কলকাতায় ‘বাংলাদেশ দিবস’

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতের কলকাতার যোদপুর পার্কে শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’। প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারি ছিলো এই উৎসবের ‘বাংলাদেশ দিবস’ পর্ব। বাংলাদেশ দিবস পর্ব’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মোহসিন, ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ^ রঙ’র কর্ণধার বিপ্লব সাহা, নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী রতন দে, যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার দাসের কাছ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পীদের ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’ কমিটি বিশেষ সম্মাননায় গ্রহন করেন। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দিনই বিপ্লব সাহা’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেদিন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ার‌্যমান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ‘বাংলাদেশ উৎসব’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফোক শিল্পী নূরজাহান আলিম। টানা বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনের পর তার পরিবেশনার শেষপ্রান্তে তিনি হঠাৎ করেই মঞ্চে ডেকে নেন বিপ্লব সাহা’কে। নূরজাহান আলিম ও বিপ্লব সাহা আব্দুল আলিমের সিনেমায় গাওয়া শেষ গান ‘সব সখিরে পার করিতে নেবো আনা’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পরপরই বিপ্লব সাহার কোরিওগ্রাফিতে দুটি পর্বে দুই বাংলার তরুণ মডেলরা ফ্যাশন পর্বে অংশ নেন। নূরজাহান আলিমের পর মঞ্চে উঠেন অদিতি মোহসিন। টানা ত্রিশ মিনিটেরও বেশি তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এর পরপরই মঞ্চে উঠেন স্বপ্নীল সজীব। তার কয়েকটি গান পরিবেশনা শেষে মঞ্চে উঠেন তামান্না প্রমি। মঞ্চে উঠে ‘মধু মালতি ডাকে আয়’ গানটি দিয়ে শুরু করেন। এরপর একে একে প্রমি রুনা লায়লা’র কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। ‘বাংলাদেশ দিবস’র শেষপ্রান্তে স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’ গানটি পরিবেশন করেন। আর এ পরিবেশনার মধ্যদিয়েই শেষ হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’র।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অদিতি মোহসিন বলেন, ‘রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনার জন্য কলকাতার দর্শক শ্রোতার আগ্রহ আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে।’ নূরজাহান আলিম বলেন,‘ বাংলাদেশ দিবস পর্বটিতে অংশগ্রহন করে আমি ভীষণ গর্বিত এবং এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেও আমি ভীষণ আনন্দিত।’ বিপ্লব সাহা বলেন, ‘আমার পেশাগত জীবনের পথচলায় বাংলাদেশ দিবসটি শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে থাকবে।’ স্বপ্নীল সজীব বলেন, ‘এই নিয়ে চতুর্থবার এই উৎসবে আমার সঙ্গীত পরিবেশনা। নিঃসন্দেহে বিষয়টি আমার জন্য গর্বের।’ প্রমি বলেন, ‘কলকাতার দর্শকের আমার গানে মুগ্ধতা আমাকে বিস্মিত করেছে।’

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কলকাতায় ‘বাংলাদেশ দিবস’

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতের কলকাতার যোদপুর পার্কে শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’। প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারি ছিলো এই উৎসবের ‘বাংলাদেশ দিবস’ পর্ব। বাংলাদেশ দিবস পর্ব’তে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মোহসিন, ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ^ রঙ’র কর্ণধার বিপ্লব সাহা, নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি। অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী রতন দে, যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার দাসের কাছ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পীদের ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’ কমিটি বিশেষ সম্মাননায় গ্রহন করেন। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দিনই বিপ্লব সাহা’কে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সেদিন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ার‌্যমান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ‘বাংলাদেশ উৎসব’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফোক শিল্পী নূরজাহান আলিম। টানা বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনের পর তার পরিবেশনার শেষপ্রান্তে তিনি হঠাৎ করেই মঞ্চে ডেকে নেন বিপ্লব সাহা’কে। নূরজাহান আলিম ও বিপ্লব সাহা আব্দুল আলিমের সিনেমায় গাওয়া শেষ গান ‘সব সখিরে পার করিতে নেবো আনা’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পরপরই বিপ্লব সাহার কোরিওগ্রাফিতে দুটি পর্বে দুই বাংলার তরুণ মডেলরা ফ্যাশন পর্বে অংশ নেন। নূরজাহান আলিমের পর মঞ্চে উঠেন অদিতি মোহসিন। টানা ত্রিশ মিনিটেরও বেশি তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এর পরপরই মঞ্চে উঠেন স্বপ্নীল সজীব। তার কয়েকটি গান পরিবেশনা শেষে মঞ্চে উঠেন তামান্না প্রমি। মঞ্চে উঠে ‘মধু মালতি ডাকে আয়’ গানটি দিয়ে শুরু করেন। এরপর একে একে প্রমি রুনা লায়লা’র কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। ‘বাংলাদেশ দিবস’র শেষপ্রান্তে স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’ গানটি পরিবেশন করেন। আর এ পরিবেশনার মধ্যদিয়েই শেষ হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’র।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অদিতি মোহসিন বলেন, ‘রবীন্দ্র সঙ্গীত শোনার জন্য কলকাতার দর্শক শ্রোতার আগ্রহ আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে।’ নূরজাহান আলিম বলেন,‘ বাংলাদেশ দিবস পর্বটিতে অংশগ্রহন করে আমি ভীষণ গর্বিত এবং এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেও আমি ভীষণ আনন্দিত।’ বিপ্লব সাহা বলেন, ‘আমার পেশাগত জীবনের পথচলায় বাংলাদেশ দিবসটি শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে থাকবে।’ স্বপ্নীল সজীব বলেন, ‘এই নিয়ে চতুর্থবার এই উৎসবে আমার সঙ্গীত পরিবেশনা। নিঃসন্দেহে বিষয়টি আমার জন্য গর্বের।’ প্রমি বলেন, ‘কলকাতার দর্শকের আমার গানে মুগ্ধতা আমাকে বিস্মিত করেছে।’