দুর্গাপুরে গোপনে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গোপনভাবে দক্ষিণ ভবানীপুর সরকারি প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা গত সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর-দক্ষিণ ভবানীপুর ফেরি ঘাটে যাওয়ার সময় একটি ভেনগাড়ি ভর্তি পুরাতন বই নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কে অবহিত করলে তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনাটি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিতেষ চন্দ্রপাল ঘটনা স্থলে এসে সোমবার সন্ধ্যায় ফেরি ঘাট এলাকা থেকে বইগুলো জব্দ করেন। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন তিনি গতবছরের পরীক্ষার খাতা সহ কিছু পুরাতন বই বিক্রি করেছেন। এ সময় বিদ্যালয়ের পিয়ন হয়ত কিছু নতুন বই ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এটা তার জানা ছিল না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিতেষ চন্দ্রপাল বলেন বিদ্যালয়ের, বই বিক্রি করার কোন বিধান নেই। বিক্রি করতে হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করতে হবে। প্রধান শিক্ষক তা নিয়মবহির্ভুতভাবে করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক কে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দুর্গাপুরে গোপনে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

মো. মোহন মিয়া , দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে গোপনভাবে দক্ষিণ ভবানীপুর সরকারি প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা গত সোমবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর-দক্ষিণ ভবানীপুর ফেরি ঘাটে যাওয়ার সময় একটি ভেনগাড়ি ভর্তি পুরাতন বই নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কে অবহিত করলে তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনাটি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিতেষ চন্দ্রপাল ঘটনা স্থলে এসে সোমবার সন্ধ্যায় ফেরি ঘাট এলাকা থেকে বইগুলো জব্দ করেন। প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন তিনি গতবছরের পরীক্ষার খাতা সহ কিছু পুরাতন বই বিক্রি করেছেন। এ সময় বিদ্যালয়ের পিয়ন হয়ত কিছু নতুন বই ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এটা তার জানা ছিল না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিতেষ চন্দ্রপাল বলেন বিদ্যালয়ের, বই বিক্রি করার কোন বিধান নেই। বিক্রি করতে হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করতে হবে। প্রধান শিক্ষক তা নিয়মবহির্ভুতভাবে করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষক কে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।