বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

হবিগঞ্জ, খুলনা দিনাজপুর ও নেত্রকোনার পরিবেশনা আজ

হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা দিয়ে বিকেল ৪টায় শুরু হবে আজকের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর ১৫তম দিনের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘পালাটিয়া’ ও ‘গাজী কালুর কিচ্ছা’। বাংলাশে শিল্পকলা একাডেমিতে গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত.একক সংগীত,বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৪তম দিনে নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। আজহারুল হক আজাদের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘বাক শিল্পাঙ্গন’।

জেলার পরিবেশনায় ছিল-ভোলা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, জেলার ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক এবং উন্নয়নের গানের কথায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ, রেহানা ফেরদৌস, উত্তম ঘোষ, মৃদুল, শ্যামলী, মিতু, রূপা, সুমাইয়া, আমিরুল ও পলাশ। দেশাত্ববোধক গানে ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মুনা, তানজিন, অথৈ, দোলা, হোসেন, হাসিব, চিন্ময়, শাওন ও অভি। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রেহানা ফেরদৌস। দেশের গানে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, মীর আনোয়ার, নিলয় ও ইমন। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাসির আহমেদ।

সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, লিয়াকত আলী লাকীর কথা ও সুরে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের’ এবং অনীষ তালুকদারের কথা ও দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন এর সুরে ‘এখন পদ্মা মেঘনা সুরমা বহমান’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী দীপু, সুবির বনিক, সুমন, মনির, রেদোয়ান, বৃষ্টি, কাকলী, বাবলী, শিপা ও ঝর্ণা। তুলিকা ঘোষ চৌধুরী’র নৃত্য পরিচালনায় ‘কোন গাঙ্গে আইলো পানি’ এবং ‘বাইজ্যোনারে শ্যামের বাঁশি’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সমির পল্লব, অমিত বর্মণ, আশীষ বর্মণ, আমজাদ হোসেন, দিবারতি ঐশি, অংকিতা দিয়া, মৌলি, প্রমি ও মৌমিতা। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী পাগল হাসান পরিবেশন করে ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মাকসুদুর রহমান দিপু পরিবেশন করে ‘গ্রামের নওজোয়ান’। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী রশিদ উদ্দিন, আলী আকবর, কপিল ঋষি ও অমিত বর্মণ। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুল আবেদীন।

সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আঞ্চলিক এবং দেশাত্মবোধক গানে ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শ্যামল সরকার, কুমার ইন্দ্রজিত, শুভেন্দ্র সরকার, পার্থ, শহিদুল ইসলাম, সুস্মিতা সাহা, পূজা, তনিমা, শিরিনা ও দেবশ্রী। ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নুসরাত জাহান, অনন্যা সরকার, আঁখি, রিয়া, সাকিব, দেবাশিষ, দীপ্ত, রেজাউল ও মুক্তা। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সংগীত, সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সংগীত এবং যন্ত্রসংগীত পরিবেশিত হয়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় সুকলাল ম-লের পরিচালনায় এবং আলালপুরের রাজবাগ অষ্টকদলের পরিবেশনায় অষ্টক পালা ‘চন্ডিদাস রজকীনি, অভিমন্যু বর, হালই গান’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রতন বাসার- চন্ডিদাস, মঞ্জিলা গোলদার- রজকিনী, দোহার- দিরেণ বাওয়ালী, নৃত্য- কমলেশ বাশার, অনুপম বিশ্বাস, দোলা বাশার, বন্যা মল্লিক, সাগরিকা মল্লিক, নয়ন। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন ত্রিশান বিশ্বাস- হারমনিয়াম, স্বপন মল্লিক- ঢোল, সমর মল্লিক।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব

হবিগঞ্জ, খুলনা দিনাজপুর ও নেত্রকোনার পরিবেশনা আজ

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্য পরিবেশন

হবিগঞ্জ, খুলনা, দিনাজপুর ও নেত্রকোনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা দিয়ে বিকেল ৪টায় শুরু হবে আজকের ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর ১৫তম দিনের আয়োজন। রাত ৮টায় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘পালাটিয়া’ ও ‘গাজী কালুর কিচ্ছা’। বাংলাশে শিল্পকলা একাডেমিতে গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ২১ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীসহ পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করছে দেশের ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪টি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনার মধ্যে রয়েছে-সমবেত সংগীত, যন্ত্রসংগীত.একক সংগীত,বাউল সংগীত, সমবেত নৃত্য, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান ও নৃত্য, আবৃতি, পালা, লোকনাট্য, পুতুলনাট্য, অ্যাক্রোবেটিক, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে জেলা ব্রান্ডিং।

