বাংলাদেশ সাংস্কৃতি উৎসবের ১৩তম দিন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের আজ ১৪তম দিন। বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে ভোলা, সুনামগঞ্জ ও ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা দিয়ে শুরু হবে আজকের আযোজন।

রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘অষ্টক পালা’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং। জাতীয় নাট্যশালা মূল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-চীন দূতাবাসের আয়োজনে ‘চীনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে-অনুস্বরের নাটক ‘অনুদ্ধারণীয়’।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৩তম দিনে নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অংশড়ুরপন দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শৈলি ও শুশমি। মিনু হকের পরিচালনায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে পল্লভী ডান্স থিয়েটার, মাহিদুল ইসলাম মাহির পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরচিত্র আবৃত্তি সংগঠন।

কিশোরগঞ্জ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শপথ নিয়েছি আমরা সোনার বাংলা গড়ব’ এবং ’মায়ের কাছে শুনতে পেলাম’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত, ‘জ্যোৎন্সা মাখা ভালোবাসা এবং হৃদয়ের ভিতর স্বাধীনতা’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবুল হাসেম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সাথী রানী দাস। জেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর নাট্যাংশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাগেরহাট জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘আমার বাগেরহাট বাসী’ এবং ’বঙ্গবন্ধুর নৌকায় চড়ে কে কে যাবি আয়’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রদীপ, বেলাল, শাওন, সঞ্জয়, পার্থ, মৌমিতা, দোলা, দীপান্বিতা, অন্বেষা ও শ্রাবণী। ‘গ্রাম বাংলার গানের ?সুরে’ এবং ’বাংলার বৌদ্ধ বাংলার হিন্দু’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নাঈম, সাগর, মামুন, হর্ষ, সাথী, মাইসা, নিশা, নির্নেতা, শিফা ও দেবস্মিতা। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শামীম হাসান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সসীম মজুমদার। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইউসুফ, তনু হালদার, সসীম মজুমদার ও নাহিয়ান বাপ্পি। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং বাচিক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম মাহি।

গাজীপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মিনা বড়ুয়া এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আতিকুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের গানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুরুজ খান, জয়, তানভীর, অন্তিম কিশোর ও সারোয়ার। ভাওয়ালের আঞ্চলিক গানের কথায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মাসুমা আক্তার মনি, ইতি, উর্বি, জেরিন ও নাজনীন। ’শিকল’ পরার ছল গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সংগীতা, দীপান্বিতা, মনিরা, শাম্মী ও তানিয়া এবং ’ময়ুর পঙ্খী ছুইটা চলে’ গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী জয়, পার্থ, আবির, রাসেল ও জামান। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুভাষ রায়, লোকমান ও বিল্লাল।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতি উৎসবের ১৩তম দিন

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের আজ ১৪তম দিন। বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে ভোলা, সুনামগঞ্জ ও ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা দিয়ে শুরু হবে আজকের আযোজন।

রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘অষ্টক পালা’। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত, একক সংগীত, বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং। জাতীয় নাট্যশালা মূল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-চীন দূতাবাসের আয়োজনে ‘চীনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে-অনুস্বরের নাটক ‘অনুদ্ধারণীয়’।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৩তম দিনে নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের অংশড়ুরপন দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শৈলি ও শুশমি। মিনু হকের পরিচালনায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে পল্লভী ডান্স থিয়েটার, মাহিদুল ইসলাম মাহির পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে স্বরচিত্র আবৃত্তি সংগঠন।

কিশোরগঞ্জ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘শপথ নিয়েছি আমরা সোনার বাংলা গড়ব’ এবং ’মায়ের কাছে শুনতে পেলাম’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত, ‘জ্যোৎন্সা মাখা ভালোবাসা এবং হৃদয়ের ভিতর স্বাধীনতা’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী আবুল হাসেম এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সাথী রানী দাস। জেলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর নাট্যাংশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাগেরহাট জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, ‘আমার বাগেরহাট বাসী’ এবং ’বঙ্গবন্ধুর নৌকায় চড়ে কে কে যাবি আয়’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী প্রদীপ, বেলাল, শাওন, সঞ্জয়, পার্থ, মৌমিতা, দোলা, দীপান্বিতা, অন্বেষা ও শ্রাবণী। ‘গ্রাম বাংলার গানের ?সুরে’ এবং ’বাংলার বৌদ্ধ বাংলার হিন্দু’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নাঈম, সাগর, মামুন, হর্ষ, সাথী, মাইসা, নিশা, নির্নেতা, শিফা ও দেবস্মিতা। একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী শামীম হাসান এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সসীম মজুমদার। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ইউসুফ, তনু হালদার, সসীম মজুমদার ও নাহিয়ান বাপ্পি। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং বাচিক শিল্পী মাহিদুল ইসলাম মাহি।

গাজীপুর জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, একক সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মিনা বড়ুয়া এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী আতিকুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের গানে সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুরুজ খান, জয়, তানভীর, অন্তিম কিশোর ও সারোয়ার। ভাওয়ালের আঞ্চলিক গানের কথায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মাসুমা আক্তার মনি, ইতি, উর্বি, জেরিন ও নাজনীন। ’শিকল’ পরার ছল গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সংগীতা, দীপান্বিতা, মনিরা, শাম্মী ও তানিয়া এবং ’ময়ুর পঙ্খী ছুইটা চলে’ গানের কথায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী জয়, পার্থ, আবির, রাসেল ও জামান। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী সুভাষ রায়, লোকমান ও বিল্লাল।