যশোরের কেশবপুরে টেপুর বিলে বোরো আবাদের দাবিতে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার যশোরের জেলা প্রশাসক কেশবপুরে আসলে তার কাছে বিল সংলগ্ন এলাকার শত শত কৃষক ওই বিলের পানি নিষ্কাশনের জোর দাবি জানানো হয়। এ সময় তিনি ঘের মালিককে দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করানোর জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বন্যাকবলিত হাসাডাঙ্গা, নাগোরঘোপ, চিনাটোলা, মধ্যকুল, রতনদিয়া, হাবাসপোল গ্রামসহ ৮-১০ গ্রামের সীমান্তবর্তী স্থানে প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমি নিয়ে টেপুরবিল অবস্থিত। এলাকাবাসী ওই বিলের একমাত্র ফসল বোরো ধান উৎপাদন করে সারাবছর খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন। এসব গ্রামের মানুষ অতিদরিদ্র এবং কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। ১০-১২ বছর আগে ৩০শে পৌষের মধ্যে পানি নিষ্কাশন করে কৃষকদের ধান উৎপাদনের সুযোগ করে দেয়ার শর্তে বিলটি লিজ হিসেবে গ্রহণ করেন হাসাডাঙ্গা গ্রামের আবু তালেব মোড়লের ছেলে সুলতান মোড়ল। কিন্তু চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি (৩০ পৌষ) পানি নিষ্কাশনের সময় শেষ হয়ে গেলেও এখনও বিলে অথৈই পানি রয়েছে। বিল সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা এখনও বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। ওই ঘের মলিক পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় এলাকার হাজার হাজার কৃষি পরিবার হতাশায় ভুগছেন।
ঘের মালিক সুলতান মোড়লের ম্যানেজার দীপঙ্কার বলেন, ওই ঘেরের অনেক কৃষক তাদের জমি বারো মাসের জন্যে ডিড করে দিয়েছে। কিছু কৃষক তা না মেনে বোরো আবাদের জন্যে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানি আন্দোলন করছে। যে কারণে সময় মতো পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিরসনে অচিরেই কৃষকদের নিয়ে বসা হবে।
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি, চিংড়া ভূমি অফিস ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা পরিদর্শনে আসেন। এ খবর জানতে পেরে ওই বিল সংলগ্ন এলাকার শত শত কৃষক উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে তার কাচে ওই বিলের পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কৃষকদের সমস্যা শুনে ইউএনও’কে আগামী রোববারের মধ্যে ওই ঘের মালিককে ডেকে টেপুর বিলের পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদের সুযোগ সৃষ্টির নির্দেশনা দেন।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুরে টেপুর বিলে বোরো আবাদের দাবিতে কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার যশোরের জেলা প্রশাসক কেশবপুরে আসলে তার কাছে বিল সংলগ্ন এলাকার শত শত কৃষক ওই বিলের পানি নিষ্কাশনের জোর দাবি জানানো হয়। এ সময় তিনি ঘের মালিককে দিয়ে ঘেরের পানি নিষ্কাশন করানোর জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বন্যাকবলিত হাসাডাঙ্গা, নাগোরঘোপ, চিনাটোলা, মধ্যকুল, রতনদিয়া, হাবাসপোল গ্রামসহ ৮-১০ গ্রামের সীমান্তবর্তী স্থানে প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমি নিয়ে টেপুরবিল অবস্থিত। এলাকাবাসী ওই বিলের একমাত্র ফসল বোরো ধান উৎপাদন করে সারাবছর খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন। এসব গ্রামের মানুষ অতিদরিদ্র এবং কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। ১০-১২ বছর আগে ৩০শে পৌষের মধ্যে পানি নিষ্কাশন করে কৃষকদের ধান উৎপাদনের সুযোগ করে দেয়ার শর্তে বিলটি লিজ হিসেবে গ্রহণ করেন হাসাডাঙ্গা গ্রামের আবু তালেব মোড়লের ছেলে সুলতান মোড়ল। কিন্তু চলতি বছর ১৪ জানুয়ারি (৩০ পৌষ) পানি নিষ্কাশনের সময় শেষ হয়ে গেলেও এখনও বিলে অথৈই পানি রয়েছে। বিল সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা এখনও বোরো বীজতলা তৈরি করতে পারেনি। ওই ঘের মলিক পানি নিষ্কাশনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় এলাকার হাজার হাজার কৃষি পরিবার হতাশায় ভুগছেন।
ঘের মালিক সুলতান মোড়লের ম্যানেজার দীপঙ্কার বলেন, ওই ঘেরের অনেক কৃষক তাদের জমি বারো মাসের জন্যে ডিড করে দিয়েছে। কিছু কৃষক তা না মেনে বোরো আবাদের জন্যে পানি নিষ্কাশনের দাবি জানি আন্দোলন করছে। যে কারণে সময় মতো পানি নিষ্কাশন সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিরসনে অচিরেই কৃষকদের নিয়ে বসা হবে।
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি, চিংড়া ভূমি অফিস ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা পরিদর্শনে আসেন। এ খবর জানতে পেরে ওই বিল সংলগ্ন এলাকার শত শত কৃষক উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হয়ে তার কাচে ওই বিলের পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কৃষকদের সমস্যা শুনে ইউএনও’কে আগামী রোববারের মধ্যে ওই ঘের মালিককে ডেকে টেপুর বিলের পানি নিষ্কাশন করে বোরো আবাদের সুযোগ সৃষ্টির নির্দেশনা দেন।