গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

আতাউর রহমানের করাচি উপস্থিতি

করাচি, ১১ ফেব্রুয়ারি [এপিপি) : পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জনাব আতাউর রহমান খান অদ্য সকালে ঢাকা হইতে এখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছেন। প্রধানমন্ত্রী ১২ দিন ফেডারেল রাজধানীতে অবস্থান করিবেন এবং এই সময়ে তিনি জাতীয় পরিষদের বাজেট অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল এবং পাকিস্তান ফাইন্যান্স কাউন্সিলের সভায় যোগদান করিবেন। জনাব আতাউর রহমান স্বল্পকালের জন্য লাহোর সফর করিবেন।

জনাব রহমানের সঙ্গে তাহার পলিটিক্যাল সেক্রেটারি জনাব জমিরুদ্দিন এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি জনাব শামসুর রহমান করাচিতে আগমন করিয়াছেন। পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্প সচিব শেখ মুজিবর রহমান অদ্য রাত্রে এখানে আসিয়া পৌঁছিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

মওলানা ভাসানীর সহিত কোন মতবিরোধ নাই

করাচি, ১৩ ফেব্রুয়ারি [এপিপি] : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য জনাব শেখ মুজিবুর রহমান অদ্য এখানে বলেন যে, তাহার ও মওলানা ভাসানীর মধ্যে কোনরূপ মতবিরোধ ঘটে নাই। তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সভাপতি এবং আমি তাহার অনুগত সেক্রেটারি।’

জনাব রহমান মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে প্রচারকার্য শুরু করার পরিকল্পনা করিতেছেন বলিয়া সম্প্রতি যে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে তিনি উহার সত্যতা সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে, সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ পার্টির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যেই এইরূপ সংবাদ প্রচার করা হইতেছে। জনাব মুজিবুর রহমান দৃঢ়তার সহিত বলেন, এই সংবাদগুলির মূলে কোন সত্য নাই। এইগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও আজগুবি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, মওলানা ভাসানীর সহিত তাহার সম্পর্ক পূর্বের মতোই সৌহার্দপূর্ণ রহিয়াছে এবং ইহাতে কোন ছেদ পড়ে নাই। তিনি বলেন, গত আট বৎসর ধরিয়া আমরা একই সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করিয়া আসিতেছি এবং আমরা কারাগারে একই সঙ্গে নির্যাতন ভোগ করিয়াছি। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নাই।

দৈনিক সংবাদ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সভা

(শেখ মুজিব কর্তৃক ২ মার্চ ঢাকায় আহূত)

করাচি, ১৯ ফেব্রুয়ারি [এপিপি] : অদ্য এখানে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সম্পাদক জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন যে আগামী ২ মার্চ ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হইবে। বৈঠকে নোয়াখালী ও সিলেট কেন্দ্রে প্রাদেশিক পরিষদের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করা হইবে।

তিনি উক্ত আসনদ্বয়ের জন্য নোয়াখালী ও সিলেট জেলা ওয়ার্কিং কমিটিকে তাহাদের গোপারেশ ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হইবার পূর্বে প্রেরণ করিতে বলিয়াছেন।

শেখ মুজিবর রহমান আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

মুজিবুর রহমানের ফরিদপুর সফর

পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রী জনাব শেখ মুজিবর রহমান দুই দিবসব্যাপী ফরিদপুর সফরের উদ্দেশ্যে আগামীকল্য (বুধবার) ঢাকা ত্যাগ করিবেন। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে একটি শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করিবেন এবং একটি জনসভায় বক্তৃতা দান করিবেন। পরবর্তী দিবসে তিনি স্থানীয় সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি ব্যক্তিদের সাক্ষাত দান করিবেন এবং কৃষ্ণপুরে একটি জনসভায় বক্তৃতা দান করিবেন।

জনাব মুজিবর রহমান ১ মার্চ ফরিদপুর হইতে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

সর্বপ্রকার দুর্নীতি উচ্ছেদের সংকল্প শেখ মুজিবের ঘোষণা

ফরিদপুর, ১ মার্চ (এপিপি) : পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প বাণিজ্য ও দুর্নীতি দমন সচিব জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্র হইতে দুর্নীতি উচ্ছেদের সংকল্প ঘোষণা করিয়া বলেন যে, দুর্নীতি উচ্ছেদ করিতে না পারিলে জাতীয় উন্নতি অসম্ভব। কৃষ্ণপুরহাটে এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

দেশের জনগণের দুর্দশা মোচনে পূর্ববর্তী সরকারের ঔদাসীন্যের উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন যে, তাহারা জনগণের অবস্থার উন্নয়ন অপেক্ষা আন্দোলন দমনের দিকেই অধিক মনোযোগী ছিলেন।