গতকাল বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবের ১৪তম দিনে নন্দন মঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির নিজস্ব শিল্পীরা শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এর পরে তাদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। আজহারুল হক আজাদের পরিচালনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে ‘বাক শিল্পাঙ্গন’।

জেলার পরিবেশনায় ছিল-ভোলা জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, জেলার ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক এবং উন্নয়নের গানের কথায় সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ, রেহানা ফেরদৌস, উত্তম ঘোষ, মৃদুল, শ্যামলী, মিতু, রূপা, সুমাইয়া, আমিরুল ও পলাশ। দেশাত্ববোধক গানে ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী মুনা, তানজিন, অথৈ, দোলা, হোসেন, হাসিব, চিন্ময়, শাওন ও অভি। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী মঞ্জুর আহমেদ এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী রেহানা ফেরদৌস। দেশের গানে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী ভাস্কর চন্দ্র মজুমদার, মীর আনোয়ার, নিলয় ও ইমন। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি নাসির আহমেদ।

সুনামগঞ্জ জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, লিয়াকত আলী লাকীর কথা ও সুরে ‘এ মাটি নয় জঙ্গিবাদের’ এবং অনীষ তালুকদারের কথা ও দেবদাস চৌধুরী রঞ্জন এর সুরে ‘এখন পদ্মা মেঘনা সুরমা বহমান’ গানের কথায় ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী দীপু, সুবির বনিক, সুমন, মনির, রেদোয়ান, বৃষ্টি, কাকলী, বাবলী, শিপা ও ঝর্ণা। তুলিকা ঘোষ চৌধুরী’র নৃত্য পরিচালনায় ‘কোন গাঙ্গে আইলো পানি’ এবং ‘বাইজ্যোনারে শ্যামের বাঁশি’ গানের কথায় ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী সমির পল্লব, অমিত বর্মণ, আশীষ বর্মণ, আমজাদ হোসেন, দিবারতি ঐশি, অংকিতা দিয়া, মৌলি, প্রমি ও মৌমিতা। একক সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী পাগল হাসান পরিবেশন করে ‘আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী মাকসুদুর রহমান দিপু পরিবেশন করে ‘গ্রামের নওজোয়ান’। যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে শিল্পী রশিদ উদ্দিন, আলী আকবর, কপিল ঋষি ও অমিত বর্মণ। জেলার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুল আবেদীন।

সাতক্ষীরা জেলার পরিবেশনার শুরুতে জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, আঞ্চলিক এবং দেশাত্মবোধক গানে ২টি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী শ্যামল সরকার, কুমার ইন্দ্রজিত, শুভেন্দ্র সরকার, পার্থ, শহিদুল ইসলাম, সুস্মিতা সাহা, পূজা, তনিমা, শিরিনা ও দেবশ্রী। ২টি সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পী নুসরাত জাহান, অনন্যা সরকার, আঁখি, রিয়া, সাকিব, দেবাশিষ, দীপ্ত, রেজাউল ও মুক্তা। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সংগীত, সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশিত হয়।

ঝিনাইদহ জেলার পরিবেশনায় জেলা ব্রান্ডিং ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও উপজেলা পর্যায়ের শিল্পীর পরিবেশনায় একক সংগীত এবং যন্ত্রসংগীত পরিবেশিত হয়।

একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত ৮টায় দর্শনীর বিনিমেয়ে মঞ্চস্থ হয় সুকলাল ম-লের পরিচালনায় এবং আলালপুরের রাজবাগ অষ্টকদলের পরিবেশনায় অষ্টক পালা ‘চন্ডিদাস রজকীনি, অভিমন্যু বর, হালই গান’। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রতন বাসার- চন্ডিদাস, মঞ্জিলা গোলদার- রজকিনী, দোহার- দিরেণ বাওয়ালী, নৃত্য- কমলেশ বাশার, অনুপম বিশ্বাস, দোলা বাশার, বন্যা মল্লিক, সাগরিকা মল্লিক, নয়ন। যন্ত্রে সহযোগিতা করেছেন ত্রিশান বিশ্বাস- হারমনিয়াম, স্বপন মল্লিক- ঢোল, সমর মল্লিক।