মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যাচাই না করে নাম দেয়ায় বিভ্রান্তি হয়

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যাচাই-বাছাই না করে নাম দেয়ায় রাজাকারের তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্তি ছিল বলেই দুঃখ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করেছি। রাজাকারের তালিকায় যাদের নাম দিয়েছে তারা সক্রিয় ছিল কিনা তা শুধু যাচাই করার ব্যাপার। সব ডকুমেন্টারি প্রমাণাদি আছে, আমরা চেক করব। সমস্যাটা হচ্ছে, তখনকার মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল- তারা সমানে অর্থাৎ যাচাই-বাছাই না করে অনেকের নাম দিয়ে দিয়েছে হয়তো। সেজন্যই এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৫ম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘রাজাকারের তালিকা’ নিয়ে কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমি আগেই দুঃখ প্রকাশ করে সেই তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ভুলত্রুটি ছিল বলেই। ভবিষ্যতে যাতে আর ভুলত্রুটির পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং সম্পূর্ণরূপে যাচাই-বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করব।

সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সংসদে আমি বলেছিলাম, আমরা কোন তালিকা তৈরি করব না, প্রকাশ করব। ঘটনাটাও তাই হয়েছে। আমরা যেটা পেয়েছি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রণয়ন করেনি, তাদের কাছে যা সংরক্ষিত ছিল তাই দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সব ডকুমেন্ট সংরক্ষিত ছিল এবং সেখান থেকেই যে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে তাই আমরা প্রকাশ করেছি। তবে ভবিষ্যতে যাচাই বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করব।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ হতে ১ হাজার ৭৮৫ জন রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি তালিকা এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। প্রাপ্ত তালিকা হুবহু মুক্তিযুদ্ধ বিষয় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উক্ত তালিকা প্রস্তুত করেনি সেহেতু প্রশ্ন উত্থাপন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

রাজাকারের তালিকা

মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যাচাই না করে নাম দেয়ায় বিভ্রান্তি হয়

মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যাচাই-বাছাই না করে নাম দেয়ায় রাজাকারের তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ভুলভ্রান্তি ছিল বলেই দুঃখ প্রকাশ করে তা প্রত্যাহার করেছি। রাজাকারের তালিকায় যাদের নাম দিয়েছে তারা সক্রিয় ছিল কিনা তা শুধু যাচাই করার ব্যাপার। সব ডকুমেন্টারি প্রমাণাদি আছে, আমরা চেক করব। সমস্যাটা হচ্ছে, তখনকার মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল- তারা সমানে অর্থাৎ যাচাই-বাছাই না করে অনেকের নাম দিয়ে দিয়েছে হয়তো। সেজন্যই এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনের ৫ম কার্যদিবসে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ‘রাজাকারের তালিকা’ নিয়ে কয়েকজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমি আগেই দুঃখ প্রকাশ করে সেই তালিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। ভুলত্রুটি ছিল বলেই। ভবিষ্যতে যাতে আর ভুলত্রুটির পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং সম্পূর্ণরূপে যাচাই-বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করব।

সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সংসদে আমি বলেছিলাম, আমরা কোন তালিকা তৈরি করব না, প্রকাশ করব। ঘটনাটাও তাই হয়েছে। আমরা যেটা পেয়েছি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রণয়ন করেনি, তাদের কাছে যা সংরক্ষিত ছিল তাই দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সব ডকুমেন্ট সংরক্ষিত ছিল এবং সেখান থেকেই যে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে তাই আমরা প্রকাশ করেছি। তবে ভবিষ্যতে যাচাই বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করব।

সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ হতে ১ হাজার ৭৮৫ জন রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের একটি তালিকা এ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। প্রাপ্ত তালিকা হুবহু মুক্তিযুদ্ধ বিষয় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উক্ত তালিকা প্রস্তুত করেনি সেহেতু প্রশ্ন উত্থাপন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।