সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিখোঁজ থানায় মামলা

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল হককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ শাহিদুল হক সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সমিতির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি।

খিলগাঁও থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-৯৯১, তারিখ ১৫.০১.২০২০ ইং। সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম। সাধারণ ডায়েরিতে স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেছেন, গত মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া একটার সময়ে ঘর থেকে বের হন। পরে তিনি রামপুরা বনশ্রী পূর্বালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জজকোর্টের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি। ভুলবশত শহিদুল হক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও চাবি বাসায় রেখে যান।

তার উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি। মুখে সাদা চাপ দাড়ি। গায়ের রং শ্যামলা। তার পরনে কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট ও কালো রংয়ের কোর্ট ছিল। শহিদুল হকের বাবার নাম আয়নাল হক। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামে। শহিদুল হকের দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে শায়লা শারমিন এমবিবিএস চিকিৎসক ছোট সুমাইয়া জান্নাত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং ছেলে রাফে সাঈদ ট্রিপল-ই ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষের ছাত্র।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম বলেন, তাদের বাসা খিলগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় আমরা খিলগাঁও থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি নিই। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে আমি রামপুরা পূর্বালী ব্যাংকেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা উঠিয়েছেন। যেহেতু রামপুরা থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, তাই ঘটনাস্থল রামপুরা থানা এলাকায়। আমাদের থানার ওসি স্যার রামপুরা থানার ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবীর।

এ ব্যাপারে রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবীর বলেন, আমরা খিলগাঁও থানাকে সহযোগিতা করছি। আমরা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি সেখান থেকে তার মিসিং হওয়ার কিছু পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিখোঁজ থানায় মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল হককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ শাহিদুল হক সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খুলনা বিভাগীয় সমিতির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি।

খিলগাঁও থানার সাধারণ ডায়েরি নম্বর-৯৯১, তারিখ ১৫.০১.২০২০ ইং। সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম। সাধারণ ডায়েরিতে স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেছেন, গত মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সোয়া একটার সময়ে ঘর থেকে বের হন। পরে তিনি রামপুরা বনশ্রী পূর্বালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জজকোর্টের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি। ভুলবশত শহিদুল হক তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও চাবি বাসায় রেখে যান।

তার উচ্চতা আনুমানিক ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি। মুখে সাদা চাপ দাড়ি। গায়ের রং শ্যামলা। তার পরনে কালো প্যান্ট, সাদা শার্ট ও কালো রংয়ের কোর্ট ছিল। শহিদুল হকের বাবার নাম আয়নাল হক। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সরুলিয়া গ্রামে। শহিদুল হকের দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে শায়লা শারমিন এমবিবিএস চিকিৎসক ছোট সুমাইয়া জান্নাত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং ছেলে রাফে সাঈদ ট্রিপল-ই ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষের ছাত্র।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম বলেন, তাদের বাসা খিলগাঁও থানা এলাকায় হওয়ায় আমরা খিলগাঁও থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি নিই। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে আমি রামপুরা পূর্বালী ব্যাংকেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকা উঠিয়েছেন। যেহেতু রামপুরা থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, তাই ঘটনাস্থল রামপুরা থানা এলাকায়। আমাদের থানার ওসি স্যার রামপুরা থানার ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবীর।

এ ব্যাপারে রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবীর বলেন, আমরা খিলগাঁও থানাকে সহযোগিতা করছি। আমরা ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি সেখান থেকে তার মিসিং হওয়ার কিছু পাওয়া যায়নি।