বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী। গতকাল সকালে নাসিরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ত্রয়োদশ শিশু কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম পরম বন্ধু। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সেই সহযোগিতার হাত এখনও চলমান রয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সবাইকে বিস্মিত করেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক।
বাংলাদেশে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও হিন্দু-মুসলমান ও অন্য ধর্মের মানুষরা শান্তিপূর্ণভাবে ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসামপ্রদায়িক মিলনক্ষেত্র। এই দরবার শরীফের যিনি প্রবর্তক তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। এছাড়া হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীও অসামপ্রদায়িক চেতনার জন্য কাজ করেছেন।
সহকারী হাই কমিশনার বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অনেক কিছু। শিশুদেরকে শুধু পড়ালেখার চাপ দিলে হবে না। শিশুদের মধ্যে মানবিকতা, মানবতা, অসামপ্রদায়িকতা ও মানবিক গুণাবলি সৃষ্টি করতে হবে। সত্যিকারের মানুষে পরিণত করতে হবে। কারণ পড়ালেখা করে শিক্ষিত হওয়া যায়, তবে মানুষ হতে হলে মানবিক গুণাবলি প্রয়োজন। শিশুদেরকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখবেন না। তাদেরকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে এবং খেলাধুলা করতে সুযোগ দিতে হবে।
ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) পবিত্র ১১৪তম ওরশ উপলক্ষে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমি এ আয়োজন করে।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১
কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী। গতকাল সকালে নাসিরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মাইজভাণ্ডারী একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত ত্রয়োদশ শিশু কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহসানে এলাহী, কপিরাইট রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম পরম বন্ধু। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সেই সহযোগিতার হাত এখনও চলমান রয়েছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি সবাইকে বিস্মিত করেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক।
বাংলাদেশে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও হিন্দু-মুসলমান ও অন্য ধর্মের মানুষরা শান্তিপূর্ণভাবে ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ অসামপ্রদায়িক মিলনক্ষেত্র। এই দরবার শরীফের যিনি প্রবর্তক তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক। এছাড়া হযরত জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীও অসামপ্রদায়িক চেতনার জন্য কাজ করেছেন।
সহকারী হাই কমিশনার বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে অনেক কিছু। শিশুদেরকে শুধু পড়ালেখার চাপ দিলে হবে না। শিশুদের মধ্যে মানবিকতা, মানবতা, অসামপ্রদায়িকতা ও মানবিক গুণাবলি সৃষ্টি করতে হবে। সত্যিকারের মানুষে পরিণত করতে হবে। কারণ পড়ালেখা করে শিক্ষিত হওয়া যায়, তবে মানুষ হতে হলে মানবিক গুণাবলি প্রয়োজন। শিশুদেরকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখবেন না। তাদেরকে প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে এবং খেলাধুলা করতে সুযোগ দিতে হবে।
ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর (ক.) পবিত্র ১১৪তম ওরশ উপলক্ষে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে মাইজভাণ্ডারী একাডেমি এ আয়োজন করে।