পূজার দিন নির্বাচন নিয়ে যা বললেন নেতারা

সরস্বতী পূজার দিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও মেয়র প্রার্থীরা। পাশাপাশি তারা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানান বলেও উল্লেখ করেন। গতকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত ছিল। তারপরও তাদের বিবেচনার মধ্যে কোন ফাঁকফোকর ছিল কিনা সেটাও দেখার বিষয় আদালতের।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট তো বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বাইরে কিছু নিশ্চয়ই ভাববেন না। হাইকোর্টে যারা রায় দিয়েছেন তারা তো ভেবেচিন্তেই দিয়েছেন। যেখানে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে কোর্টের আদেশ যেটা সেটা তো মেনে চলা উচিত। আমি আন্দোলনকারীদের আহ্বান জানাবো, তারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন। আমি আশা করি, আদালতের আদেশ মেনে নিয়ে তারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন।

নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমি চাই না, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন হোক। পূজার কথা স্মরণ রেখে নির্বাচন পেছানো হোক, এ দাবি করছি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, ধর্ম পালনে কারও যেন কোন বিঘœ না হয়। আমি চাই, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়টি বিবেচনা করবে।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন করা সরকারের অন্যায় কাজ হয়েছে। এটা কোন দিন হয় নাকি? ঈদের দিন যদি একটা নির্বাচন হয়, পূজার দিনে হয়, এটা কি সরকারের একদম গাফিলতি এবং ব্যর্থতা না?

উত্তরে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা আগেও বলেছিলাম যে দুর্গাপূজার সময় যেন রংপুরের নির্বাচন না দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকারের কথা শুনে দুর্গাপূজার মাঝখানে নির্বাচন দিয়েছিল। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা তখনও আঘাত পেয়েছিলেন। এবারও দেখছি তারা সরস্বতী পূজা বানচাল করার জন্য নির্বাচন দিয়েছে। এখানে অন্যকিছুকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, কিন্তু ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। আমি হিন্দু ভাই-বোনসহ সব ধর্মের সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, সেটার জবাব তারা ৩০ জানুয়ারি ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই পূজা ২৯ তারিখে হবে। তাই ওইদিন নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিল বিভিন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হলেও তা খারিজ করে দেয়া হয়েছে। পরে এ নিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ , ৩ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পূজার দিন নির্বাচন নিয়ে যা বললেন নেতারা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সরস্বতী পূজার দিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও মেয়র প্রার্থীরা। পাশাপাশি তারা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানান বলেও উল্লেখ করেন। গতকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত ছিল। তারপরও তাদের বিবেচনার মধ্যে কোন ফাঁকফোকর ছিল কিনা সেটাও দেখার বিষয় আদালতের।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট তো বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বাইরে কিছু নিশ্চয়ই ভাববেন না। হাইকোর্টে যারা রায় দিয়েছেন তারা তো ভেবেচিন্তেই দিয়েছেন। যেখানে বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে কোর্টের আদেশ যেটা সেটা তো মেনে চলা উচিত। আমি আন্দোলনকারীদের আহ্বান জানাবো, তারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন। আমি আশা করি, আদালতের আদেশ মেনে নিয়ে তারা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন।

নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। আমি চাই না, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন হোক। পূজার কথা স্মরণ রেখে নির্বাচন পেছানো হোক, এ দাবি করছি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, ধর্ম পালনে কারও যেন কোন বিঘœ না হয়। আমি চাই, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়টি বিবেচনা করবে।

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সরস্বতী পূজার দিনে নির্বাচন করা সরকারের অন্যায় কাজ হয়েছে। এটা কোন দিন হয় নাকি? ঈদের দিন যদি একটা নির্বাচন হয়, পূজার দিনে হয়, এটা কি সরকারের একদম গাফিলতি এবং ব্যর্থতা না?

উত্তরে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা আগেও বলেছিলাম যে দুর্গাপূজার সময় যেন রংপুরের নির্বাচন না দেয়া হয়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকারের কথা শুনে দুর্গাপূজার মাঝখানে নির্বাচন দিয়েছিল। আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা তখনও আঘাত পেয়েছিলেন। এবারও দেখছি তারা সরস্বতী পূজা বানচাল করার জন্য নির্বাচন দিয়েছে। এখানে অন্যকিছুকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, কিন্তু ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হয়নি। আমি হিন্দু ভাই-বোনসহ সব ধর্মের সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, তাদের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, সেটার জবাব তারা ৩০ জানুয়ারি ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই পূজা ২৯ তারিখে হবে। তাই ওইদিন নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিল বিভিন্ন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হলেও তা খারিজ করে দেয়া হয়েছে। পরে এ নিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।