অনিরাপদ বোতলজাত পানি সরবরাহ

বিএসটিআই’র নজর নেই, দুদকের অভিযান

রাজধানীর হোটেল রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন অফিসপাড়ায় অস্বাস্থ্যকর বোতলজাত (জার) পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যে বোতলজাত পানি সরবরাহ করা হয় সেগুলোও নিরাপদ নয়। বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৮৬ টি পানি সরবরাহকারী কোম্পানি থাকলেও রাজধানীতে সহ¯্রাধিক প্রতিষ্ঠান জারের পানি সরবরাহ করছে। যার কোনটিই বিএসটিআই কর্তৃক মান নিয়ন্ত্রিত নয়। অস্বাস্থ্যকর এবং মানহীন পানি সরহরাহ করা হলেও মান নিয়ন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে কোন নজরদারী নেই। এমন অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের( দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে জারভর্তি পানি স্বাস্থ্যকর উপায়ে সংগ্রহ এবং সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

দুদক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন অফিস-আদালত ও রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পানির সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে ছাড়পত্র প্রদানের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক অভিযোগকেন্দ্রে অভিযোগ আসে, রাজধানীর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস-আদালতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরবরাহ করা জারভর্তি পানিতে নানাবিধ জীবাণু থাকলেও দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে (বিএসটিআই) এ নিয়ে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম বিএসটিআই এর লাইসেন্সভুক্ত পানি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর তথ্য খতিয়ে দেখে। মগবাজারের মধুবাগের ‘স্বচ্ছ ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানি’র লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রতিষ্ঠানটি পানি সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়।

দুদক সূত্রমতে, দুদক টিমের এক জিজ্ঞাসায় বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, পানি সরবরাহের জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ১৮৬টি হলেও প্রায় ৬শ’ থেকে ৭শ’টি প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিএসটিআই বলছে, জনবল সংকটের কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রে অভিযান করতে পারে না। তাদের নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, বোলতজাত করে যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে পানি সরবরাহ করছে তার অধিকাংশ সরাসরি ওয়াসার লাইনের পানি থেকে পানি নিয়ে বোতলজাত করছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পানি বিশুদ্ধকরণের কোন যন্ত্রপাতি নেই। কারখানাগুলোও নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে এবং বোতলগুলোও জীবাণুযুক্ত। এসব বিষয়ে মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই নিয়মিত তদারকি করার কথা থাকলেও তারা তা করছে না। বরং বিএসটিআইয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্থের বিনিময়ে যাকে তাকে লাইসেন্স দিচ্ছে। লাইসেন্স নিয়ে পানি বোতালজাত করার পর সেগুলোর মান সঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা না করেই মান আছে বলে অনুমোদন বা সিল দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

বিএসটিআইয়ের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, তারা ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিলেও ৬শ’ থেকে ৭শ’ প্রতিষ্ঠান পানি বোতালজাত করছে। বিএসটিআই ৬ থেকে ৭ প্রতিষ্ঠানের কথা বললেও সহ¯্রাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কোন সাইনবোর্ড বা নামও নেই। ব্যাংকের ছাতার মতো জারে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বিএসটিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানেই পানি জারে ভর্তি করা হচ্ছে না। এমনকি যেসব প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআই লাইসেন্স দিয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ মান অনুযায়ী পানি বোতলজাত করছে না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিএসটিআই কখনও কোন পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য দিতে পারেনি। এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, তারা পানি বোতলজাত করে সরবরাহের ক্ষেত্রে মান পরীক্ষার বিষয়ে কোন নজরদারি করছে না। বিএসটিআইয়ের গাফলতির কারণে জীবাণু এবং ময়লাযুক্ত পানি সরহরাহ করে অসাধু চক্র বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পানি একটি প্রয়োজনীয় পণ্য। রাজধানীতে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি স্বাস্থ্যকর না হওয়ায় অনেকেই বাসাবাড়িতেও জারভর্তি পানি ব্যবহার করছে। আর অফিস পাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে জারের পানির ব্যাপক চাহিদা আছে। এ সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র অনুমোদন না নিয়ে পানি বিক্রি করলেও কোন ব্যবস্থা নিচেছ না সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর রেস্টহাউজ ব্যবহারে অনিয়েমর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী এর সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে গতকাল এ অভিযান পরিচালিত হয়। টিম উক্ত রেস্টহাউজের রেজিস্টার খাতা পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত ৪ বছর ধরে বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান রেস্টহাউজের ২টি কক্ষ দখল করে রেখেছেন। যার ফলে বাইরে থেকে আসা কর্মকর্তাদের হোটেল বা অন্য স্থানে থাকতে হয়। এ অনিয়মের বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র পূরণের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক। এছাড়াও চাঁদপুরের শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদান না করে রোগীদের হয়রানির অভিযোগ এবং কচুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে ঘুষ দাবির অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে ২টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