জনসাধারণের অবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি তাহাদের ধৈর্যধারণের আবেদন করেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার দুর্যোগের উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন যে, সরকারের চেষ্টার জন্যই খাদ্য সংকটকালে অগণিত জনসাধারণের জীবনরক্ষা সম্ভব হইয়াছে। কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্কে তিনি সরকারের নীতি বিশ্লেষণ করিয়া বলেন যে, অবাধ নিরপেক্ষ গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার স্বীকার করিয়া লইতে হইবে।

শেখ মুজিবুর রহমান প্রাতে স্থানীয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সদর জেলা ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ও পুলিশ কর্মচারীদের এক সম্মেলনে ভাষণ দান করেন।

দৈনিক সংবাদ : ২ মার্চ ১৯৫৭

শেখ মুজিবুরের বিরুদ্ধে প্রচারণা ভারতীয় পত্রিকার ভূমিকায় নিন্দা

এপিপির এক খবরে প্রকাশ, ভারতে পাকিস্তান সরকার এবং পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যে দুষ্ট প্রচারণা চালানো হইতেছে, প্রাদেশিক শিল্পসচিব জনাব মুজিবুর রহমান গতকল্য (রবিবার) তীব্রভাবে তাহার নিন্দা করেন।

দিল্লি হইতে প্রকাশিত ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ পত্রিকার পরিবেশিত একটি সংবাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রদত্ত একটি বিবৃতিতে শিল্পসচিব বলেন, পত্রিকাটিতে জনাব মওলানা ভাসানী, জনাব সোহরাওয়ার্দী, জনাব আতাউর রহমান এবং আমার নিজের বিরুদ্ধে যে হীনভাবে আক্রমণ করা হইয়াছে তাহা একান্তই নিন্দনীয়। ভারতের বিশেষ বিশেষ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মানে বর্তমানে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর হইয়া উঠিয়াই আমাদের নেতাদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাইবার চেষ্টা করলেন।

জনাব মুজিবুর রহমান বলেন আমার বিরুদ্ধে আরও রটানো হইয়াছে যে কতিপয় ভদ্রলোক নাকি আমাকে একটি ছাপাখানা উপঢৌকন দিয়াছেন। কিন্তু প্রত্যুৎপন্ন মস্তিষ্ক হইতে উদ্ভাবিত এই সমস্ত গুজবের মূল্যে সত্য নাই। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা ও আমার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্য লইয়াই এই গুজব রটানো হইয়াছে।

দৈনিক সংবাদ : ৪ মার্চ ১৯৫৭

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ , ৪ মাঘ ১৪২৬, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু

আতাউর রহমানের করাচি উপস্থিতি

করাচি, ১১ ফেব্রুয়ারি [এপিপি) : পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জনাব আতাউর রহমান খান অদ্য সকালে ঢাকা হইতে এখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছেন। প্রধানমন্ত্রী ১২ দিন ফেডারেল রাজধানীতে অবস্থান করিবেন এবং এই সময়ে তিনি জাতীয় পরিষদের বাজেট অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল এবং পাকিস্তান ফাইন্যান্স কাউন্সিলের সভায় যোগদান করিবেন। জনাব আতাউর রহমান স্বল্পকালের জন্য লাহোর সফর করিবেন।

জনাব রহমানের সঙ্গে তাহার পলিটিক্যাল সেক্রেটারি জনাব জমিরুদ্দিন এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি জনাব শামসুর রহমান করাচিতে আগমন করিয়াছেন। পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্প সচিব শেখ মুজিবর রহমান অদ্য রাত্রে এখানে আসিয়া পৌঁছিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

মওলানা ভাসানীর সহিত কোন মতবিরোধ নাই

করাচি, ১৩ ফেব্রুয়ারি [এপিপি] : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য জনাব শেখ মুজিবুর রহমান অদ্য এখানে বলেন যে, তাহার ও মওলানা ভাসানীর মধ্যে কোনরূপ মতবিরোধ ঘটে নাই। তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় সভাপতি এবং আমি তাহার অনুগত সেক্রেটারি।’

জনাব রহমান মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে প্রচারকার্য শুরু করার পরিকল্পনা করিতেছেন বলিয়া সম্প্রতি যে সংবাদ প্রকাশিত হইয়াছে তিনি উহার সত্যতা সরাসরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন যে, সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ পার্টির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির হীন উদ্দেশ্যেই এইরূপ সংবাদ প্রচার করা হইতেছে। জনাব মুজিবুর রহমান দৃঢ়তার সহিত বলেন, এই সংবাদগুলির মূলে কোন সত্য নাই। এইগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও আজগুবি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, মওলানা ভাসানীর সহিত তাহার সম্পর্ক পূর্বের মতোই সৌহার্দপূর্ণ রহিয়াছে এবং ইহাতে কোন ছেদ পড়ে নাই। তিনি বলেন, গত আট বৎসর ধরিয়া আমরা একই সঙ্গে একই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করিয়া আসিতেছি এবং আমরা কারাগারে একই সঙ্গে নির্যাতন ভোগ করিয়াছি। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নাই।

দৈনিক সংবাদ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সভা

(শেখ মুজিব কর্তৃক ২ মার্চ ঢাকায় আহূত)

