ভালুকায় সরকারি প্রণোদনায় অর্থকরী ফসল ভুট্টাচাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্য উৎপাদনে ভুট্টার ব্যবহার অনস্বীকার্য হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভালুকা উপজেলায় পোল্ট্রি খামার ও মৎস্য চাষে ব্যাপক প্রসারতা লাভ করেছে। অপরদিকে এসব পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভালুকায় বেশ কয়েকটি ফিড মিল গড়ে উঠেছে। উত্তর বঙ্গ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব ফিড মিলে ভুট্টা আমদানি করা হয়ে থাকে। ভালুকায় উৎপাদিত ভুট্টা ভালুকার ফিডমিল গুলিতে সরবরাহ করে কৃষক লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান ভালুকায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে অর্জিত হয়েছে ৩৫ হেক্টর। সরকারি প্রণোদনায় ২০০ জন চাষিকে ২ কেজি করে ভুট্টা বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি, এম ও পি সার ১০ কেজি প্রদান করা হয়। ১০ জন চাষিকে রাজস্ব খাতের আওতায় বীজ সার ও আন্তঃপরিচর্যা বাবদ ইউরিয়া ৬৫ কেজি, এম ও পি ২৫ কেজি, টি এসপি ৩৫ কেজি, জিপ সাম ৩৫ কেজি, বরিক এসিড দেড় কেজি, দস্তা সার দেড় কেজি, মেগনেসিয়াম সালফেট ৬ কেজি, প্রদর্শনী সাইনবোর্ড ১টি ও আন্তঃপরিচর্যার জন্য এক হাজার টাকা করে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণের জন্য ব্রিফিং ভাতা বাবদ প্রতি কৃষককে ৫শ’ টাকা করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান ভুট্টা ফসল উঠানোর পর গাছ জ্বালানি ও পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ভুট্টা ভেজে খেতে খুবই সুস্বাধু। উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের কাঠালী, মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের গোবুদিয়া, নয়নপুর, ডাকাতিয়ার হাজির বাজার,আউলিয়ার চালাসহ বিভিন্ন গ্রামে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ডাকাতিয়ার বেপারীপাড়া গ্রামে সরকারি রাজস্ব আওতায় প্রদর্শনী প্লটের ৫ জন কৃষক আব্দুল আলীম, ইছমত আলী, আমেনা খাতুন, শাহীনা আক্তার ও তছিরন বেগম ভুট্টার আবাদ করেছেন। ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান সরকারি প্রণোদনার বাইরেও উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে অনেক চাষি ভুট্টার আবাদ করেছেন। সারাবছর আবাদ হলেও ডিসেম্বর মাসে সাধারণত রবি মৌসুমের ভুট্টার বীজ বপন হয়। ধানের চেয়ে সেচ, সার, কীটনাশক, ও আনুষাঙ্গিক খরচ অনেক কম হওয়ায় ভুট্টা চাষ বেশি লাভজনক। প্রতি হেক্টরে ৫ মেট্রিক টন ফলন অনায়াসে পাওয়া যায়। ফসল উঠার পর ফরিয়ারা কৃষকের বাড়ি হতে ৭ থেকে ৮শ টাকা মণ দরে ভুট্টা কিনে নিয়ে যায়। বাজারজাতকরণে কৃষকের কোন পরিবহন খরচ লাগে না।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)
ভালুকায় সরকারি প্রণোদনায় অর্থকরী ফসল ভুট্টাচাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। পোল্ট্রি ও মাছের খাদ্য উৎপাদনে ভুট্টার ব্যবহার অনস্বীকার্য হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভালুকা উপজেলায় পোল্ট্রি খামার ও মৎস্য চাষে ব্যাপক প্রসারতা লাভ করেছে। অপরদিকে এসব পোল্ট্রি ও মৎস্য খামারের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভালুকায় বেশ কয়েকটি ফিড মিল গড়ে উঠেছে। উত্তর বঙ্গ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব ফিড মিলে ভুট্টা আমদানি করা হয়ে থাকে। ভালুকায় উৎপাদিত ভুট্টা ভালুকার ফিডমিল গুলিতে সরবরাহ করে কৃষক লাভবান হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান ভালুকায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে অর্জিত হয়েছে ৩৫ হেক্টর। সরকারি প্রণোদনায় ২০০ জন চাষিকে ২ কেজি করে ভুট্টা বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি, এম ও পি সার ১০ কেজি প্রদান করা হয়। ১০ জন চাষিকে রাজস্ব খাতের আওতায় বীজ সার ও আন্তঃপরিচর্যা বাবদ ইউরিয়া ৬৫ কেজি, এম ও পি ২৫ কেজি, টি এসপি ৩৫ কেজি, জিপ সাম ৩৫ কেজি, বরিক এসিড দেড় কেজি, দস্তা সার দেড় কেজি, মেগনেসিয়াম সালফেট ৬ কেজি, প্রদর্শনী সাইনবোর্ড ১টি ও আন্তঃপরিচর্যার জন্য এক হাজার টাকা করে প্রত্যেককে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণের জন্য ব্রিফিং ভাতা বাবদ প্রতি কৃষককে ৫শ’ টাকা করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান ভুট্টা ফসল উঠানোর পর গাছ জ্বালানি ও পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ভুট্টা ভেজে খেতে খুবই সুস্বাধু। উপজেলার ভালুকা ইউনিয়নের কাঠালী, মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের গোবুদিয়া, নয়নপুর, ডাকাতিয়ার হাজির বাজার,আউলিয়ার চালাসহ বিভিন্ন গ্রামে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ডাকাতিয়ার বেপারীপাড়া গ্রামে সরকারি রাজস্ব আওতায় প্রদর্শনী প্লটের ৫ জন কৃষক আব্দুল আলীম, ইছমত আলী, আমেনা খাতুন, শাহীনা আক্তার ও তছিরন বেগম ভুট্টার আবাদ করেছেন। ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান সরকারি প্রণোদনার বাইরেও উদ্বুদ্ধ করনের মাধ্যমে অনেক চাষি ভুট্টার আবাদ করেছেন। সারাবছর আবাদ হলেও ডিসেম্বর মাসে সাধারণত রবি মৌসুমের ভুট্টার বীজ বপন হয়। ধানের চেয়ে সেচ, সার, কীটনাশক, ও আনুষাঙ্গিক খরচ অনেক কম হওয়ায় ভুট্টা চাষ বেশি লাভজনক। প্রতি হেক্টরে ৫ মেট্রিক টন ফলন অনায়াসে পাওয়া যায়। ফসল উঠার পর ফরিয়ারা কৃষকের বাড়ি হতে ৭ থেকে ৮শ টাকা মণ দরে ভুট্টা কিনে নিয়ে যায়। বাজারজাতকরণে কৃষকের কোন পরিবহন খরচ লাগে না।