রাজধানীর হোটেল-অফিস বাসাবাড়িতে

অনিরাপদ বোতলজাত পানি সরবরাহ

বিএসটিআই’র নজর নেই, দুদকের অভিযান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর হোটেল রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন অফিসপাড়ায় অস্বাস্থ্যকর বোতলজাত (জার) পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যে বোতলজাত পানি সরবরাহ করা হয় সেগুলোও নিরাপদ নয়। বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৮৬ টি পানি সরবরাহকারী কোম্পানি থাকলেও রাজধানীতে সহ¯্রাধিক প্রতিষ্ঠান জারের পানি সরবরাহ করছে। যার কোনটিই বিএসটিআই কর্তৃক মান নিয়ন্ত্রিত নয়। অস্বাস্থ্যকর এবং মানহীন পানি সরহরাহ করা হলেও মান নিয়ন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের এসব বিষয়ে কোন নজরদারী নেই। এমন অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের( দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে জারভর্তি পানি স্বাস্থ্যকর উপায়ে সংগ্রহ এবং সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

দুদক সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন অফিস-আদালত ও রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পানির সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে ছাড়পত্র প্রদানের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক অভিযোগকেন্দ্রে অভিযোগ আসে, রাজধানীর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিস-আদালতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরবরাহ করা জারভর্তি পানিতে নানাবিধ জীবাণু থাকলেও দেশে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে (বিএসটিআই) এ নিয়ে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাউফুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গতকাল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে টিম বিএসটিআই এর লাইসেন্সভুক্ত পানি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর তথ্য খতিয়ে দেখে। মগবাজারের মধুবাগের ‘স্বচ্ছ ড্রিংকিং ওয়াটার কোম্পানি’র লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রতিষ্ঠানটি পানি সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিককে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়।

দুদক সূত্রমতে, দুদক টিমের এক জিজ্ঞাসায় বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ জানায়, পানি সরবরাহের জন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ১৮৬টি হলেও প্রায় ৬শ’ থেকে ৭শ’টি প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিএসটিআই বলছে, জনবল সংকটের কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রে অভিযান করতে পারে না। তাদের নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, বোলতজাত করে যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে পানি সরবরাহ করছে তার অধিকাংশ সরাসরি ওয়াসার লাইনের পানি থেকে পানি নিয়ে বোতলজাত করছে বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে পানি বিশুদ্ধকরণের কোন যন্ত্রপাতি নেই। কারখানাগুলোও নোংরা স্যাঁতস্যাঁতে এবং বোতলগুলোও জীবাণুযুক্ত। এসব বিষয়ে মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই নিয়মিত তদারকি করার কথা থাকলেও তারা তা করছে না। বরং বিএসটিআইয়ের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্থের বিনিময়ে যাকে তাকে লাইসেন্স দিচ্ছে। লাইসেন্স নিয়ে পানি বোতালজাত করার পর সেগুলোর মান সঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা না করেই মান আছে বলে অনুমোদন বা সিল দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পেয়েছে দুদক।

বিএসটিআইয়ের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, তারা ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিলেও ৬শ’ থেকে ৭শ’ প্রতিষ্ঠান পানি বোতালজাত করছে। বিএসটিআই ৬ থেকে ৭ প্রতিষ্ঠানের কথা বললেও সহ¯্রাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে দুদক। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কোন সাইনবোর্ড বা নামও নেই। ব্যাংকের ছাতার মতো জারে পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বিএসটিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানেই পানি জারে ভর্তি করা হচ্ছে না। এমনকি যেসব প্রতিষ্ঠানকে বিএসটিআই লাইসেন্স দিয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ মান অনুযায়ী পানি বোতলজাত করছে না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিএসটিআই কখনও কোন পদক্ষেপ নেয়ার তথ্য দিতে পারেনি। এ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, তারা পানি বোতলজাত করে সরবরাহের ক্ষেত্রে মান পরীক্ষার বিষয়ে কোন নজরদারি করছে না। বিএসটিআইয়ের গাফলতির কারণে জীবাণু এবং ময়লাযুক্ত পানি সরহরাহ করে অসাধু চক্র বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ পানি একটি প্রয়োজনীয় পণ্য। রাজধানীতে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি স্বাস্থ্যকর না হওয়ায় অনেকেই বাসাবাড়িতেও জারভর্তি পানি ব্যবহার করছে। আর অফিস পাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে জারের পানির ব্যাপক চাহিদা আছে। এ সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র অনুমোদন না নিয়ে পানি বিক্রি করলেও কোন ব্যবস্থা নিচেছ না সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর রেস্টহাউজ ব্যবহারে অনিয়েমর অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহী এর সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে গতকাল এ অভিযান পরিচালিত হয়। টিম উক্ত রেস্টহাউজের রেজিস্টার খাতা পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত ৪ বছর ধরে বিএমডিএ এর চেয়ারম্যান রেস্টহাউজের ২টি কক্ষ দখল করে রেখেছেন। যার ফলে বাইরে থেকে আসা কর্মকর্তাদের হোটেল বা অন্য স্থানে থাকতে হয়। এ অনিয়মের বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র পূরণের অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক। এছাড়াও চাঁদপুরের শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদান না করে রোগীদের হয়রানির অভিযোগ এবং কচুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলিতে ঘুষ দাবির অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুমিল্লা থেকে ২টি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।