করাচি, ১৯ ফেব্রুয়ারি [এপিপি] : অদ্য এখানে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সম্পাদক জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন যে আগামী ২ মার্চ ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হইবে। বৈঠকে নোয়াখালী ও সিলেট কেন্দ্রে প্রাদেশিক পরিষদের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করা হইবে।

তিনি উক্ত আসনদ্বয়ের জন্য নোয়াখালী ও সিলেট জেলা ওয়ার্কিং কমিটিকে তাহাদের গোপারেশ ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হইবার পূর্বে প্রেরণ করিতে বলিয়াছেন।

শেখ মুজিবর রহমান আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

মুজিবুর রহমানের ফরিদপুর সফর

পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রী জনাব শেখ মুজিবর রহমান দুই দিবসব্যাপী ফরিদপুর সফরের উদ্দেশ্যে আগামীকল্য (বুধবার) ঢাকা ত্যাগ করিবেন। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরে একটি শিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করিবেন এবং একটি জনসভায় বক্তৃতা দান করিবেন। পরবর্তী দিবসে তিনি স্থানীয় সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি ব্যক্তিদের সাক্ষাত দান করিবেন এবং কৃষ্ণপুরে একটি জনসভায় বক্তৃতা দান করিবেন।

জনাব মুজিবর রহমান ১ মার্চ ফরিদপুর হইতে ঢাকা প্রত্যাবর্তন করিবেন।

দৈনিক সংবাদ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭

সর্বপ্রকার দুর্নীতি উচ্ছেদের সংকল্প শেখ মুজিবের ঘোষণা

ফরিদপুর, ১ মার্চ (এপিপি) : পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প বাণিজ্য ও দুর্নীতি দমন সচিব জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্র হইতে দুর্নীতি উচ্ছেদের সংকল্প ঘোষণা করিয়া বলেন যে, দুর্নীতি উচ্ছেদ করিতে না পারিলে জাতীয় উন্নতি অসম্ভব। কৃষ্ণপুরহাটে এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

দেশের জনগণের দুর্দশা মোচনে পূর্ববর্তী সরকারের ঔদাসীন্যের উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন যে, তাহারা জনগণের অবস্থার উন্নয়ন অপেক্ষা আন্দোলন দমনের দিকেই অধিক মনোযোগী ছিলেন।

জনসাধারণের অবস্থার উন্নয়নের জন্য তিনি তাহাদের ধৈর্যধারণের আবেদন করেন। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার দুর্যোগের উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন যে, সরকারের চেষ্টার জন্যই খাদ্য সংকটকালে অগণিত জনসাধারণের জীবনরক্ষা সম্ভব হইয়াছে। কাশ্মীর সমস্যা সম্পর্কে তিনি সরকারের নীতি বিশ্লেষণ করিয়া বলেন যে, অবাধ নিরপেক্ষ গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার স্বীকার করিয়া লইতে হইবে।

শেখ মুজিবুর রহমান প্রাতে স্থানীয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, সদর জেলা ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন ও পুলিশ কর্মচারীদের এক সম্মেলনে ভাষণ দান করেন।

দৈনিক সংবাদ : ২ মার্চ ১৯৫৭

শেখ মুজিবুরের বিরুদ্ধে প্রচারণা ভারতীয় পত্রিকার ভূমিকায় নিন্দা

এপিপির এক খবরে প্রকাশ, ভারতে পাকিস্তান সরকার এবং পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে যে দুষ্ট প্রচারণা চালানো হইতেছে, প্রাদেশিক শিল্পসচিব জনাব মুজিবুর রহমান গতকল্য (রবিবার) তীব্রভাবে তাহার নিন্দা করেন।

দিল্লি হইতে প্রকাশিত ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ পত্রিকার পরিবেশিত একটি সংবাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রদত্ত একটি বিবৃতিতে শিল্পসচিব বলেন, পত্রিকাটিতে জনাব মওলানা ভাসানী, জনাব সোহরাওয়ার্দী, জনাব আতাউর রহমান এবং আমার নিজের বিরুদ্ধে যে হীনভাবে আক্রমণ করা হইয়াছে তাহা একান্তই নিন্দনীয়। ভারতের বিশেষ বিশেষ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মানে বর্তমানে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর হইয়া উঠিয়াই আমাদের নেতাদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাইবার চেষ্টা করলেন।

জনাব মুজিবুর রহমান বলেন আমার বিরুদ্ধে আরও রটানো হইয়াছে যে কতিপয় ভদ্রলোক নাকি আমাকে একটি ছাপাখানা উপঢৌকন দিয়াছেন। কিন্তু প্রত্যুৎপন্ন মস্তিষ্ক হইতে উদ্ভাবিত এই সমস্ত গুজবের মূল্যে সত্য নাই। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা ও আমার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অসৎ উদ্দেশ্য লইয়াই এই গুজব রটানো হইয়াছে।

দৈনিক সংবাদ : ৪ মার্চ ১৯৫৭