীয় কণ্ঠে চলছিল রবীন্দ্রসংগীত। এ হচ্ছে পৌষ উৎসব-১৪২৬। সব মিলে যেন বেজে ওঠে সেই সুর—’ পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয়রে চলে আয় আয় আয়’। কারণ, পৌষের আবাহনেই সাজানো হয়েছে মেলাটি। শহুরে জীবনে গ্রামীণ আমেজ তুলে ধরা মেলাটির আয়োজক সংগীত সংগঠন সুরের ধারা। গত রোববার থেকে রাজধানীর লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী পৌষ উৎসব। লোকজ নাচ-গান, আবৃত্তি, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীতসহ নাটকে বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনয় সাজানো হয়েছে এ উৎসব।

উৎসবের এ দুই দিন নানান আচারুঅনুষ্ঠানের পাশাপাশি, পিঠাপুলি, সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে উৎসব। সন্ধ্যায় সেখানে উদ?যাপিত হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন। পাঁচ বছর ধরে এ আয়োজন করে আসছে সুরের ধারা।

পৌষ উৎসবকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ। দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্ভারে সাজানো হয় উৎসব অঙ্গন। শীতকালীন পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে নাগরদোলা ও পুতুল নাচ কিছুই বাদ পড়েনি উৎসবে। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জামদানী শাড়ি, রাজশাহী ও টাঙ্গাইলের সিল্কও মিলছে মেলায়। নানারকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে শতাধিক দোকান বসেছে উৎসব প্রাঙ্গণে। এক কোণায় বিশাল পাত্রকে পুকুরে রূপ দিয়ে রাখা হয়েছে টাকি মাছ। এই পুকুরের পাশেই খড় ও বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রাম্য আদলে তৈরি করা হয়েছে ‘সুরের ধারা পল্লী’। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা এই সুন্দর গ্রামীণ ঘরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে ভুল করছেন না।

গত রোববার সুরের ধারার সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পীরাও গান পরিবেশন করছেন। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তপন মাহমুদ, নজরুল সংগীত শিল্পী বিজন মিস্ত্রীসহ অনেক জনপ্রিয় শিল্পী গান পরিবেশন করে উপস্থিত কয়েক হাজার শ্রোতাকে আকৃষ্ট করেন।

image

লালমাটিয়ায় সুরের ধারার পৌষ উৎসবের সমাপ্তি দিনে গতকাল বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী -সংবাদ

আরও খবর
আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইকে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
পুনর্বাসনে প্রয়োজন সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা : সংসদে সমাজকল্যাণমন্ত্রী

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০ , ৩০ পৌষ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

শেষ হলো সুরের ধারার দু’দিনের পৌষ উৎসব

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

image

লালমাটিয়ায় সুরের ধারার পৌষ উৎসবের সমাপ্তি দিনে গতকাল বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী -সংবাদ

রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী পৌষ উৎসবের শেষ দিনে। ঢাকার লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দুই দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল শিশু-কিশোর আর তাদের অভিভাবকদের ভিড়।

মেলায় ছোটবেলায় দেখা বায়োস্কোপের স্মৃতি আওড়াচ্ছিলেন কেউ কেউ। আছে নাগরদোলা থেকে শুরু করে চরকি, সার্কাস। গ্রামীণ মেলার আদলে লোকজ নানা পণ্য মুড়ি, মুড়কি, পিঠা, নকশি কাপড়, বাদ্যযন্ত্র আর খেলনার পসরা সাজানো। মূল মঞ্চে দলীয় কণ্ঠে চলছিল রবীন্দ্রসংগীত। এ হচ্ছে পৌষ উৎসব-১৪২৬। সব মিলে যেন বেজে ওঠে সেই সুর—’ পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে, আয়রে চলে আয় আয় আয়’। কারণ, পৌষের আবাহনেই সাজানো হয়েছে মেলাটি। শহুরে জীবনে গ্রামীণ আমেজ তুলে ধরা মেলাটির আয়োজক সংগীত সংগঠন সুরের ধারা। গত রোববার থেকে রাজধানীর লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী পৌষ উৎসব। লোকজ নাচ-গান, আবৃত্তি, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীতসহ নাটকে বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনয় সাজানো হয়েছে এ উৎসব।

উৎসবের এ দুই দিন নানান আচারুঅনুষ্ঠানের পাশাপাশি, পিঠাপুলি, সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে উৎসব। সন্ধ্যায় সেখানে উদ?যাপিত হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন। পাঁচ বছর ধরে এ আয়োজন করে আসছে সুরের ধারা।

পৌষ উৎসবকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ। দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্ভারে সাজানো হয় উৎসব অঙ্গন। শীতকালীন পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে নাগরদোলা ও পুতুল নাচ কিছুই বাদ পড়েনি উৎসবে। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জামদানী শাড়ি, রাজশাহী ও টাঙ্গাইলের সিল্কও মিলছে মেলায়। নানারকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে শতাধিক দোকান বসেছে উৎসব প্রাঙ্গণে। এক কোণায় বিশাল পাত্রকে পুকুরে রূপ দিয়ে রাখা হয়েছে টাকি মাছ। এই পুকুরের পাশেই খড় ও বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রাম্য আদলে তৈরি করা হয়েছে ‘সুরের ধারা পল্লী’। উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা এই সুন্দর গ্রামীণ ঘরের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে ভুল করছেন না।

গত রোববার সুরের ধারার সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পীরাও গান পরিবেশন করছেন। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তপন মাহমুদ, নজরুল সংগীত শিল্পী বিজন মিস্ত্রীসহ অনেক জনপ্রিয় শিল্পী গান পরিবেশন করে উপস্থিত কয়েক হাজার শ্রোতাকে আকৃষ্ট করেন।