শীত উপেক্ষা করে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

মাঘের কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ভরা হাড় কাপানো শীত উপেক্ষা করে কাঁদাপানিতে নেমে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভালুকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণ।

গত বুধবার ভালুকার ভা-াব গ্রামে বোর ধানের চারা রোপণের সঙ্গে কথা হয় ওই গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর সঙ্গে। তিনি জানান দীর্ঘ সময়ব্যাপী ক্রমাগত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়ে বোর ধানের চারা বয়স অনুসারে ঠিকমতো বারেনি। চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ছোট আকৃতির চারাই ক্ষেতে লাগানো শুরু করেছেন। তিনি জানান, ৩০০ টাকা কাঠা জমি চাষ করে ৪০০ টাকা রোজ শ্রমিক দিয়ে ক্ষেত রোপণ করাচ্ছেন। ১৭০ টাকা পাল্লা বাংলা টি এস পি সার ক্ষেতে প্রয়োগ করেছেন। এ বছর শ্রমিকের মজুরি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। ভালুকা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা ও খাল বিল নিম্নœাঞ্চল হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা বোর আবাদে বেশি আগ্রহী। উপজেলার ভালুকা, ভরাডোবা, মেদুয়ারী, উথুরা, ধীতপুর, বিরুনীয়া, মল্লিকবাড়ী, কাচিনা, হবিরবাড়ী ও রাজৈ ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ হয়। ভালুকার ওপর দিয়ে খীরু নদীসহ বেশ কয়েকটি ছোট নদী ও অসংখ্য খাল বিল থাকায় বোরো মৌসুমে পানি সেচের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি। উফসী ১৮ হাজার ৮০, হাইব্রিড ৩২৫ ও স্থানীয় জাত ১০ মোট ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন। বোর মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে বোর আবাদে চাষীদের মাঠ পর্যায়ে লগু পদ্ধতিতে চারা রোপণসহ প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

শীত উপেক্ষা করে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

আতাউর রহমান তরফদার, ভালুকা (ময়মনসিংহ)

image

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : সময়মতো ধান রোপণে মাঠে ব্যস্ত কৃষক-সংবাদ

মাঘের কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় ভরা হাড় কাপানো শীত উপেক্ষা করে কাঁদাপানিতে নেমে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভালুকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণ।

গত বুধবার ভালুকার ভা-াব গ্রামে বোর ধানের চারা রোপণের সঙ্গে কথা হয় ওই গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ঢালীর সঙ্গে। তিনি জানান দীর্ঘ সময়ব্যাপী ক্রমাগত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে কোল্ড ইঞ্জুরিতে আক্রান্ত হয়ে বোর ধানের চারা বয়স অনুসারে ঠিকমতো বারেনি। চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ছোট আকৃতির চারাই ক্ষেতে লাগানো শুরু করেছেন। তিনি জানান, ৩০০ টাকা কাঠা জমি চাষ করে ৪০০ টাকা রোজ শ্রমিক দিয়ে ক্ষেত রোপণ করাচ্ছেন। ১৭০ টাকা পাল্লা বাংলা টি এস পি সার ক্ষেতে প্রয়োগ করেছেন। এ বছর শ্রমিকের মজুরি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান। ভালুকা উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা ও খাল বিল নিম্নœাঞ্চল হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা বোর আবাদে বেশি আগ্রহী। উপজেলার ভালুকা, ভরাডোবা, মেদুয়ারী, উথুরা, ধীতপুর, বিরুনীয়া, মল্লিকবাড়ী, কাচিনা, হবিরবাড়ী ও রাজৈ ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ হয়। ভালুকার ওপর দিয়ে খীরু নদীসহ বেশ কয়েকটি ছোট নদী ও অসংখ্য খাল বিল থাকায় বোরো মৌসুমে পানি সেচের সুবিধা পেয়ে থাকেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি। উফসী ১৮ হাজার ৮০, হাইব্রিড ৩২৫ ও স্থানীয় জাত ১০ মোট ১৮ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২৪০ মেট্রিক টন। বোর মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে বোর আবাদে চাষীদের মাঠ পর্যায়ে লগু পদ্ধতিতে চারা রোপণসহ প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।